মঙ্গল
গ্রহেও কি এককালে ছিল
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা? ছিল প্রাণের স্পন্দন?
বিজ্ঞানীদের ধারণা অতীতে কোনও এক সময়
মঙ্গল গ্রহেও ছিল ঋতুচক্র। বিজ্ঞানীদের
অনুমান, হয়তো কোনও সময়ে
বসবাসের যোগ্য ছিল লাল এই
গ্রহ।
সম্প্রতি
মঙ্গলগ্রহ অভিযানে যাওয়া নাসার মহাকাশযান ‘কিউরিওসিটি’ কিছু ফাটলের ছবিগুলো
তুলে ধরে। আর এই
ফাটলগুলিই নতুন দিগন্ত খুলে
দিয়েছে মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে গবেষণার জন্য।
ফাটলগুলো
পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, ওই ফাটলগুলিতে
পানি ছিল। পরবর্তী সময়ে
তা বাষ্প হয়ে উবে যায়।
পানি জমা ও বাষ্পীভূত
হওয়ার ফলেই এই ফাটলগুলির
সৃষ্টি বলে মত বিজ্ঞানীদের।
এই প্রক্রিয়া কোনও এক সময়
নিয়মিত ভাবেই মঙ্গলের বুকে দেখা যেত
অনুমান তাদের। এর জেরেই ফাটলগুলো
সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।
মঙ্গলের
ফাটলগুলো বিশ্লেষণ করে ভূতাত্ত্বিক ও
মহাকাশ গবেষকরা বলছেন, গ্রহটিতে একসময় পৃথিবীর মতো গ্রীষ্ম, বর্ষা
ঋতু বিরাজ করত। এই ফাটলগুলো
ভূপৃষ্ঠের মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার নীচে
অবস্থিত হওয়ায় মনে করা হচ্ছে
এক সময়ে মঙ্গলে দ্রুত
ঋতু পরিবর্তন হতো। হয়তো সেসময়ে
প্রাণচঞ্চল গ্রহ ছিল মঙ্গল।
মঙ্গলের
মাটির ফাটল সংক্রান্ত গবেষণার
কাজে যুক্ত বিজ্ঞানী নিনা লানজা এই
প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মঙ্গলের মাটির এই ফাটলগুলো পর্যবেক্ষণ
করে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে,
একসময়ে মঙ্গলে পানির অস্তিত্ব ছিল।
এখন
প্রশ্ন, কোনো একসময়ের পানিতে
সিক্ত মঙ্গল কীভাবে আজকে এমন শীতল
ও শুষ্ক গ্রহে পরিণত হল? পানি শুকিয়ে
যাওয়ার প্রমাণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা এই ফাটলগুলোকে চিহ্নিত
করছেন। মঙ্গলে তরল পানি যে
ছিল, তা প্রায় নিশ্চিত
বিজ্ঞানীরা। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় অনুমান সময়টা আজ থেকে প্রায়
৩০ হাজার কোটি বছর আগে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন