মিউয়নের
ওপর অজানা একটি বল কাজ করছে বলে বিশ্বাস
এ বিজ্ঞানীদের।
সেই পঞ্চম মৌলিক বল আবিষ্কারের
কাছাকাছি
আছেন বলে দাবি তাদের। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত
হওয়ার জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন
বলে জানিয়েছেন
তারা।
প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, সেগুলো যদি
নিশ্চিত হয়
তা হলে
এটি পদার্থবিজ্ঞানে একটি নতুন
বিপ্লবের সূচনা
ক্ষণ হিসেবে
চিহ্নিত হতে
পারে।
প্রাত্যহিক জীবনে
আমরা যেসব
বলগুলোর অভিজ্ঞতা
অর্জন করি
সেগুলো মূলত
প্রকৃতির চারটি
মৌলিক বলের
অংশ। এগুলো
হলো-মহাকর্ষীয়
বল, বিদ্যুৎ চৌম্বকীয়
বল, সবল নিউক্লীয়
বল ও
দুর্বল নিউক্লীয়
বল। এই
মহাবিশ্বের সব
ধরনের বস্তু
ও কণা কীভাবে
পরস্পরের ওপর
ক্রিয়া করবে
তা এই
বলগুলোই নির্ধারণ
করে।
২০২১
সালে ফার্মিল্যাবের
গবেষক দল প্রথম প্রকৃতিতে
পঞ্চম আরেকটি বল সক্রিয় থাকতে পারে বলে জানিয়েছিলেন,
তাদের ঘোষিত ওই ফলের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী
গবেষণাগুলো
করা হয়।
তারপর থেকে
গবেষক দল
আরও তথ্য
যোগাড় করেন।
তারা তাদের
পরিমাপের অনিশ্চয়তা
হ্রাস করে
২ এর উৎপাদকে
নামিয়ে আনতে
সমর্থ হন
বলে জানিয়েছেন
ফার্মিল্যাবের জ্যেষ্ঠ
বিজ্ঞানী ড.
ব্রেন্ডন কেসি।
তিনি বলেন,
আমরা সত্যিই নতুন অঞ্চল অনুসন্ধান করছি। আমরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও নির্ভুলভাবে পরিমাপগুলো করার চেষ্টা করছি।
‘জি মাইনাস টু’ নামের একটি গবেষণায় গবেষকরা মিউয়ন নামের অতি-পারমাণবিক কণাকে প্রায় ১৫ মিটার ব্যাসের একটি রিংয়ের মধ্যে ত্বরণায়িত করেছেন। এখানে কণাগুলোকে তারা প্রায় আলোর গতির কাছাকাছি গতিতে হাজারবারের মতো ঘোরান। তাদের পাওয়া নজিরগুলো শক্তিশালী হলেও ফার্মিল্যাবের দলটি চূড়ান্ত প্রমাণ এখনও পায়নি, তারা আশা করছেন সেটি পেয়ে যাবেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন