ইনসাইড পলিটিক্স

তোফায়েল আহমেদ: নিজ ঘরে পরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা তোফায়েল আহমেদের আজ ৭৮ তম জন্মদিন। তোফায়েল আহমেদ সাবেক মন্ত্রী ছিলেন, কিংবা ভোলার এমপি তার চেয়ে বড় পরিচয়, তিনি আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ। আওয়ামী লীগ এবং তোফায়েল আহমেদ যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছেন। আরও বেশি করে বললে, তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর। এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে তরুণদেরকে বিকশিত করার সুযোগ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদের নাম সবার আগে আসবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রায় সার্বক্ষণিক সহচর ছিলেন তোফায়েল আহমেদ। ৭৫এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যার আগ পর্যন্ত তোফায়েল আহমেদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব এবং অনেক নীতিনির্ধারণী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখতেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে বিশ্বাস করতেন ভালোবাসতেন। কিন্তু এরপর পঁচাত্তর-পরবর্তী রাজনীতিতে তোফায়েল আহমেদ যেন নিজ ঘরে পরবাসী । তিনি আওয়ামী লীগে আছেন কিন্তু তার পরেও তিনি সেই আগের রূপে অবস্থানে বা মর্যাদায় নেই। তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে রাজনীতিতে যেমন বিতর্ক আছে, তেমনি তিনি তার মূল আদর্শ জায়গা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। আওয়ামী লীগ ৭৫ পরবর্তী সময়ে নানা টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গেছে। দল ভেঙেছে, অনেকে দলের ষড়যন্ত্র করেছে, তোফায়েল আহমেদ এই ভাঙা-গড়ার খেলায় কি ভূমিকা পালন করেছিলেন সেটি অন্য বিতর্ক । কিন্তু তিনি কখনো আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাননি। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে তিনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর তোফায়েল আহমেদ যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পেরেছিলেন কিনা তা নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক আছে।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেই পক্ষ-বিপক্ষ আছে। অনেকে মনে করেন যে, তোফায়েল আহমেদের আসলে সে সময় কিছু করনীয় ছিল না। ৭৫ এর ঘাতকরা তোফায়েল আহমেদকেও টার্গেট করেছিল এবং ৭৫ পরবর্তী সময়ে তিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। আবার অন্যপক্ষ মনে করেন, তোফায়েল আহমেদ চাইলে অনেক কিছুই করতে পারতেন, বিশেষ করে রক্ষীবাহিনী নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার যা যা করা দরকার ছিল তার কিছুই তিনি করতে পারেনি । এই বিতর্কে দোলাচলেই তোফায়েল আহমেদ ৭৫ পরবর্তী তে আর রাজনৈতিক ভাবে বিকশিত হতে পারেনি। যদিও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে অন্যতম ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা হিসেবে তিনি এখনও তার রাজনৈতিক অতীত সমুজ্জ্বল। এখনো তিনি আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে তিনি কতটুকু গ্রহণযোগ্য, কতটুকু বিশ্বস্থ, কতটুকু আস্থাভাজন সে নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে।

৭৫ পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় ১৯৯৬ সালে। এবং সে সময়ে তোফায়েল আহমেদ বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবার পর বিএনপি-জামাত জোটের আকর্ষিক শিকার যারা হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদ ছিলেন অন্যতম। কিন্তু ২০০৭ সালে তোফায়েল আহমেদের ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে , বিশেষ করে সংস্কার প্রস্তাব দেয়া কতটা সঙ্গত ছিল তা নিয়ে অনেক রকম কথা আছে। কিন্তু তোফায়েল আহমেদ তাঁর ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, তিনি একটা পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন এবং যে পরিস্থিতির কারণে সেটি তাকে করতে হয়েছিল। কিন্তু রাজনীতিতে সাহস, ত্যাগ এবং দুর্যোগের সময় রুখে দাঁড়ানোর যে বৈশিষ্ট্য সে বৈশিষ্ট্যের ঘাটতি তোফায়েল আহমেদের আছে কিনা সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

