নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৩ পিএম, ০৫ অক্টোবর, ২০২১
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহায়তায় শুরু হয়েছিল নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, বেসিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারহানা এ রহমান এবং নাসা স্পেস চ্যালেঞ্জের উপদেষ্টা, বিচারক, মেন্টর এবং সহস্রাধিক প্রতিযোগী।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে বিশেষ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-এর মতো আয়োজন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে আমি মনে করি। আমাদের দেশের সকল দুর্যোগ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাবে তরুণ সমাজ। নাসা এক্ষেত্রে একটি দুর্দান্ত উদ্যোগ বলে আমি মনে করি।
বেসিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারহানা এ রহমান বেসিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারহানা এ রহমান বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন এবং বলেন, বাংলাদেশ থেকে আট শতাধিক প্রকল্প এবার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় জমা দেয়। ১২৫টি প্রকল্প নির্বাচিত হয়েছে যারা ভার্চুয়ালি গত ১-২ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ভার্চুয়ালী ৪৮ ঘণ্টার হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে ৩টি করে মোট ২৭টি প্রকল্পকে আমরা এইবার পুরস্কৃত করছি। বাংলাদেশ কিন্তু ইতিমধ্যেই নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিতে পেরেছে। এইবারের বেশ কয়েকটি প্রকল্প আন্তর্জাতিকভাবেও পুরস্কৃত হবে বলে আমি আশাবাদী। দেশের শীর্ষস্থানীয় স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে মেধা ছড়িয়ে আছে নাসা স্পেস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা তার সন্ধান পেয়েছি।
তিনি আরও জানান যে, এই বছর বুয়েট ও শাহজালালের মতো বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যেমন রয়েছে তেমনি রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিযোগীরা ভাল অবস্থানে রয়েছে। পিছিয়ে নেই নগরীর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোও। এমনকি উক্ত প্রতিযোগিতায় আমরা দেশের স্বনামধন্য স্কুল-কলেজের মত প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল-কলেজের অংশগ্রহন ছিলো চোখে পড়ার মতন।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১-এর উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু বলেন, বেসিস নাসার প্রোজেক্ট এক্সিলেটর প্রোগ্রাম সম্পর্কে ধারণা দেন। তিনি ভবিষ্যতে নাসার প্রোজেক্ট এক্সিলেটর প্রোগ্রাম মাধ্যমে পঞ্চাশটির অধিক টিম নিয়ে বছরব্যাপী কাজ করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১-এর উপদেষ্টা ও ক্লাউড ক্যাম্প বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জনাব মাহাদি-উজ-জামান অনুশঠানটি সঞ্চলনা করেন।
সপ্তমবারের মতো বাংলাদেশে আয়োজিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা নাসা স্পেস অ্যাপ্স চ্যালঞ্জ ২০২১। বিশ্বের শতাধিক নগরীর মতো আর্ন্তজাতকিভাবে বিশ্বের ৩২১টি শহরে একযোগে স্পেস অ্যাপস চ্যালঞ্জে হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে) র্ভাচুয়ালি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এই প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীরা চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
এ বছর নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রথম বছরের তুলনায় অন্তত দশগুণ বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি এক লাখ শিক্ষার্থীকে অনলাইনে প্রতিযোগিতায় যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আট শতাধিক প্রকল্প এবার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় জমা দেয়। অসম্পূর্ণ প্রকল্প বাতিল করার পর যাচাই-বাছাই শেষে ১২৫টি প্রকল্প নির্বাচিত হয়েছে যারা ভার্চুয়ালি গত ১-২ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ভার্চুয়ালী ৪৮ ঘণ্টার হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করেছেন।
মন্তব্য করুন
তিনবার বিলম্বের
পর অবশেষে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো জাপানের মহাকাশযান স্লিম। বৃহস্পতিবার
(৭ সেপ্টেম্বর) নিজস্ব তৈরি এইচ-আইআইএ রকেটে চড়ে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের দিকে যাত্রা
শুরু করেছে জাপানি মহাকাশযানটি। এর ফলে চন্দ্রজয় করা পঞ্চম দেশ হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে
জাপানের সামনে।
জাপান অ্যারোস্পেস
এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী রকেটটি দক্ষিণ জাপানের
তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উড্ডয়ন করে এবং সফলভাবে স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং
মুন (স্লিম)-কে উন্মুক্ত করেছে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার
কারণে গত মাসে এক সপ্তাহে তিনবার স্থগিত করা হয়েছিল জাপানি মহাকাশযানের মহাকাশযাত্রা।
জাপানের লক্ষ্য,
চন্দ্রপৃষ্ঠে লক্ষ্যস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যে ‘মুন স্নাইপার’ ল্যান্ডারকে অবতরণ করানো।
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহাকাশযানটি চাঁদে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পে
জাপানের খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার (১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা প্রায়)।
চাঁদের মাটিতে
ভারতের চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে অবতরণের মাত্র দু’সপ্তাহ পরেই এই চন্দ্রাভিযান শুরু করলো
জাপান। ওই মিশনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ এবং
চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রজয়ের রেকর্ড গড়েছে ভারত।
এর আগে, গত
বছর চাঁদে অবতরণের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল জাপানের। গত নভেম্বরে ওমোতেনাশি ল্যান্ডারের
সঙ্গে জাক্সার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ভেস্তে যায় চাঁদে অবতরণের চেষ্টা। এছাড়া
এপ্রিল মাসে চাঁদের পৃষ্ঠে নামার সময় বিধ্বস্ত হয় জাপানি স্টার্টআপ ইস্পেসের তৈরি
হাকুটো-আর মিশন ১ ল্যান্ডারটি।
বৃহস্পতিবারের
এইচ-আইআইএ রকেটটি ল্যান্ডারের পাশাপাশি এক্স-রে ইমেজিং এবং স্পেকট্রোস্কোপি মিশন (এক্সআরআইএসএম)
স্যাটেলাইটও বহন করছে। এটি জাক্সা, নাসা এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার একটি যৌথ প্রকল্প।
রকেটটি তৈরি
তরেছে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ। এর উড্ডয়নও পরিচালনা করেছে তারা। এ নিয়ে ২০০১ সালের
পর থেকে ৪৭টি এইচ-আইআইএ রকেট উৎক্ষেপণ করলো জাপান। মহাকাশযানটির এবারের চন্দ্রাভিযানের
সাফল্যের সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাপান মহাকাশযান স্লিম চন্দ্রজয়
মন্তব্য করুন
একদিকে ক্রমশ
বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অন্যদিকে ক্রমশ কমছে মানুষের বুদ্ধি। যা রীতিমতো উদ্বেগে
ফেলে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের, ঘোর সংকটে ফেলে দিয়েছে মানবসভ্যতাকেও।
ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট
অব ব্রেন কেমিস্ট্রি অ্যান্ড হিউম্যান নিউট্রিশনের প্রফেসর মাইকেল ক্রফোর্ড সতর্ক করেছেন
এই বলে যে, গত ৫০ বছরে মানুষের মস্তিষ্কের ধূসর কোষগুলোর সংখ্যা যেভাবে কমেছে, তাতে
নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পুরো মানবসভ্যতাই।
অন্যদিকে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান উদ্বিগ্ন। তাদের ৬১
শতাংশই মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সভ্যতাকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।
মূলত সফটওয়্যারজাত
বুদ্ধিমত্তা, যা মানুষ বা বিভিন্ন প্রাণীর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তার
সাথে এখন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়
মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা বুদ্ধিমত্তার প্রতিফলন, স্বাভাবিকভাবে গড়ে ওঠা মানবচিন্তা ও
তার পরিধি কি পরাজিত হয়ে হারিয়ে যাবে তার সৃষ্ট কোনো ঊনমানুষরূপী অতিমানবের কাছে?
চ্যাটজিপিটির
মধ্য দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। মাইক্রোসফট
ও গুগলের মতো প্রভাবশালী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় একে অপরের
অর্জনগুলো ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাংক
অব ইংল্যান্ডের ঘোষণা এর বাস্তবতা। মাত্র গত মে মাসে সিলিকন ভ্যালিতে কর্মচ্যুত হয়েছেন
তিন হাজার ৯০০ লোক।
ফুড ফর দ্য
ব্রেন ফাউন্ডেশন নামের এক ওয়েবিনারে প্রফেসর ক্রফোর্ড বলেছেন, ১৯৭০ সাল থেকেই আইকিউ
কমছে। এটি খুবই ভয়ের বিষয়। এভাবে চলতে থাকলে হোমো সেপিয়েন্স নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে
এবং সেদিন বেশি দূরে নয়।
নতুন চ্যাটবট
মানুষকে সঙ্গ দিচ্ছে, কথা বলছে, শিশুদের খেলার সাথী হচ্ছে, বয়স্কদের প্রমোদ সঙ্গী হচ্ছে।
এ সব কিছু একজন ব্যক্তিকে সমাজবিমুখ করে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছে। পরিবার ও সমাজ বিচ্ছিন্ন
অবস্থান তৈরি করছে। এখানে সমাজবিজ্ঞান, মানুষ ও বিজ্ঞান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মুখোমুখি
হচ্ছে।
তাই মানুষ ভবিষ্যতে
ফ্রাঙ্কেনস্টাইনরূপী তার সৃষ্টিকে অপার সম্ভবনার পৃথিবীতে স্বাগত জানাবে নাকি আপন সৃষ্ট
ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের হাতে সংহারিত হবে তা এখন বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবসভ্যতা
মন্তব্য করুন
ইতিহাস গড়ার সন্ধিক্ষণে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের অপেক্ষায় চন্দ্রযান ৩। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার মডিউল বিক্রম। অবতরণের আগে খাড়াই মোড় ঘুরবে ল্যান্ডারটি। চাঁদ প্রদক্ষিণরত বিক্রম সন্ধ্যায় দিক বদল করে নীচের দিকে নামতে শুরু করবে। তার ভিতরেই আছে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে চন্দ্রযান ৩। চাঁদে পৌঁছাতে ৪০ দিনের মতো লাগছে ভারতীয় মহাকাশযানের। আজ ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করার কথা রয়েছে বিক্রমের।
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে অবতরণ করার কথা মহাকাশযানটির। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অবতরণের দিনে ল্যান্ডার বিক্রম যখন চাঁদের মাটি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকবে, তখন ল্যান্ডার মডিউলটি পালকের মতো করে চাঁদের মাটির দিকে নামতে শুরু করবে। এর জন্য লাগবে মোট ২০ মিনিট।
আজ ধাপে ধাপে গতি কমানো হবে বিক্রমের। শেষ ২০ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠের দিকে পালকের মতো করে নেমে আসার কথা বিক্রমের। বিক্রম যদি জোরেও আছড়ে পড়ে, তবুও এটির ক্ষতি হওয়ার কথা নয়, এমটাই বলা হচ্ছে।
২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ অভিযানের সময় সফট ল্যান্ডিং করতে ব্যর্থ হয়েছিল ল্যান্ডার।
২০১৯ চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করতে পারেনি চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার। তবে সেই অভিযান বিফলে যায়নি। এখনও চন্দ্রযান ২-এর অর্বিটার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে বেড়াচ্ছে। সেই অরবিটারের সঙ্গে যোগ স্থাপন করেছে চন্দ্রযান ৩ অভিযানের ল্যান্ডার বিক্রম। এই বিষয়ে ইসরো জানিয়েছে, দুই পক্ষই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে গতকাল এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় ইসরো জানিয়েছে, মিশন অপারেশন কম্পলেক্স পুরোপুরি প্রস্তুত। নির্ধারিত সময়েই চাঁদে অবতরণ করতে চলেছে ল্যান্ডার বিক্রম। আজ বিকাল ৫টা ২০ মিনিট থেকে ISTRAC চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণের লাইভ দৃশ্য সম্প্রচার করবে।
মন্তব্য করুন
চন্দ্রাভিযানে যাওয়া রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছে। এরমাধ্যমে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়ার ৪৭ বছরের প্রথম চন্দ্রাভিযান। রোববার (২০ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অবতরণপূর্ব অরবিটে প্রবেশে প্রস্তুতির সময় রুশ মহাকাশ যান লুনা-২৫ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং এটি চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রোসকোসমোস জানিয়েছে, শনিবার গ্রিনিচ সময় ১১টা ৫৭ মিনিটে তারা মহাকাশ যানের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে যখন এটি অবতরণপূর্ব অরবিটে নামানো হয়। সোমবার এটির চাঁদে অবতরণ করার কথা ছিল।
সংস্থাটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘মহাকাশযানটি একটি অনির্দেশ্য অরবিটে চলে যায় এবং চাঁদের পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যায়।’
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, লুনা-২৫ এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে একটি আন্তঃবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই লুনা-২৫ মিশনের মাধ্যমে আশার সঞ্চার হয়েছিল— রাশিয়া আবারও চাঁদে অবতরণের লড়াইয়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে যোগ দিচ্ছে।
এদিকে এই মহাকাশযানটি ধ্বংস হওয়ার বিষয়টি রাশিয়া ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশে যে আধিপত্য ছিল— সেটিতে একটি দাগ ফেলেছে। রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৫৭ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে স্পুটনিক-১ স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল। এছাড়া সোভিয়েত মহাকাশচারী ইউরি গাগারিন ১৯৬১ সালে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
১৯৭৬ সালে লুনা-২৪ এর পর রাশিয়া (সাবেক সোভিয়েত) চাঁদে আর কোনো অভিযান চালায়নি। ওই সময় দেশটির শাসক ছিলেন কমিউনিস্ট নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভ।
এদিকে রাশিয়া চন্দ্রাভিযানে এমন সময় ধাক্কা খেল যখন ভারত প্রায় একই সময় সফলভাবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণের চেষ্টা করছে। বর্তমানে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ চাঁদে অবতরণের অপেক্ষায় আছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ করার কথা রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
মন্তব্য করুন
বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার পাঠানো দুটি নভোযান কক্ষপথে
চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে। ভারতের নভোযানের নাম চন্দ্রযান-৩। আর লুনা-২৫ হল রাশিয়ার। এদের
মধ্যে অবতরণ এবং তথ্যের ভিত্তিতে কে এগিয়ে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। রাশিয়ার লুনা-২৫
ল্যান্ডারটি আগামী ২১ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। অপরদিকে, এর অন্তত দু’দিন পর অবতরণ করবে ভারতের চন্দ্রযান-৩।
এ তথ্য জানিয়েছে রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস।
মস্কোর মহাকাশ গবেষণা সংস্থার মুখপাত্রের বরাত
দিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের সময়টা
বেশ কঠিন ছিল। লুনা ২৫ ইতোমধ্যে সেটা পার করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে চাঁদের আরও কাছে পৌঁছাবে
ল্যান্ডারটি। এরপর নির্ধারিত জায়গায় সফট ল্যান্ডিং করবে।
এতে বলা হয়, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আগামী ২৩ অগাস্ট
বিকাল সাড়ে পাঁচটায় চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করবে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম। নভোযানটির
বর্তমান অবস্থান নিয়ে এ তথ্য দিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
তবে ভারতের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, চাঁদে আগে নামলেও
তথ্যের নিরিখে লুনা ২৫ এর চেয়ে এগিয়ে থাকবে চন্দ্রযান ৩। কেননা ল্যান্ডার বিক্রমের
মধ্যে আছে রোভার প্রজ্ঞান। অবতরণের পর ল্যান্ডারটির পেট থেকে বেরিয়ে আসবে ৬ চাকার ওই
রোবট যান। চাঁদের বুকে অনেকটা এলাকাজুড়ে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করবে রোভার প্রজ্ঞান।
অন্যদিকে লুনা ২৫ এ কোনও রোভার না থাকায় এক জায়গায়
দাঁড়িয়েই গবেষণা চালাতে হবে মস্কোর এ নভোযানকে।
এর আগে চন্দ্রযান ২-এর মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে
অবতরণের চেষ্টা করেছিল ভারত। সেবার অল্পের জন্য দক্ষিণ মেরুতে ঠিকভাবে অবতরণ করতে পারেনি
ইসরোর মহাকাশযান। তবে বিজ্ঞানীদের মতে, চন্দ্রযান ২-কে কোনোভাবেই ব্যর্থ বলা যায় না।
কারণ ওই মিশনের ৯০ শতাংশ লক্ষ্যই পূরণ হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে গিয়ে মহাকাশযানটি ধ্বংস
হলেও চাঁদের থেকে অনেক তথ্য ওই মিশন থেকে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেই মিশনের অভিজ্ঞতা
কাজে লাগিয়েই এবার চন্দ্রযান-৩ মিশনে নেমেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
চাঁদ কক্ষপথ ভারত রাশিয়া চন্দ্রযান-৩ লুনা-২৫
মন্তব্য করুন
ইতিহাস গড়ার সন্ধিক্ষণে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের অপেক্ষায় চন্দ্রযান ৩। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার মডিউল বিক্রম। অবতরণের আগে খাড়াই মোড় ঘুরবে ল্যান্ডারটি। চাঁদ প্রদক্ষিণরত বিক্রম সন্ধ্যায় দিক বদল করে নীচের দিকে নামতে শুরু করবে। তার ভিতরেই আছে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। খবর হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে চন্দ্রযান ৩। চাঁদে পৌঁছাতে ৪০ দিনের মতো লাগছে ভারতীয় মহাকাশযানের। আজ ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করার কথা রয়েছে বিক্রমের।
চন্দ্রাভিযানে যাওয়া রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছে। এরমাধ্যমে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়ার ৪৭ বছরের প্রথম চন্দ্রাভিযান। রোববার (২০ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অবতরণপূর্ব অরবিটে প্রবেশে প্রস্তুতির সময় রুশ মহাকাশ যান লুনা-২৫ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং এটি চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে।
বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার পাঠানো দুটি নভোযান কক্ষপথে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে। ভারতের নভোযানের নাম চন্দ্রযান-৩। আর লুনা-২৫ হল রাশিয়ার। এদের মধ্যে অবতরণ এবং তথ্যের ভিত্তিতে কে এগিয়ে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। রাশিয়ার লুনা-২৫ ল্যান্ডারটি আগামী ২১ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। অপরদিকে, এর অন্তত দু’দিন পর অবতরণ করবে ভারতের চন্দ্রযান-৩।