নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০২১
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ফ্রন্টলাইন ফাইটারদের প্রথমে টিকা দেওয়া হবে। সরকার সেভাবেই পদক্ষেপ নিয়েছে ।
সরকার যথাসময়ে টিকা আনতে পেরেছে, সরকারের এই সাফল্যে তারা উদ্ভ্রান্ত। এজন্য উদ্ভ্রান্তের মতো প্রলাপ বকছে।
দেশে আসা করোনা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরুর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ একথা বলেন ।
ভারত থেকে উপহারের ২০ লাখ টিকা আসার পরপরই বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ।
বিএনপি মহাসচিব বুধবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় অভিযোগ করেন, ভ্যাকসিন নিয়েও সরকার লুটপাট শুরু করেছে। অনেক বেশি দাম দিয়ে ভারতের কাছ থেকে এই ভ্যাকসিন কিনছে।
মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আজ করোনার টিকা চলে এসেছে। উপহার হিসেবে ভারত সরকার আমাদের দিয়েছে। এজন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
‘বিএনপির বক্তব্যটা ঠিক সে রকম- পাশের বাড়ির যাকে পছন্দ করে না বা যার সঙ্গে তার ঝগড়া আছে, তার ছেলে ডিগ্রি পাস করলে বলে যে পাস সঠিক না। পাস করলেও সার্টিফিকেট পাবে না। যখন সার্টিফিকেট পেলো তখন বলে যে চাকরি পাবে না। চাকরি যখন পেলো তখন বলে যে বেতন পাবে না। বিএনপির বক্তব্যটা ঠিক সে রকম, তারা আশা করেছিল দেশে প্রধানমন্ত্রী করোনা মহামারি সামাল দিতে পারবেন না। ’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেটি সামাল দিয়েছেন শুধু তা নয়, বিশ্বব্যাপী তার এই নেতৃত্ব প্রশংশিত হয়েছে। ব্লুমবার্গ বলেছে যে উপমহাদেশে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সক্ষমতা সবার ওপরে, সমগ্র পৃথিবীতে ২০তম। এই করোনা মহামারির মধ্যে মাত্র ২২টি দেশে পজিটিভ জিডিপি গ্রোথ হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ একটি এবং বাংলাদেশের অবস্থান জিডিপি গ্রোথ রেটের হার অনুযায়ী তৃতীয়।
‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সবকিছুতে লুটপাটের সঙ্গে যুক্ত ছিল। হাওয়া ভবন গঠন করে যে লুটপাট করেছিল এজন্য মাশাল্লাহ দুর্নীতিতে পরপর চারবার একক চ্যাম্পিয়ন আর একবার আফ্রিকার একটি দেশের সঙ্গে যৌথ চ্যাম্পিয়ন। ’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার টিকা প্রধানমন্ত্রী যথাসময়ে আনতে পেরেছেন। একই সঙ্গে এটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার তাদের প্রথমে দেওয়া হবে। সরকার সেভাবেই পদক্ষেপ নিয়েছে। এখানে লুটপাট কেন দেখতে পাচ্ছে, সেটা আমি জানি না। যারা সব সময় লুটপাটের কথা চিন্তা করে তারা হয়তো এ ধরনের চিন্তা করতে পারে, বলতে পারে।
‘মূল কথা হচ্ছে সরকারের এই সাফল্যে তারা উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছে। এজন্য উদ্ভ্রান্তের মতো প্রলাপ বকছে। ’
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।