৭৫ এর ১৫ই আগস্ট যেমন তিনি তার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি, ঠিক তেমনি ২০০৭ সালেও তার কাছ থেকে দলের নেতাকর্মীরা যে ভূমিকা প্রত্যাশা করেছিলেন তা তিনি দিতে পারেননি। সংকটের সময় জ্বলে উঠতে না পারার কারণেই আওয়ামী লীগে তোফায়েল আহমেদ এখন অতটা আপ্যায়িত নন এবং অতটা সমাদৃত নন। তিনি জনপ্রিয় নেতা, কিন্তু তিনি তার দলের মূল নেতৃত্বের প্রতি কতটা আস্থাশীল, মুল নেতৃত্বের প্রতি কতটা অনুগত সে বিতর্ক থাকতেই পারে। আওয়ামী লীগ থেকে দুবার মন্ত্রী করেছে, বহুবার তিনি এমপি হয়েছেন। আওয়ামী লীগ আর তিনি এক বিন্দুতে মিলিত হয়েছেন, কিন্তু তারপরও তিনি আওয়ামী লীগের অধিকাংশ কর্মীদের কাছে আস্থাভাজন, বিশ্বস্থ নন।  কর্মীরা তার জনপ্রিয়তাকে সম্মান করেন, তার অতীত রাজনৈতিক ভূমিকা কে শ্রদ্ধা করে। কিন্তু তোফায়েল আহমেদ আসলেই নেতৃত্বের প্রতি কতটা আস্থাশীল,  দু:সময়ে তিনি দলের মুল নেতৃত্বের পাশে কতটা দাঁড়াতে পারে, সে বিতর্ক আমৃত্যু তাকে বয়ে বেড়াতে হবে। এবং এটাই হলো তোফায়েল আহমেদের জীবন হয়তো সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সোমবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  

রোববার (৫ মে) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ আহ্বান জানান।

বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।  

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। এসব কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন বলেন, কালকের (সোমবার) সমাবেশ বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশ। পৃথিবীর সব স্বাধীনতাকামী রাষ্ট্রের পক্ষে ও মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কালকের সমাবেশ হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে, মারধর ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করার কারণে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ এসব অব্যাহতি ও হেনস্তার বিরুদ্ধে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   ফিলিস্তিনের পতাকা   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মামলা গোপন করায় ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-

১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন

২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল

৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল

৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   শাহদাত হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপি স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


মন্ত্রী-এমপি   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং অফিসার দিতে পারবে ভোট

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে হবে।

কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।

সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।

সেগুলো হচ্ছে…

১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।

২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।

৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।

৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।

৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।

আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।

প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


নির্বাচন কমশিন   ইভিএম   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বহিষ্কৃত হয়েও ভোটে অটল বিএনপির নেতারা

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় প্রায় দেড়শ নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। যারা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বহিস্কার করে বিএনপি।

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ৮০ জনকে বহিষ্কারের পর শনিবার (৪ মে) দ্বিতীয় দফায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে ৬১ জনকে বহিষ্কার করা হয়। তবে দলের পদ হারালেও উপজেলা নির্বাচনের মাঠে হারতে চান না বহিষ্কৃত নেতারা। তারা নির্বাচনে জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। কেউ কেউ আশা-নিরাশার দোলাচলেও রয়েছেন। কারণ জয়ী না হলে দুকূলই হারাতে হবে তাদের।

এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে সর্বশেষ ফাঁদ পেতেছে সরকার। এর আগে জাতীয় নির্বাচনেও ফাঁদ পেতেছিল; ভেবেছিলেন বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে পারবে; কিন্তু বিএনপি সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। যেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সেই নির্বাচনের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই।’ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে (সংসদ) ভোট দিতে গিয়েছিল লোকজন? এবারও যাবে না।’

দলটি থেকে বহিস্কৃত কয়েক নেতা জানান, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হতাশ এবং দ্বিধান্বিত। তা ছাড়া এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় বিএনপি সুবিধা করতে পারত।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপেই অধিকাংশ নেতা এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন; কিন্তু বিএনপি তাদের বহিষ্কার করেছে।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রমিজ উদ্দিন (লন্ডনি) বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ ভালোই আছে। আমি জয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী; কিন্তু বিএনপি তো আমাদের বহিষ্কার করেছে।’

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বাবর আলী বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতাকর্মীদের পরামর্শে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছি। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো। আশা করছি জয়ী হব।’ তিনি বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল, আমার সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি।’

