নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২১
সজীব ওয়াজেদ জয় আগামীকাল ৫০ বছর পূর্ণ করবেন। বাংলাদেশের বয়সের সমান বয়স তার। আগামীকাল তার জন্মদিন, শুভ জন্মদিন। সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ৫০ বছর পূর্ণ করছেন এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় একটি রাষ্ট্র হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছে তার মা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। যখন জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সোনার বাংলা এখন দৃশ্যমান। আর সেটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং নেতৃত্বের কারণে। কিন্তু বাংলাদেশের এই ৫০ বছরের অভিযাত্রায় নানারকম টানাপোড়েন, ঘাত-প্রতিঘাত ছিল। ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের পর ২১ বছর বাংলাদেশ ছিল গণতন্ত্রহীন, মানবাধিকার ছিল বুটের তলায় পিষ্ট, মানুষের মৌলিক অধিকার ছিলনা, উন্নয়নের কোন স্বপ্ন ছিল না, মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভুলে গিয়েছিল। এরকম একটি অবস্থা থেকে দেশকে ধাপে ধাপে আজকের অবস্থানে এসেছেন শেখ হাসিনা।
কিন্তু এই ৫০ বছরের দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জনগণের সামনে প্রথম প্রশ্ন যেটি সেটি হলো শেখ হাসিনার পর কে? বারবার এই উত্তর এই প্রশ্নের উত্তরে এক ধরনের অনিশ্চয়তা এবং কঠোর বাস্তবতা আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। এটাই বাস্তব, এটাই সত্যি। পাশাপাশি এটাও সত্যি যে, শেখ হাসিনার পরে যদি যোগ্য নেতৃত্বের হাতে আওয়ামী লীগ এবং যোগ্য নেতৃত্বের হাতে বাংলাদেশ না পড়ে তাহলে এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আবার মুখ থুবড়ে পড়তে পারে, আবার বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারে সেই অন্ধকার টানেলে। আর সেজন্য সবার কাছেই একটি উদ্বেগের প্রশ্ন, শেখ হাসিনার পর কে? আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই অনেকেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম উচ্চারণ করেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় হলেন বাংলাদেশের এক অনুচ্চারিত তারুণ্যের জাগরণের নাম। যে ডিজিটাল বাংলাদেশের উপর ভর করে করোনাকালে বাংলাদেশ আজ সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে পারছে, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবক্তা হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরেই বাংলাদেশের তরুণ সমাজ আজ নূতন উদ্দীপনায় তথ্যপ্রযুক্তিতে যোদ্ধা হয়ে উঠছে এবং বিশ্বে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের মেধা মননের এক পথিকৃৎ। সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের তারুণ্যের অহংকার। আর এ কারণেই অনেকেই মনে করেন যে, একটা পর্যায়ে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অধ্যায়ের সমাপ্তি হবে তখন সজীব ওয়াজেদ জয়ই হয়তো আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি হবেন। তার হাতেই হয়তো আওয়ামী লীগ নতুন অভিযাত্রায় এগিয়ে যাবে। কিন্তু সজীব ওয়াজেদ জয় কি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নেবেন কিনা তা নির্ধারিত নয়।
আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল যা পূর্বনির্ধারিত রাজনৈতিক নেতৃত্বে বিশ্বাস করে না। বরং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং অভিপ্রায়ের আলোকেই নেতৃত্ব গড়ে ওঠে। যেমন- হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বের আসনে উঠে এসেছিলেন শুধুমাত্র নেতাকর্মী এবং জনগণের ভালোবাসায়। শেখ হাসিনাও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষা থেকেই। এক ধরনের গণদাবীর মুখেই ক্ষয়িষ্ণুমান আওয়ামী লীগকে ঠেকানোর জন্য শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়েছিলেন। সেই রকম ভাবেই সজীব ওয়াজেদ জয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন কি আসবেন না সেটি নির্ভর করবে নেতাকর্মী এবং জনগণের উপর। কিন্তু জয় যে আওয়ামী লীগের একজন ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি হবেন এ নিয়ে কারও কোনো সন্দেহই নেই।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।