নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২০ অক্টোবর, ২০২০
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনের আগে যেসব অঙ্গ সংগঠনের সম্মেলন হয়েছিল তার মধ্যে ৪ টি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গতকাল ঘোষণা করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আলোচিত সহযোগী সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। কিন্তু সেই সংগঠনের কমিটি এখনও ঘোষিত হয়নি। যুবলীগের কমিটির কি অবস্থা যে বিষয়ে কোনো নেতৃবৃন্দ কিছু জানাতে পারেননি।
আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেনে যে সাধারণত সম্মেলনের পরে যুবলীগের চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য। কিন্তু এবার যুবলীগের কংগ্রেস হয়েছিল ভিন্ন পেক্ষাপটে। ক্যাসিন বাণিজ্য, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে যুবলীগের একাধিক নেতা বহিষ্কৃত এবং গ্রেফতার হওয়ার পেক্ষাপটে ওই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয় এবং শুদ্ধি অভিযানের প্রধান টার্গেট ছিলো যুবলীগ। ঢাকা দক্ষিণের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ, দক্ষিণের নেতা আরমান, দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জিকে শামীমসহ একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। সেসময় যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কমিটি বানিজ্যসহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। সেই পেক্ষিতে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। সেসময় একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মাধ্যমে যুবলীগের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কংগ্রেস অনুষ্ঠানের এক বছর হতে চললেও এখন পর্যন্ত কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি। এই কমিটি কবে হবে সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, যেহেতু যুবলীগ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে এবং যুবলীগের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশকারীর অভিযোগ তাই যুবলীগের কমিটি অনেক সময় নিয়ে করা হচ্ছে। যুবলীগের নতুন চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এখন কমিটি গঠনের কাজ করছেন। তবে তারা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছেন যাতে কোনোভাবেই বিতর্কিত ব্যক্তি যুবলীগের কমিটিতে ঢুকতে না পারে। তবে গত কিছুদিন ধরেই লক্ষ করা যাচ্ছে যে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে শক্তিশালী সহযোগী সংগঠন হিসেবে পরিচিত যুবলীগের কার্যক্রম স্থির হয়ে যাচ্ছে। আগে যুবলীগের যে সাংগঠনিক প্রভাব ছিলো সেটিও হ্রাস পাচ্ছে। এরকম বাস্তবতায় যুবলীগ সংগঠন হিসেবে কতটা টিকে থাকতে পারবে, না পারবে সেটি নির্ভর করছে নতুন কমিটি কবে এবং কীভাবে হবে তার ওপর।
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।