নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮
ই-কমার্সের কল্যাণে কেনাকাটা এখন অনেক সহজ। ঘরে বসেই চটপট ঝামেলাহীনভাবে বাজারসহ যে কোন ধরনের কেনাকাটা করা যায় এসব অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে। গোটা বিশ্বজুড়েই রয়েছে এমন হাজার হাজার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। আসুন তাহলে জেনে নেই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে।
আমাজন (Amazon)
বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হলো আমাজন। ১৯৯৪ সালের ৫ জুলাই জেফ বেজোস এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। বর্তমানে বিশ্বের ১৫টি দেশে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা করছে আমাজন। প্রায় ২,২২,০০০ এর বেশি কর্মচারী বিশ্বসেরা ই-কমার্স আমাজনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ভোক্তাদের কাছে দ্রুত পণ্য সরবরাহ করার জন্য অ্যামাজন তাদের ওয়্যারহাউজ গুলোতে স্মার্ট রোবট সিস্টেম চালু করেছে।
ইবে (eBay)
মার্কিন ই-কমার্স কোম্পানি ইবে অনলাইন কেনাবেচার জগতে পরিচিত একটি নাম। ইবের রয়েছে ১৯০টি আলাদা আলাদা অনলাইন বাজার এবং ১৬৭ মিলিয়নের বেশি সক্রিয় ক্রেতা। ইবেতে খুব সহজে কোনো পণ্য কেনার পাশাপাশি বিক্রিও করা যায়। বিশ্বের ৩০টি দেশে বর্তমানে ইবে চালু রয়েছে। ১৯৯৫ সালে পিয়ের ওমিডিয়ার ইবে প্রতিষ্ঠা করেন। ইবের সদরদপ্তর অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান হোসেতে।
এটসি (Etsy)
সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিভাবান কারুশিল্পীদের তৈরি নানা জিনিসের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস হলো এটসি। ২০০৫ সালে নিউ ইয়র্কে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত এই মার্কেটপ্লেসের নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫৪ মিলিয়ন। এটসি এখনো পর্যন্ত ৪৫ মিলিয়নের বেশি পণ্য বিক্রি করেছে। এখানে রয়েছে ১.৭ মিলিয়নের বেশি সক্রিয় বিক্রেতা ও ২৮.৬ মিলিয়নের বেশি ক্রেতা। এটসির জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আলিবাবা (Alibaba)
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ই-কমার্স প্লাটফর্ম হলো আলিবাবা। চায়না এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করে আলিবাবা। ৪২০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ গত কয়েক বছরে আলিবাবা গ্রুপের ই-কমার্স সাইটগুলোতে পণ্য বিক্রি করে ৪৮৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে। কোম্পানিটি ২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি করেছে যা জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের থেকেও বেশি। বিশ্বে ১৯০টি দেশের বিক্রেতাদের পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছে আলিবাবা গ্রুপ।
বোনানজা (Bonanza)
এই অনলাইন মার্কেটপ্লেসটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালে। ২০১২ সালের মধ্যেই সেরা ই-কমার্স সাইট হিসেবে বহু পুরষ্কার জিতে নিয়েছে। জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ইবের বিকল্প হিসেবে ধরা হয় বোনানজাকে। এটি খুব সহজেই এসব উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্যের গ্রাহক খুঁজে পেতে সাহায্য করে। বোনানজাতে বর্তমানে ১৫ মিলিয়নের বেশি পণ্যসামগ্রী রয়েছে। এছাড়াও প্রায় চল্লিশ হাজারেরও বেশি উদ্যোক্তাকে তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দিয়েছে এই মার্কেটপ্লেসটি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন