হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে জাতীয় পার্টির নেতারা। বিশেষ করে জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি গৃহপালিত বিরোধীদল থেকে একটি স্বাতন্ত্র্য ও সত্যিকারের বিরোধীদল হওয়ার দৃশ্যমান চেষ্টা করছেন। জাতীয় সংসদে যেমন তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নীতি, কর্মসূচি, কর্মকাণ্ডের
সমালোচনা করছেন এবং জাতীয় পার্টি এখন সত্যিকার বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলে বলছেন, তেমনি সংসদের বাইরেও তিনি এধরনের কথা বলছেন। সাম্প্রতিক
সময়ে মুজিবুল হক চুন্নুর বিভিন্ন বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে- ’’আমলারা, ইউএনওরা আনসার নিয়ে ঘোরে আর এমপিরা বেআক্কেলের
মতো ঘোরে” কিংবা ’’জাপার সঙ্গে প্রেম করে আওয়ামী লীগ তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। এখন তারা আমাদের উপর নির্যাতন করছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আর কোন প্রেম নেই আমাদের। এ ধরনের বক্তব্য গুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম চিন্তার উদ্রেক করেছে। জাতীয় পার্টি কি তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সুসম্পর্কের
তাহলে কি ইতি ঘটে গেল? জাতীয় পার্টি কি আগামীতে আর মহাজোটে থাকবে না? কিংবা দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েনের উৎস কি? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে।
আবার এসব প্রশ্নের বিপরীতে অনেকে মনে করছে, যেহেতু এখন বিএনপি আন্দোলন করছে সেজন্য জাতীয় পার্টি একটি সরকার বিরোধী মনোভাব দেখিয়ে তারাও জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছে এবং বিএনপি যেন বিরোধী দল হিসেবে একক কর্তৃত্ব না করতে পারে সেজন্য জাতীয় পার্টিকেও বিরোধী দল হিসেবে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলেও অনেকে মনে করছেন। তারা মনে করেন যে, এটি আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির একটি পাতানো খেলা। তবে পাতানো খেলা না সমস্যা, সেটিই এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ২০০৬ সাল থেকেই আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির ঐক্য। বিশেষ করে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির ইয়াজউদ্দিন
আহমেদ যে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন,
সেই নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে হাইকোর্ট নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে
সেসময় আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত দুই দল দুই যুগের বেশি সময় ধরে ঐক্যবদ্ধ আছে। মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি। ২০০৯ সাল এবং ২০১৪ সালের জাতীয় পার্টির আওয়ামী লীগ সরকারের শরিক ছিলেন এবং দুই মেয়াদেই জাতীয় পার্টির নেতারা মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ একলা চলার নীতি গ্রহণ করে। জাতীয় পার্টি কেন, ১৪ দলের কাউকে আওয়ামীলীগ
মন্ত্রিসভায় রাখেনি। এখান থেকে সংকটের শুরু হয়েছে কিনা, সে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম বিতর্ক আছে।
অনেকেই মনে করেন যে, জাতীয় পার্টির একটি অংশ সরকারের অনুগত এবং মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত
থেকেই রাজনীতি করতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু জাতীয় পার্টি একটি বড় অংশ সত্যিকারের বিরোধীদল হিসেবে থাকতে চেয়েছিলেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু অনেকটাই আওয়ামী ঘরানার ছিলেন বলে মনে করা হয়। এমনকি মুজিবুল হক চুন্নুও আওয়ামী লীগ ঘরানার। তিনি গতবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভার
সদস্যও হয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি হঠাৎ করে বিরোধী দলের ভূমিকা নিচ্ছেন কেন? অনেকেই মনে করেন যে, অস্তিত্ব রক্ষার কারণেই জাতীয় পার্টি এখন বিরোধী দলের ভূমিকা নিচ্ছে। যখন তারা সরকারের অনুগত হিসেবে থাকছে তখন সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি এখন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আবার বিরোধী দল হিসেবে শক্তিশালী হচ্ছে। এরকম বাস্তবতায়
জাতীয় পার্টির জন্য এটি একটি টিকে থাকার সংগ্রাম। আবার এ ব্যাপারে ভিন্নমতও হয়েছে। অনেকে মনে করেন যে, সরকার বিরোধী আন্দোলনের মাঠ যেন বিএনপি একা না পায় সেজন্য জাতীয় পার্টিকে মাঠে নামানো হচ্ছে। জাতীয় পার্টির সাথে সরকারের সম্পর্ক আসলে কতটুকু উষ্ণ, কতটুকু শীতল, তা আসলে নির্বাচনের
আগে ছাড়া বোঝার উপায় নেই।
আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি বিএনপি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ১৭ মে দেশের বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ
করবে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি।
বুধবার (১৫ মে) আওয়ামী লীগের ত্রাণ
ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি
ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার
(১৬ মে) দুপুর ১টায় তেজগাঁও ‘রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা’য় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে
সুষম খাবার বিতরণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়াও এদিন রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর
সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডস্থ এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ
সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী
বিতরণ করা হবে।
একই সঙ্গে সিলেট হযরত শাহজালালের (র.)
মাজার সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানতের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা
ও গরীব উল্লাহ শাহের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানাতেও খাবার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
হবে।
এছাড়াও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির
সদস্যদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত এতিমখানাগুলোতে সুষম খাবার পরিবেশন
করা হবে।
পরের দিন শনিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের
কদম মোবারক এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এতিমখানা আওয়ামী লীগ উপ-কমিটি
মন্তব্য করুন
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী
তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান
প্রার্থী ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, রংপুর বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, ঢাকা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, কুমিল্লা বিভাগের ছয়জন ও খুলনা বিভাগের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চীন সফর ভারত যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন।