নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
আগামী ৩ মার্চ দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদগুলোর (ইইউপি) নির্বাচন শুরুর লক্ষ্যে প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রথম ধাপে ভোট হচ্ছে ৩২৩ ইউপিতে।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী ৩ মার্চ ৭৭তম কমিশন বৈঠক শেষে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ১১ মার্চ নির্বাচনের তারিখ ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে ইসি সচিব জানিয়েছিলেন, ২০ জেলার ৬৩টি উপজেলার ৩২৩টি ইউপির মধ্যে ৪১টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। অন্যগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণা করা হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে। কেননা ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার পর হবে তফসিল।
এবারও গতবারের মতো চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ইউপির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর সদস্য পদে নির্বাচন হবে নির্দলীয়ভাবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।