নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪০ এএম, ১৩ মে, ২০১৯
অ্যাপলের নতুন কোনো আইফোন আসার আভাস পাওয়া মানেই আমাদের কাছে বিশাল এক চমক। অ্যাপল তাদের পরবর্তী প্রজন্মের আইফোন আনার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে এরই মধ্যে। ফোনটির মডেল নাম হতে যাচ্ছে ‘আইফোন ১১’।
প্রযুক্তি দুনিয়াতে এরই মধ্যে আইফোন ১১ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খবর ফাঁস হয়েছে। নতুন ওই আইফোনে ক্যামেরারও পরিবর্তন আসছে সেটাও জানা গেছে। আইফোন ১১-র জন্য ইতোমধ্যে মূল যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ এবং উৎপাদন শুরু হয়েছে।
তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ডিভাইসটির জন্য এ১৩ প্রসেসর পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে চলতি মাসেই আইফোন ১১ উৎপাদনের কাজ শুরু হচ্ছে।
কি থাকছে আইফোন ১১ তে
নতুন ফোনটির পিছনে থাকবে তিনটি ক্যামেরা। ডিভাইসটিতে রিভার্স চার্জিং সুবিধাও থাকছে। তবে এতে ফাইভজি থাকবে কি থাকবে না সে সম্পর্কে কিছু বলেনি অ্যাপল। প্রতিবেদনমতে, ফাইভজি নিয়ে তেমন কোনো প্রত্যাশা নেই। তবে এর দাম সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
মূলত, অ্যাপলের ইভেন্টগুলো সেপ্টেম্বর মাসেই হয়। সেই অনুযায়ী আসছে সেপ্টেম্বরেই আমরা আইফোন ১১ দেখতে পাবো বলে আশা করা যাচ্ছে। এর আগে জুনে শুরু হতে যাওয়া ডাব্লিউডাব্লিউডিসি সম্মেলনে অ্যাপল তাদের অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ আইওএস ১৩ উন্মোচন করবে বলেও জানা গেছে। এর পাশাপাশি ম্যাকওএসের নতুন সংস্করণ এবং অ্যাপল ওয়াচের জন্য আলাদা অ্যাপ স্টোরের ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ইভেন্টেই অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড ও ম্যাকবুক আসার সম্ভবনা রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন