ইনসাইড পলিটিক্স

ছাত্রলীগ কি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা থেকে শুরু করে ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান এবং ৭১ এর মুক্তিসংগ্রামে রণাঙ্গণে থেকেছে ছাত্রলীগ। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্রলীগ কাজ করত। সারা বাংলাদেশে পাকিস্তানের অপশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগ ভূমিকা পালন করে।

সম্প্রতি সেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেন ক্রমেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে এখন নানা ধরণের অভিযোগ পাওয়া যায় এবং সেই অভিযোগ গুলো আসে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকেই। এছাড়াও দেশে চলমান সব ধরণের অপরাধকর্মেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নাম পাওয়া যায়। ছাত্র রাজনীতি ছেড়ে টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি, দখলবজি, নারী কেলেঙ্কারি, ধর্ষণ সব জায়গায় তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। ছাত্রলীগের সর্বশেষ বিলুপ্ত কমিটি শোভন-রাব্বানী কমিটির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠে। এর ফলে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর গঠিত ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিও ছাত্রবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচী থেকে বিরত। করোনা সংক্রমণের অজুহাতে কর্মসূচী না দিলেও কমিটিহীন ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটে কেন কমিটি দেয়া হচ্ছে না সে নিয়েও অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী।

ছাত্রলীগের এমন নিষ্ক্রিয়তার ফলে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। তাই ছাত্রলীগকে সজাগ এবং সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কথাও বর্তমান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ মানছে না বলে অভিযোগ করছেন নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট গুলো অভিভাবকহীন থাকার পরও বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য কোন ধরণের পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। তাদের ব্যক্তি স্বার্থে কমিটিগুলো দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন অনেক ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা। ছাত্রলীগের বর্তমান কার্যক্রম এক প্রকার নিষ্ক্রিয়। উল্লেখযোগ্য তেমন কোন কর্মকাণ্ডই করছে না ছাত্রলীগ। তাই ছাত্রলীগ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে তৃণমূলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ অনেকের মনেই।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তারেকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেতাদের

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে যারাই প্রার্থী হবে তাদেরকেই বহিষ্কার করা হবে। তারেক জিয়ার এই নির্দেশনার বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। হেভীওয়েট নেতারা বলছেন, এধরনের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং ঢালাওভাবে এধরনের সিদ্ধান্ত দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদেরকে দলের সিনিয়র নেতারা আশ্বস্ত করেছেন এ বিষয়টি তারা দেখবেন। আর এই আশ্বাসের কারণেই উপজেলা নির্বাচন থেকে বিএনপির প্রার্থীরা সরে যাচ্ছেন না। তারা বুঝতে পেরেছেন এ সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনা করা হবে পুর্নমূল্যায়ন করা হবে।

আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গীরাও তারেকের ওপর বিরক্ত

প্রথম দফায় বিএনপির ৬৩ জন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ৫ জন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। দ্বিতীয় দফায় বিএনপি থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৩ জন। তাদের মধ্যে থেকে মাত্র ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আর তৃতীয় দফায় বিএনপির ৬৮ জন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।

অন্যান্য নির্বাচনগুলোতে যেমন বিএনপি নেতাদের হুমকির পর পরই প্রার্থীরা তাদের মনোন য়ন প্রত্যাহার করেন, এবার তা হচ্ছে না। দলের নির্দেশনা অমান্য করেই উপজেলা নির্বাচনের মাঠে বিএনপির প্রার্থীরা রয়েছেন। এর পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিভক্তি। বিএনপির যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা মনে করছেন, এই নির্বাচন তাদের মধ্যে একটি সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। নির্বাচনে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে প্রার্থী হিসেবে বহাল থাকতে পারলে তাদের জন্য জয় সহজ হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। এই কারণেই দলের নির্দেশনা অমান্য করছেন।

আবার কেউ কেউ ভিন্ন চিন্তা থেকে নির্বাচন করছেন। তারা মনে করছেন যে, একের পর এক নির্বাচন বর্জনের কারণে নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে, সংগঠন দূর্বল এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরকম বাস্তবতায় যদি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যায় তাহলে কর্মী সমর্থকদের কাছে যাওয়া যাবে। দল সংগঠতিত করার জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। আর এই সুযোগ সৃষ্টি করতেই তারা উপজেলা নির্বাচন করছেন।

আরও পড়ুন: বিএনপির সরব নেতারাও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন

বিভিন্ন প্রার্থীরা জানিয়েছেন, যখন তাদেরকে বহিষ্কারাদেশ পাঠানো হয়েছে তখনই তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। একাধিক প্রার্থী দাবী করেছেনে, তারা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের প্রতি নমনীয় এবং সহানুভূতিশীল বলে দাবী করেছেন অন্তত ৩ জন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাড়ানো প্রার্থী। দলের মহাসচিব তাদেরকে বলেছেন, ঠিক আছে, নির্বাচন করে জিতে আসুন তারপর দেখা যাবে।

আরও পড়ুন:  খালেদার বিদেশে চিকিৎসা: পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে?

অন্যদিকে কয়েকজন নেতা রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে, রুহুল কবির রিজভী তাদেরকে মোটেও উৎসাহিত করেননি। কয়েকজন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা দুজনই তাদেরকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দেন। যদি তারা মনে করেন, তারা নির্বাচনে জয়ী হবেন তাহলে তারা নির্বাচন করতে পারেন এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে অনেক নেতাকে।

আর একারনেই উপজেলা নির্বাচন থেকে বিএনপি প্রার্থীরা সড়ে যাচ্ছেন না। তারা মনে করছেন যে, নির্বাচনে যদি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, তাহলে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে আবার দলে ফিরিয়ে নেয়া হবে।  


বিএনপি   তারেক রহমান   মির্জা ফখরুল   মির্জা আব্বাস   রুহুল কবির রিজভি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রী-এমপিদের কপাল পুড়বে?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা দলগতভাবে নির্বাচন করবে না। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেননি এবং দলীয় প্রতীকও ব্যবহার করছে না। উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রথম ধাপের মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, উপজেলায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাতে গোনা দু’একজন। যেমন, তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ছাড়া বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরাই এ সিদ্ধান্ত মানেননি। তাদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হয়ে আছেন। ইতিমধ্যেই আত্মীয় স্বজনের একটি নতুন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:  উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, স্ত্রী-পুত্র নিয়ে পরিবার। এর বাইরে যদি কেউ নির্বাচন করে তাহলে তাদেরকে আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ধরা হবে না। একই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এটিও বলেছেন যে, অনেকের আত্মীয় স্বজনরা ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতা। কোথাও কোথাও তারা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন। তাদেরকে বাঁধা দেওয়া যায় কিভাবে সে প্রশ্ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তুলেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, স্ত্রী, ভাই, বোন সবাইকে নির্বাচনে প্রার্থী করা ঠিক না। এর বাইরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বঞ্চিত হবে। আর এই প্রেক্ষিতেই এ স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন কোন আলোচনা করছে না।

আরও পড়ুন: স্বজন বলতে স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনটাকে সুষ্টু, অবাধ এবং অর্থপূর্ণ করার জন্য কৌশলগত কারনেই এখন কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। তবে উপজেলায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় দেখা হবে। যেসমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা কতগুলো সুনির্দিষ্ট অপরাধ করবেন তাদেরই কপাল পুড়বে। কোন কোন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ উপজেলায় মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দিবেন তার একটি ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:  এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপিদের কপাল পুড়বে। যেমন..

১। যদি ঢালাওভাবে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলায় প্রার্থী করা হয়। যেমনটি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, স্ত্রী, পুত্র একসাথে যদি নির্বাচনে প্রার্থী হয় তাহলে সেই মন্ত্রী এমপিদেরকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে।

২। যদি কোন মন্ত্রী-এমপি তাদের পক্ষের প্রার্থীদের নির্বাচনে জেতানোর জন্য প্রভাব বিস্তার করে তাহলে তাকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে।

৩। যদি মন্ত্রী এমপি আওয়ামী লীগের বা অন্য কোন প্রার্থীর উপর চড়াও হয় বা সহিংসতা করে বা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সেক্ষেত্রে যেসমস্ত মন্ত্রী এমপিদের স্বজনরা এসমস্ত কাজে জড়িত থাকবেন তাদের কপাল পুড়বে।

৪। যদি মন্ত্রী-এমপিরা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রেও তাদের কপাল পুড়বে।

আরও পড়ুন: প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৌশলী আওয়ামী লীগ

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলছেন, চটজলদি কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। তাদের তালিকা তৈরি করা হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাসময়ে যথাযথভাবে সিদ্ধান্ত শৃঙ্খলা লঙ্ঘণকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা করবেন।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মন্ত্রী-এমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় আরও ৬১ জন নেতাকে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। শনিবার (৪ এপ্রিল) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ২য় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বহিষ্কার হওয়া চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে- রংপুর বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৬ জন, ফরিদপুর বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, কুমিল্লা বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন।

বহিষ্কার হওয়া সর্বমোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬ জন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ জন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬ জন। ২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বহিষ্কার বিএনপি প্রার্থী ৬১ জন।

এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ার শুরুতে ৭৩ জনসহ সবমিলিয়ে ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। শনিবার (৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রশিদ হাবিবের মুক্তির দাবিতে হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

আব্বাস বলেন, ‘আরেকটা ফাঁদ, সর্বশেষ ফাঁদ পেতেছে আমাদের আজকের সরকার। তারা বলছে, উপজেলা নির্বাচন। এর আগে জাতীয় নির্বাচনেও ফাঁদ পেতেছিল, বিএনপিকে নির্বাচনে নেবে, কিন্তু বিএনপি সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।’

তিনি বলেন, যেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না সেই নির্বাচনের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই। রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন, রাজতন্ত্র ঘোষণা দিতে পারেন, কিন্তু নির্বাচনের কথা আপনাদের মুখ দিয়ে মানায় না।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচন ভোট দিতে গিয়েছিল লোকজন? এবারও যাবে না। আমার ছোটভাই রিজভী উদাহরণ দিলেন সরিষাবাড়ি, কক্সবাজার ও বরিশালের…ওরা (আওয়ামী লীগ) নাকি বলেছে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। সরকারের পতন হবেই।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম সরকার উৎখাত করবে। আরে ভাই আমি তো সরকারই দেখি না। এটা তো নির্বাচিত সরকার নয়। সুতরাং এই সরকারকে উৎখাত করার দায়দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে তখন লাথি দিয়ে সরকারকে ফেলে দেবে, সরকার থাকতে পারবে না।’

দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একজন-দুইজন-তিনজন করে প্রতিদিন কোর্টে আত্মসমর্পণ করছে, স্বেচ্ছায় জেলে যাচ্ছে। আমরা তাদের মুক্তি দাবি করে আসছি, আজকে এই মানববন্ধনে হচ্ছে। খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো না’

মির্জা আব্বাস বলেন, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তার দল বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া এখন গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আল্লাহ জানেন কখন যে কি হয়।

তিনি বলেন, তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা কতবার বলেছি, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে অথবা চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। তার অবস্থা বেশি ভালো না। আজকে তারা বলছে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যাবে না। অর্থাৎ তাকে হত্যা করতে হবে এবং এমনভাবে করতে হবে যাতে কেউ কিছু বলতে না পারে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এভাবে গ্রেপ্তার করে পৃথিবীর আন্দোলন কোনো স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার জানা নেই। একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই, জনরোষের মুখে এটাকে কেউ টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আন্দোলন হবে, মুক্ত হবে দে ‘

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া দেশের সর্বনাশ করে গেছে। উনি নাকি ঠিকঠাক করছেন। ভাই কি ঠিক করছেন আমার জানা নেই।

হাজার হাজার লাখ কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের মানুষের পেটে ভাত নেই, যারা তিন বেলা খেতেন তারা দুই বেলা খায়। 

সংগঠনের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়দেব জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নাসহ নেতারা বক্তব্য রাখেন।


উপজেলা নির্বাচন   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান বেগম জিয়ার ভাই ও বোন

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে নেওয়ার জন্য এবার প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চান তার ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং বোন সেলিমা রহমান। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সার্বিক রিপোর্ট, এভারকেয়ার হাসপাতালের মতামত এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত নিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। বেগম জিয়ার পরিবারের সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা গেছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা গণভবন থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ নিয়ে সরকারের একাধিক নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। শামীম ইস্কান্দারের ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু বলেছেন যে, শামীম ইস্কান্দার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সময় প্রার্থনা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদেরকে সময় দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য যে, এর আগেও ২০২০ সালে শামীম ইস্কান্দার এবং তার বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেই সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তার ছোট শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে শামীম ইস্কান্দার এবং বেগম জিয়ার ছোট বোন খালেদা জিয়ার জন্য করুণা ভিক্ষা করেন। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্তত বাসায় থেকে চিকিৎসা করার অনুমতি প্রার্থনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে উদারতার পরিচয় দেন। অতীতের তিক্ততা এবং বেগম খালেদা জিয়ার কর্মকান্ড ইত্যাদিকে ভুলে তিনি মানবিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা প্রয়োগ করে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে বিশেষ বিবেচনায় জামিন দেন। সেই জামিনেই গত ৪ বছর ধরে বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা। নির্বাচনের আগে থেকেই শামীম ইস্কান্দার এ ব্যাপারে তৎপর হয়েছিলেন। তিনি সরকারের কাছে এব্যাপারে তিন দফা আবেদন করেন। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামতে জানান, যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া ইতোমধ্যেই ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০১ ধারা ব্যবহার করে ফেলেছেন, কাজেই তার জন্য এখন আর কোনরকম উদারতা প্রদর্শন করা আইনগতভাবে অসম্ভব ব্যাপার। কারণ ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০১ একবার প্রয়োগ হলে তা দ্বিতীয়বার একই ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করা যায় না।

আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, বেগম জিয়া যদি বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চান তাহলে তাকে আগে কারাগারে যেতে হবে। বর্তমান যে সুবিধা তিনি পাচ্ছেন তা বাতিল করতে হবে। তারপর তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে।

কিন্তু বেগম জিয়ার পক্ষ থেকে সেধরনের কোন আবেদন করা হয়নি। সরকারের সঙ্গে নির্বাচনের পর থেকেই শামীম ইস্কান্দার তাকে বিদেশ নেওয়ার জন্য আবেদন করছেন। তবে সেই আবেদনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোন সাড়া দেওয়া হয়নি। আর একারণেই শমীম ইস্কান্দার এবং তার বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান।


বেগম খালেদা জিয়া   শামীম ইস্কান্দার   সেলিমা রহমান   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন