নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৬ পিএম, ০১ মার্চ, ২০২১
গাছের পাতায় পাতায় এখন আওয়ামী লীগ। এটা খুবই বিপদজনক ব্যাপার। এটা যদি রাজনীতিবিদদের হাতে থাকত তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু এটা যদি প্রফেশন হয়ে যায় তাহলে খুব মারাত্মক ব্যাপার। আমি মনে করি প্রফেশনাল হিসেবে যারা আছেন তাদের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে আপনার প্রফেশনে আপনি সাকসেসফুল কিনা সেটা লক্ষ্য রাখা। আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কী সেটা দেখার দরকার নেই। শুধু একটা জিনিস দেখতে হবে যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কিনা।
সোমবার (১ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত পুলিশ মেমোরিয়াল ডে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, আমি এই কথাগুলো বললাম কারণ আমার চলে যাওয়ার সময় এসেছে। আমি প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকি। যদিও আমার মৃত্যু আজ থেকে বিশ বছর আগে ১৬ জুন হয়ে গেছে। আমার ডানে বায়ে যারা ছিল সবাই মারা গেছে। আমি যে সাক্ষী দিয়েছি সে সাক্ষীও বদলে দেয়া হয়েছে এবং সেটা আমার সরকারের আমলেই। আমি কোর্টে তা ডিনাই করে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। ডিসি সাহেবের আব্বা, এসপি সাহেবের ভাইসহ অনেক পুলিশ সদস্যরা আছেন যাদের নাম দেখলাম তারা চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে। কিন্তু আমরা চলে যাওয়াতে আশ্চর্য হই কেন। পার্মানেন্ট হল চলে যাওয়া আর থেকে যাওয়াটা টেম্পোরারি। আপনাকে যেতে হবেই। আমরা সবাই এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছি পরীক্ষা দিচ্ছি। আমাদের রেজাল্ট দেখবেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা। আমি পুলিশ ভাইদের বলতে চাই মানুষ আপনাদের কাছে অনেক কিছু আশা করে। তা পূরণ করবেন কী করবেন না আপনাদের ইচ্ছা।
শামীম ওসমান বলেন, আমি যদি অবৈধ কাজ করি আমার ছেলে মেয়েও হাশরের ময়দানে আমাকে চিনবে না। সুতরাং আমি এমপি গাজী ভাই মন্ত্রী আমাদের এ সম্মান আল্লাহ দিয়েছেন। সব ধর্মই ভাল কথা বলে কোনো ধর্ম খারাপ কথা শেখায় না। ভুল করার পর র্যে সংশোধন করে তাকে আল্লাহ বেশি পছন্দ করেন। এখানে অনেকে আছেন যাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধ না করলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে বাবা মা একসাথে যুদ্ধ করেছে আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানের নেতৃত্বে।
তিনি বলেন, আজকে দেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা আপনারা আমার চেয়ে কম জানেন না। এটা শুধু শেখ হাসিনার সরকারকে ফেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র না। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য। রাষ্ট্রের মূল কাঠামেগুলোকে দেশের বাইরে থেকে বসে প্রতিনিয়ত আঘাত করা হচ্ছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করা হচ্ছে এই রাষ্ট্রটাকে তালেবান রাষ্ট্র বানাতে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে কারণ আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই দেশে থাকবে। আপনারা ভাল কাজ করবেন আপনাদের প্রশংসা করবো খারাপ কাজ করবেন আপনাদের বিরুদ্ধে কথা বলবো। এখানে কোনো ছাড় হবে না। কারণ আল্লাহর কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।