শেরপুরের নকলা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. মুকশেদুল হক শিপলু বলেন, ‘১১ বছর কারাগারে ছিলাম। এখনো ঠিকমতো বাড়িঘরে থাকতে পারি না। এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও ভোটের মাঠে আছি, থাকব।’

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। তবে ভুল স্বীকার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহমেদকে দলে ফেরানো হয়েছে। এবার দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬ জন। সবমিলিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে প্রায় দেড়শ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এমন পরিস্থিতেও তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। তারা এলাকায় প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছেন। ফলে চার দফার উপজেলা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারের সংখ্যা তিন শতাধিক হতে পারে বলে মনে করছে বিএনপির হাইকমান্ড।

বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যেসব নেতা প্রার্থী হয়েছেন আমরা তাদের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ ও বৈঠক করে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তাদের কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। ফলে দল এখন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।’

বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘দলের নির্দেশ অমান্য করে যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা লোভী। তারা দেশ, দল ও জাতির শত্রু। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। এ ধরনের সুবিধাবাদীদের দলে আর স্থান দেওয়া হবে না। তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধেও দলের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দ্বিতীয় ধাপে যারা বহিষ্কৃত হলেন তারা হল..

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার হাবিব আল-আমিন ফেরদৌস, মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, লাইলী বেগম, দেবীগঞ্জ উপজেলার রফিকুল ইসলাম বুলবুল ও আব্দুর রহিম, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার মো. হযরত আলী, নীলফামারীর সৈয়দপুরের রিয়াদ আরফান সরকার রানা, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ফিরোজা বেগম সোনা, বীরগঞ্জ উপজেলার রিয়াজুল ইসলাম রীজু ও মামুনুর রহমান মামুন, গাইবান্ধায় শিল্পী খাতুন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার মমতাজ বেগম, নাটোরের লালপুরের ভিপি আরিফ, বাগাতিপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার জিয়াউর রহমান ও নাসরিন পারভিন মুক্তি, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুলফিকার আলী ভুট্টো, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ইন্দোনেশিয়া শিতু, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আমিরুল ইসলাম ও গোলাম রহমান, খুলনার দীঘলিয়ায় এনামুল হক মাসুম, ফুলতলা উপজেলার সাব্বির আহমেদ রানা, বরগুনা সদর উপজেলার অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, সানাউল্লাহ সানি ও জয়নুল আবেদীন রাফি মোল্লা, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার মো. আব্দুল মান্নান ও খন্দকার লিয়াকত হোসেন, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার মাহমুদুল হাসান রবিন, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও তাসলিমা জেসমিন পাপিয়া, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার মাহবুবুর রহমান বাচ্চু হাওলাদার, রাজবাড়ী সদর উপজেলার শাহিনুর আক্তার বিউটি, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আসাদ মাতব্বর, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার হোসাইন নুর মোহাম্মদ আনির, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার রোকসানা বেগম, শেরপুরের নকলা উপজেলার মোকসেদুল হক শিপলু, রেজাউল করিম, দেওয়ান মামুন ও দেওয়ান কোহিনুর, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, তাহিরপুর উপজেলার আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হারুনুর রশিদ দুলাল, মোহন মিয়া বাচ্চু ও মদিনা আক্তার, জামালগঞ্জ উপজেলায় নুরুল হক আফিন্দি ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ছাদ উদ্দীন সাদ্দাম ও পলিনা রহমান, গোয়াইনঘাট উপজেলা শাহ আলম স্বপন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মাওলানা আব্দুল হেকিম, রাজনগর উপজেলার ডলি বেগম, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার আলফা বেগম, নবীগঞ্জ উপজেলার মজিবুর রহমান সেফু ও আব্দুল আলিম ইয়াছিন, নোয়খালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আবু বক্কর সিদ্দীকি রুবেল, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সাফায়েত আজিজ রাজু, বান্দরবানের লামা উপজেলার জাকের হোসেন মজুমদার, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কামাল উদ্দীন, হামিদা চৌধুরী এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার আবু সুফিয়ান রানা ও রাবেয়া আক্তার রুবি।


বহিষ্কৃত   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন