নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫২ পিএম, ১৩ জুন, ২০২১
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে স্মৃতিচারণ করে বলেন, মোহাম্মদ নাসিম একজন মেধাসম্পন্ন দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তিনি মেধা ও দক্ষতা দিয়ে ১৪ দলকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। তিনি মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রসেনার ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আমাদের শিক্ষক ছিলেন। আমরা মোহাম্মদ নাসিমকে স্বরণ করতে চাই তার আদর্শের মাধ্যমে। যারা তার আদর্শ থেকে সরে দাঁড়াবেন তারা যেন আওয়ামী লীগ থেকে সরে দাঁড়ালেন।
রবিবার (১৩ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহীদ এম. মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক নেতাকর্মীদের মোহাম্মদ নাসিমের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে রাজনীতি করার উপদেশ দিয়ে বলেন, দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা করবেন, কিন্তু প্রতিহিংসা করবেন না। দলের মধ্যে শক্তি প্রদর্শন করবেন না।
সভায় রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. কামাল বলেন, মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন বাংলাদেশের অহংকার। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে থেকে সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন তিনি। নাসিমের বাবা শহীদ এম. মনসুর আলী বঙ্গবন্ধুর সাথে বেইমানি করেন নাই। হাসতে হাসতে মৃত্যু মেনে নিয়েছেন। তেমনি জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে মোহাম্মদ নাসিম বেইমানি করেন নাই। তার সাথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।
স্মরণসভায় নাসিম পুত্র সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, আমার বাবা মোহাম্মদ নাসিম পরিবারের কাছে সময় দেন নাই। তার সমস্ত সময় ব্যয় করেছেন আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত এবং সিরাজগঞ্জ তথা বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ্যের জন্য। তিনি তার বাবার আত্মার শান্তির জন্য দলীয় নেতাকর্মীরসহ সাধারণ মানুষের দোয়া কামনা করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাড. কে. এম. হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল আজিজ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সুর্য্য, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার সহ আরও অনেকেই।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।