নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২১
বিএনপি বৈঠক করে সিরিজ সন্ত্রাস শুরু করেছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সাম্প্রতিক সিরিজ সন্ত্রাস বিএনপি-জামায়াতের সিরিজ বৈঠকের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। তারা সিরিজ বৈঠক করে সিরিজ সন্ত্রাস শুরু করেছে।
সোমবার (১৮ অক্টোরব) জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন বিশ্ব দরবারে সমাদৃত হচ্ছে তখন বিএনপি-জামায়াত সামপ্রদায়িক শক্তিকে ব্যবহার করে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে, নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা শেখ হাসিনার সরকারের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টির জন্য, শান্তির বাংলাদেশ মিথ্যা প্রমাণের জন্য চেষ্টা করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইনে গুজব সৃষ্টির অপচেষ্টায় ব্যস্ত।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি। তারা জামায়াতের সাথে মিলে সকল সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকানি দেয়। তারা চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীর পর গতকাল রংপুরের পীরগঞ্জে হামলা করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা সিরিজ বৈঠক করে সিরিজ সন্ত্রাস শুরু করেছে। এই সন্ত্রাসকে যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করতে হবে।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ রাসেলকে স্মরণ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা শেখ রাসেলের মতো নিষ্পাপ ছোট শিশুকে হত্যা করতে পারে তারা বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে সবচেয়ে নিষ্ঠুর। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে শিশুকে হত্যা করা হয়নি। আজ রাসেল বেঁচে থাকলে তিনি হতেন জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবীত এক নেতা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।