নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪২ পিএম, ১৮ জুলাই, ২০২১
বিশ্বের দ্রুততম সুপারকম্পিউটার বানাল চিন। এখন দুনিয়ার সর্বাধুনিক সুপারকম্পিউটারের যে জটিল গাণিতিক সমস্যার জট খুলতে লেগে যায় কম করে ৮ বছর, চিনা বিজ্ঞানীদের বানানো এই সুপারকম্পিউটার সেই সমস্যার সমাধান ৭০ মিনিটের মধ্যেই করে ফেলতে পারছে বলে গবেষকদের দাবি। ৬৬ কিউবিটের এই দ্রুততম সুপারকম্পিউটারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুশংসি’।
সাধারণ বা ‘ক্লাসিক্যাল’ কম্পিউটারে যেটা ‘বিটস’ সেটাই কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ‘কোয়ান্টাম বিটস’ বা ‘কিউবিটস’। রিভিউ পর্যায় পেরিয়ে গবেষণাপত্রটি একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকায় এখন প্রকাশের অপেক্ষায়।
গবেষণাপত্রটিতে জানানো হয়েছে গুগলের ৫৪ কিউবিটের সাইকামোর কোয়ান্টাম কম্পিউটার যে ধরনের জটিলতম গাণিতিক সমস্যার জট খুলতে পারদর্শী, জুশংসি তার চেয়ে ১ হাজার গুণ জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে এক ঘণ্টার একটু বেশি সময়ে, মাত্র ৭০ মিনিটে।
শুধু তা-ই নয়, কোনও একটি সমস্যার জট অনেক দ্রুত গতিতে খুলে ফেলার পাশাপাশি, একই সঙ্গে বহু সুজটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধানেও জুশংসি পারদর্শিতা অনেক গুণ কম সময়ে দেখাতে পেরেছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের পদার্থবিদ পিটার নাইট বলেছেন, “মানতেই হবে, গবেষকরা অসাধ্যসাধন করেছেন। এত তাড়াতাড়ি এমন দ্রুত সুপারকম্পিউটার আমরা বানিয়ে ফেলতে পারব বলে আমার অন্তত আশা ছিল না। এই উদ্ভাবন জ্যোতির্বিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞানে তো বটেই সাধারণ মানুষেরও কাজে লাগতে শুরু করবে হয়তো আর কয়েক বছর পর থেকেই।”
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন