ইনসাইড পলিটিক্স

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে যাবে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

দুই বছর বাকি থাকতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন ধরণের সরকার থাকবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।  নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ার কথা বলছে বিএনপি। তবে সংবিধানের বাইরে একচুলও যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতারা। 

বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। সংবিধান মতে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে নির্বাচন কমিশন। সরকার নির্বাচনের সময় সংবিধান অনুযায়ী রুটিন কাজ করবে। নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। জনগণ যে রায় দেবে-বর্তমান সরকার তা মাথা পেতে নেবে। জনগণের আন্দোলনের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করে বিএনপি। সে কারণে নির্দলীয় ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করারও সুযোগ নেই। সে কারণে সংবিধান অনুযায়ীই বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। ​সংবিধানে যে কোনো ধরনের ফাঁক সৃষ্টি করে দিলে কতিপয় ক্ষমতালিপ্সু জনসমর্থনহীন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দেশের এক বা একাধিক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন পরাশক্তির সমর্থন দেখিয়ে প্রোভোক করে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট করার সুযোগ পাবে। সুতরাং ভবিষ্যতে নির্দলীয় সরকার বা এহেন কোনো ধরনের দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকার বা কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি আবারও আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। দেশে হবে সাংবিধানিক সরকার। সংবিধানের আলোকে আগামী দিনের নির্বাচন হবে।

দল ও সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের দীর্ঘ সময় বাকি থাকলেও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি নেতারা বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখার চেষ্টা করছেন। দীর্ঘদিন তারা ক্ষমতার বাইরে থাকায় নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ দল ছাড়ছেন। নেতা-কর্মীরা যেন চাঙা থাকেন সে কারণে এই সময়ে নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করছে। ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংবিধানেই পরিষ্কার ব্যাখ্যা আছে। এ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। যে কোনো ন্যায্য দাবি, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক মতামতকে আওয়ামী লীগ সবসময় সম্মান জানাতে প্রস্তুত। কারণ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল। আর আওয়ামী লীগের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা সব সময় ছিল। তবে কোনো ধরনের অন্যায্য, অগণতান্ত্রিক বা অসাংবিধানিক দাবি আওয়ামী লীগ সমর্থন করবে না, বা মেনেও নেবে না। 

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি নেতারা জানে আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে। আর আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসবে। সে কারণেই তারা নানা কথা বলছে।

 তিনি বলেন, যে কোনো ন্যায্য দাবি, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক মতামতকে আওয়ামী লীগ সব সময় সম্মান জানাতে প্রস্তুত। কারণ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল। আর আওয়ামী লীগের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা সব সময় ছিল। তবে কোনো ধরনের অন্যায্য, অগণতান্ত্রিক বা অসাংবিধানিক দাবি আওয়ামী লীগ সমর্থন করবে না, বা মেনেও নেবে না। 

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আমাদের নতুন কোনো ভাবনা নেই। কীভাবে নির্বাচন হবে তা শাসনতন্ত্রেই বলা হয়েছে। সেভাবেই আগামী নির্বাচন হবে।

আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির প্রচলন হয়েছিল। কিন্তু ২০০১-এ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করেছে। এখন আর মানুষের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। মহামান্য আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সংবিধানের বাইরে একচুলও যাব না।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রকাশ: ০৭:৪৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিককালে আপনার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এটি সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং এতে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর দায়ভার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই বহন করবে না।

‘এমতাবস্থায়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (৯) ধারা মোতাবেক উপযুক্ত ও যথার্থ যুক্তিযুক্ত কারণসহ আগামী ১৫ মে’র মধ্যে লিখিত জবাব প্রদানের নির্দেশ দেয়া হলো।’

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রিয়াজকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সে সময় তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি এবং একটি স্কুলের তহবিল তসরুপের অভিযোগ ওঠে।

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের (নারী শিক্ষা মন্দির) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের বিরুদ্ধে।

এবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য এবং একটি ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলরের অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে পড়লে টাকার বিনিময়ে তাকে বাঁচানো সংক্রান্ত রিয়াজের একটি বক্তব্যের অডিও প্রকাশ হয়।

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ   মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্থানীয় নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর অংশ নেওয়া উচিত ছিল: নুর

প্রকাশ: ০৬:৪৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকারবিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নাগরিক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন নুর। স্থানীয় টাউন ক্লাব মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিপি নুর বলেন, উপজেলা নির্বাচন উপহাসে পরিণত হয়েছে। যদিও আমি মনে করি বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিতভাবে উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত ছিল। নির্বাচন বর্জন করায় বিনাযুদ্ধে রাজ্য দখল করে নিচ্ছে তারা।

নুর আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন মুহূর্তের মধ্যে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষার জন্য তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। এতদিন অনেক রথি-মহরথিরা জোট গঠন করেছেন, ফ্রন্ট গঠন করে জাতির সর্বনাশ করেছেন। তারা দেশ ও জনগণের মুক্তি এনে দিতে পারেননি।

গণঅধিকার পরিষদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার আহ্বায়ক আলমগীর কবীর শিফতির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমীনসহ অন্যরা। 

উপজেলা নির্বাচন   নুরুল হক নুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারেকের পাঁচ ‘না’

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে তারেক জিয়ার নাম হয়েছে ‘মি. না’। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখন সব কিছুতেই ‘না’ বলছেন। কোন আলোচনা ‘না’ কোন সমঝোতা ‘না’। নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তাও ‘না’। তার কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়েও তিনি ‘না’ সূচক বক্তব্য দিচ্ছেন। আর এই ‘না’ এর অত্যাচারে বিএনপি এখন অতিষ্ঠ। 

বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা বলছেন, সাম্প্রতিক সময় একাধিক স্পর্শকাতর বিষয়ে তারেক জিয়ার মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারেক জিয়া এই সমস্ত বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। আর তারেক জিয়ার এই নেতিবাচক মনোভাবের কারণেই বিএনপি এখন আরও স্থবির হয়ে পড়েছে। 

যে সমস্ত বিষয়ে তারেক জিয়া সাম্প্রতিক সময়ে ‘না’ বলেছেন, তার মধ্যে রয়েছে;

১. নেতৃত্ব ছাড়া: গত কিছুদিন ধরে তারেক জিয়ার নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছিল বিভিন্ন মহলে। যেহেতু তিনি লন্ডনে থাকেন সেজন্য নির্বাহী দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে তিনি যদি কোন আলঙ্কারিক দায়িত্ব যেমন প্রধান পৃষ্ঠপোষক বা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তাহলে দলে যারা নেতৃত্বে থাকবেন তারা দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই বিবেচনা থেকে আন্তর্জাতিক মহল এবং দেশেও তারেকের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছিল। কিন্তু তারেক জিয়া এটিকে নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, কোন অবস্থাতেই তিনি নেতৃত্ব ছাড়বেন না। অর্থাৎ আপাতত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। 

২. ফখরুলের পরিবর্তনে ‘না’: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার এবং তার স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। তার স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত। তিনি নানা রোগে আক্রান্ত। এর জন্য তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলে মহাসচিবের পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য মনস্থির করেছিলাম। কিন্তু তারেক জিয়া তাকেও ‘না’ করে দিয়েছেন। তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন করা যাবে না। 

৩. কাউন্সিল ‘না’: বিএনপির অনেকে দলকে চাঙ্গা করার জন্য, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য দ্রুত একটি কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠানের জন্য তাগাদ দিচ্ছিলেন। বিশেষ করে তৃণমূল থেকে বলা হচ্ছিল যে, অনেক নেতাই এখন অসুস্থ, অনেক পদ শূন্য। এই কারণে দলের নতুন নেতৃত্বের সামনে আনা দরকার, আনা দরকার দলের গতিশীলতা। আর এ কারণেই দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠান করা জরুরি। কিন্তু তারেক জিয়া আপাতত কাউন্সিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

