নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২১
সারাদেশে নতুন করে সহিংসতা, সরকার বিরোধী আন্দোলন এবং নানা ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা ইতিমধ্যে দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করাসহ দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ রাজপথে নামার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলেও দলের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বিএনপি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছে। এই ধরনের কর্মসূচিগুলো যেকোন সময় সহিংস রূপ নিতে পারে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন। এছাড়াও হাফপাশ, নিরাপদ সড়কের দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আজ দিনভর ছাত্ররা বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ করেছে এবং আন্দোলন করেছে।
এই সড়ক অবরোধ এবং আন্দোলন যেকোনো সময় অন্য মোড় নিতে পারে বলেও আওয়ামী লীগ মনে করছে। আর এ কারণেই কর্মীদেরকে প্রস্তুতি হওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন যে, যেকোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলন করার অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর আছে। পরিবহনের ভাড়া কমানোসহ বিভিন্ন ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু এই আন্দোলনকে কেউ যেন অন্য খাতে না নিয়ে যেতে পারে এবং এসব আন্দোলনের মূল লক্ষ্য যেন ষড়যন্ত্র না হয় সে জন্য আওয়ামী লীগ সজাগ। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের সংগঠিত হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে দুই ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারা যেন দলীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান গ্রহণ করে এবং পহেলা ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাসের ৫০তম বার্ষিকীর মাসের সূচনা হচ্ছে।
পহেলা ডিসেম্বর থেকেই আওয়ামী লীগ কর্মসূচি দেবে। আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন যে, মিছিল-সমাবেশসহ বিভিন্ন রকম কর্মসূচির মধ্যে থাকবে আওয়ামী লীগ। এর সঙ্গে বিএনপির কর্মসূচির কোনো সম্পর্ক নেই বলেই আওয়ামী লীগের নেতারা দাবি করেছেন। আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আমরা কোন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছি না। যেহেতু ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস এবং এই বিজয় স্বাধীনতার আমাদের ৫০ তম বিজয়ের বার্ষিকী। সেজন্য আওয়ামী লীগ পুরো মাসব্যাপী নানারকম কর্মসূচি রেখেছে। সেই কর্মসূচির মধ্যে সভা-সমাবেশ-মিছিল ইত্যাদি রয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, রাজপথ যেন বিএনপি-জামাতের দখলে চলে না যায় এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যেন অন্য দিকে মোড় না নেয় সেটি আওয়ামী লীগের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, খালেদা জিয়ার ইস্যুকে নিয়ে জলঘোলা করার চেষ্টা চলছে এবং এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে একটা নাশকতা সৃষ্টি এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরীর সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আর এটা শুধু প্রশাসনিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও আওয়ামী লীগ মোকাবেলা করতে চায়। আওয়ামী লীগের একজন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি একটি চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহানুভবতার চরম পর্যন্ত দেখিয়েছেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করে উন্নত চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখন বিএনপি এটিকে রাজনীতিকরণ করতে চাইছে। তারা মনে করছে, খালেদার লাশের উপর তারা আওয়ামী লীগের পতন ঘটাবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন তাদের কখনোই পূরণ হবে না। আওয়ামী লীগের নেতারা এজন্যই সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং দলের নেতাকর্মীরা যেন সতর্ক ও সজাগ থাকেন। যেকোন ধরনের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে যেন পা না দেন, সে ব্যাপারে সবাইকে নতুন করে সতর্ক করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।