নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৬ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২১
তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে আওয়ামী লীগের বহিষ্কার করা উচিত মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেন, ‘তথ্য প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রধর্ম মানি না বলে সংবিধানের শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাঁর উচিত পদত্যাগ করা।’
সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে দলের টাঙ্গাইল জেলার নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জি এম কাদের এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে আওয়ামী লীগই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রেখেছে। তাই আওয়ামী লীগের উচিত দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ওই প্রতিমন্ত্রীকে বহিষ্কার করা। প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে ওই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।’
জি এম কাদের আরও বলেন, ‘দেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের মনের আশা পূরণ করতেই পল্লিবন্ধু এইচ এম এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেন। এর বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মেনে নেবে না। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদকে কটূক্তি করে জঘন্য কাজ করেছেন ওই প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে কটূক্তি করে গর্হিত কাজ করেছেন। অবশ্যই তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সমালোচনা করে জি এম কাদের বলেন, এ দুটি দল দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। মানুষ এক বুক আশা নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।
দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।