৪. স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণ: বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে পাঁচটি শূন্যপদ রয়েছে। স্থায়ী কমিটি এমনিতেই কার্যকর, যারা অকার্যকর, যারা স্থায়ী কমিটিতে আছেন তাদের অনেকে অসুস্থ, বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন। সে কারণে স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন ছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের সময়ের দাবি। কিন্তু আপাতত স্থায়ী কমিটির শূণ্যপদ পূরণ করার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ নেই। কারণ তিনি ব্যাখ্যা করেননি বটে, তবে আপাতত বিএনপির স্থায়ী কমিটির শুন্যপদ গুলো পূরণ হচ্ছে না।

৫. জোটে ‘না’: বিএনপি চেয়েছিল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে। বিশেষ করে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করতে। আর এ কারণে বিএনপি অনেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিল, তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তারা একটি অভিন্ন বা যৌথ কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগে সে জোট হয়নি। এখন আবার বিএনপি শরিক রাজনৈতিক দলগুলোকে এড়িয়ে যাচ্ছে। এটি তারেক জিয়ার নির্দেশে করা হচ্ছে। তারেক জিয়া অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিশ্বাস করতে পারছেন না। আর এ কারণে তিনি জোটগত ভাবে আন্দোলনের ব্যাপারেও ‘না’ সূচক বার্তা দিয়েছেন। 

আর এ সব ‘না’ এর কারণে বিএনপি এখন নেতিয়ে পড়েছে।


তারেক জিয়া   বিএনপি   আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগে যারা বেশি পেয়েছে তারাই শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে

প্রকাশ: ০৯:০৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতারা যোগ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত পেয়েছেন তারাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন, দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। যুগে যুগে আওয়ামী লীগের জন্য একটি বাস্তবতা। 

খন্দকার মোশতাক কখনোই আওয়ামী লীগের এত বড় নেতা হওয়ার কথা ছিল না। যোগ্যতার বাইরে বঙ্গবন্ধু তাকে সামনের দিকে এনেছিলেন এবং খুনি মোশতাক তার চরম বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, অযোগ্যরা সবসময় বিশ্বাসঘাতক হয়। সবাই মোশতাকের মতো বড় মাপের বিশ্বাসঘাতক না হলেও বিভিন্ন সঙ্কট দেখা গেছে, আওয়ামী লীগে যারা অযোগ্য, আওয়ামী লীগ যারা যত বেশি পেয়েছে তারাই দলের শৃঙ্খলার প্রতি ততটা বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। 

এক এগোরোর সময় হঠাৎ করে বড় হয়ে যাওয়া নেতারাই আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ কারণ হয়ে গিয়েছিল। আর এবার উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না, তখন সেই সিদ্ধান্ত যারা লঙ্ঘন করেছে তাদের একটি বড় অংশই হলো অনেক বেশি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতারা। 

আমরা যদি এবারের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে সমস্ত মন্ত্রী এবং এমপিরা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের হিসাব খতিয়ে দেখি তাহলে দেখব যে, বেশির ভাগই আছেন যারা অনেক বেশি আওয়ামী লীগ থেকে পেয়েছেন। এদের মধ্যে ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন ২০০০ সালের দিকে। যোগদান করেই তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, নির্বাচন করেছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পেয়েছেন। ২০০৯ সালে তিনি মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালেও তিনি মন্ত্রী ছিলেন এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবেও তিনি এখন দায়িত্ব পালন করছেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগে এত কিছু পেয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। আর এই সৌভাগ্যের প্রতিদান তিনি দিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ অমান্য করে তার খালাতো ভাই হারুন অর রশীদ হীরাকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করে।

শাজাহান খান আরেকজন যিনি আওয়ামী লীগে এসে প্রাপ্তির ঝুড়ি পূর্ণ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মন্ত্রী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা হিসেবে তিনি পরিবহন সেক্টরে আধিপত্য  দখল করেছেন। আর এবার নির্বাচনে তিনি তার ছেলে আসিফুর রহমান খানকে প্রার্থী করেছেন। 

একরামুল করিম চৌধুরী সেই বিরল ভাগ্যবান আওয়ামী লীগের নেতা যিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং স্থানীয় এলাকা দলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েও আওয়ামী লীগ সভাপতির আপাত্য স্নেহের কারণে এখনও রাজনীতিতে টিকে আছেন। আর তার প্রতিদান তিনি দিলেন দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তার ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে শাবাব চৌধুরীকে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে।

সাহাদারা মান্নান আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা কৃষিবিদ মুহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সহধর্মিণী। কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এক এগোরার সময় সংস্কারপন্থী ছিলেন। বাংলাদেশের পচাঁত্তর পরবর্তী রাজনীতিতে শেখ হাসিনা যাদেরকে টেনে তুলে পাদপ্রদীপে এনেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত আব্দুল মান্নান অন্যতম। আর ২০০৬ সালে সংস্কারপন্থি হওয়ার পরও শেখ হাসিনা তাকে বগুড়া থেকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগে তিনি কিছুটা কোণঠাসা থাকলেও দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়নি। বরং তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সাহাদারা মান্নানকে মনোনয়ন দিয়ে শেখ হাসিনা তার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। আর সেই সহানুভূতির পুরস্কার হল সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। 

বাংলাদেশে যদি সৌভাগ্যবান কোন আওয়ামী লীগার থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলেন আ হ ম মোস্তফা কামাল। তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শুয়ে বসে দিন কাটিয়েছেন। তবু শেখ হাসিনা তার সব অত্যাচার সহ্য করেছেন। অর্থনীতির বারোটা বাজানোর পরও আ হ ম মোস্তফা কামালকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়নি। আর তার পুরস্কার তিনি দিয়েছেন দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে। তার আপন ছোট ভাই এবার উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। 

জাহিদ মালেক হলেন আওয়ামী লীগের ভাগ্যবান এক ব্যক্তি, যিনি রাজনীতিতে কোনো রকম ত্যাগ তিতিক্ষা না করেই অনেক কিছু পেয়ে গেছেন। বিশেষ করে তার বাবা ছিলেন স্বৈরাচারের দোসর এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কর্নেল মালিকের মতো স্বৈরাচারের দোসরদেরকে ছাত্র জনতাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল সেই কর্নেল মালেক পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান এবং তার সূত্র ধরে জাহিদ মালেক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মানিকগঞ্জ থেকে। তিনি ২০১৪ সালে প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৮ সালে পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি এখন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটিরও সদস্য। অথচ তিনি কিনা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তার ভাইকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন।

গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের নেতা এবং জেষ্ঠ্যতম মন্ত্রী আ কম মোজাম্মেল হক। তিনি এতোই ভাগ্যবান যে শেখ হাসিনা তাকে দুবার দলের জেষ্ঠ্যতম মন্ত্রী হিসেবে অলঙ্কৃত করেছেন। মন্ত্রী হিসেবে তিনি কতটুকু সফল হয়েছেন সেটি সাধারণ জনগণ ভালো মতোই জানেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পর একজন জেষ্ঠ্যতম মন্ত্রী হয়েও তিনি দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তার ভাতিজা মুরাদ কবীরকে কালিয়াকৈর উপজেলায় প্রার্থী করেছেন। 

এরকম তালিকা অনেকে দীর্ঘ। যারাই যত বেশি সুযোগ পেয়েছেন তারাই তত বেশি দলের শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এটাই আওয়ামী লীগের একটি বড় ট্রাজেডি।

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় বিএনপির বিদ্রোহীদের পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।

প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।


বিএনপি   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   মির্জা ফখরুল   ড. মঈন খান   নজরুল ইসলাম খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন