নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৯ পিএম, ২১ মে, ২০১৮
দিন দিন প্রিয় কম্পিউটার বা ল্যাপটপটি ধীরগতির হয়ে যাচ্ছে। কাজ করতে গেলে প্রায়ই পড়তে হয় সমস্যায়। অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ভেতরে সব কার্যক্রম কমে আসতে থাকে। তাই নিজ দায়িত্বে কম্পিউটারটির যত্ন নিন, গতি বাড়ান এই পদ্ধতিগুলো মেনে:
১. হার্ডড্রাইভের অতিরিক্ত ব্যবহার কম্পিউটারকে ধীর গতির করে তোলে। তাই হার্ডড্রাইভের প্রতিটি ড্রাইভে অন্তত ১৫ শতাংশ খালি রাখা উচিত। এছাড়া মাঝে মাঝে ড্রাইভের প্রোপার্টিজ টুলস থেকে ‘ডিস্ক ক্লিন আপ’ করুন। এতে করে সেই ড্রাইভে জমে থাকা টেম্পোরারি ফাইলগুলো মুছে যাবে। যার পরিমাণ অনেক সময় ধরে ধরে জমে জমে গিগাবাইট পর্যন্ত হতে পারে।
২. নিয়মিত ডিস্ক এরর চেক করতে হবে। টাকা বাঁচানোর জন্য পুরাতন হার্ডড্রাইভ কিনতে চাইলে অবশ্যই সর্তকতার বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে ।
৩. অনেক প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স কার্ডে ওভারক্লক করার অপশন থাকে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে কম্পিউটারের গতি বাড়বে।
৪. কোনো অতিরিক্ত সফটওয়্যার ইনসটল না করাই ভালো। শুধু যে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় সেগুলো ইনসটল করা উচিত। অতিরিক্ত সফটওয়্যার ইনসটলের ফলে র্যামের ওপর প্রেসার পরে। ফলে গতি কমে যায়। তাই অপ্রয়োজনীয় গুলো সরিয়ে নিতে হবে।
৫. সবসময় সফটওয়্যারের সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।
৬. সম্পূর্ণ কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা সম্ভব না হলে র্যাম, হার্ডড্রাইভের মতো কিছু যন্ত্রাংশ পরির্তন করা যেতে পারে। তবে গতি বৃদ্ধি জন্য বেশ সহায়ক হলো এসএসডি। সাধারণ হার্ডডিস্কের তুলনামূলক কম রিড-রাইট স্পিডের ফলে গতি কমে যায়। দীর্ঘদিন ব্যবহাররের পর ফ্র্যাগমেন্টেশনহয়ে কমে যেতে থাকে হার্ডডিস্কের গতি। সেক্ষেত্রে সহজ সমাধান হতে পারে হলো এসএসডি (সলিড স্টেট ড্রাইভ) ব্যবহার করা।
৭. কম্পিউটার চলার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু প্রোগ্রাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে থাকে, যা অনেক ব্যবহারকারী বুঝতে পারেন না। অপ্রয়োজনীয় হলে সেগুলো না রাখাই ভালো। প্রতিটি প্রোগ্রামই মেমোরি দখল করে এবং কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। পিসিতে টাস্ক ম্যানেজারের মাধ্যমে এ সফটওয়্যারগুলোর তালিকা দেখতে পারেন। এ জন্য কি-বোর্ডে অল্টার+কন্ট্রোল+ডিলিট একত্রে চাপতে হবে। এরপর `স্টার্ট টাস্ক ম্যানেজার`-এ যেতে হবে। এখানে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিন।
৮. ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ব্রাউজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরনো ব্রাউজার অনেক সময় ধীরগতির কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের জন্য দায়ী। যে ব্রাউজারই ব্যবহার করেন না কেন, তা আপডেটেড রাখা খুবই প্রয়োজনীয়।
৯. কম্পিউটারে যদি ভাইরাস আক্রমণ করে, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তা ধীরগতির হয়ে যায়। এজন্য নিয়মিত ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস দিন কম্পিউটারে। এবং নিয়মিত সেটি আপডেট করতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন