নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২১ পিএম, ২৭ মে, ২০২০
বিজ্ঞানের বিস্ময় মানুষকে প্রতিনিয়তই ভাবাচ্ছে। অবাক করা অনেক প্রযুক্তিই এখন মানুষের ঘরে ঘরে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত অনেক কিছুই প্রযুক্তির ছোঁয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বৈশ্বিক স্মার্ট ঘড়ির বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রেখেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। এবার মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটি ঘড়ির পর গুগল গ্লাসের মতো স্মার্ট চশমা আনতে যাচ্ছে বিশ্ব বাজারে।
বলতে গেলে চশমার আদলে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের চেয়েও অ্যাডভান্স অনেক বিস্ময় ও রহস্য যুক্ত থাকবে সেই চশমায়। অনেকদিনের গবেষণা অনুযায়ী এ বছরের শেষে বা ২০২১ এর শুরুতে বা ২০২২ সালে রিলিজ হতে পারে এই সুপার ডিজিটাল ডিভাইসটি।
ডিভাইসটি বাজারে আসার আগেই এটি নিয়ে নানা রকম মুখোরোচক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই অ্যাপলের চশমা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানাচ্ছে, বলা হচ্ছে এগুলো ফাঁস হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন রকম ফিচারের কথা, যা যুক্ত থাকবে অ্যাপলের ঐ স্মার্ট চশমায়। ‘ফ্রন্ট পেজ টেক’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে এর ডিজাইন, রহস্যময় অনেক ফিচার, নামকরণ, মূল্য ও বাজারের আসার তারিখ নিয়ে কিছু এক্সক্লুসিভ তথ্য ফাঁস করা হয়েছে।
ওই ইউটিউবারের দেওয়া তথ্য ও বিভিন্ন পোর্টালের প্রতিবেদন বলছে, প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের চশমায় iPad Pro এর মতো AR সেন্সর থাকবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জন্য ও প্রজেক্টর থাকবে চশমার পিছনে কন্টেন্ট দেখার জন্য। ডাটা প্রসেস হবে আইফোনে, ওয়ারলেস চার্জিং ও Starboard UI-ও থাকবে।
এও বলা হচ্ছে, এই চশমায় ক্যামেরা, মাইক্রোফোনস, হেডসেটস এমনকী তুলনামূলক অনেক অ্যাডভান্স শক্তিশালী সেন্সরও থাকবে। আইফোনের সাথে কানেক্টেড থেকে অ্যাপলের এই ডিভাইস তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। যাতে গুগল গ্লাসের আদলে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, অডিও-ভিডিও কলিং, ছবি তোলা, ভিডিও করা, ম্যাপ দেখা, ফেস ও লোকেশন রিকগনাইজ করাসহ অনেক সুবিধা থাকবে। যার মূল্য শুরু হতে পারে ৪৯৯ ইউএস ডলার থেকে।
ভিডিও লিংক:
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন