ছোটপর্দার সুপরিচিত মুখ আরশ খান। একজন সম্ভাবনাময় ও উদীয়মান তরুণ অভিনেতা। কাজ করছেন কয়েক বছর ধরে। তবে বেশ কিছু কাজ দিয়ে দর্শক মহলে বেশ আলোচনায় এসেছেন। টিভি অভিনেতাদের মধ্যে যে কজন নিয়মিত কাজ করছেন বা ব্যস্ত সময় কাটান, আরশ খান তাদের অন্যতম। সম্প্রতি তিনি বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা বলেন বর্তমান কাজ ও ভবিষ্যতের ভাবনাসহ নানা বিষয় নিয়ে।
বাংলা ইনসাইডার: ঈদকে নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?
আরশ খান: ব্যস্ততা ভালোই। ঈদকে সামনে রেখে প্রায় প্রতিদিনই কাজ করছি। নরমালি মাসে ১০ দিনের মতো ছুটি পাই। তবে এ সময়টাতে তা পাচ্ছি না। শুটিং, ডাবিং, নতুন প্রজেক্ট নিয়ে বসা, কস্টিউম- সবকিছু মিলিয়ে মাসের ৩০ দিনই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার: বর্তমানে কোন নাটকের কাজ করছেন?
আরশ খান: মোহন আহমেদের সাত পর্বের একটি ধারাবাহিকের কাজ করছি। নাম ‘বরিশাইল্যা মেস’। এতে আমার বিপরীতে কাজ করছেন তানিয়া বৃষ্টি।
বাংলা ইনসাইডার: ঈদকে সামনে রেখে কতগুলো নাটকের কাজ করছেন?
আরশ খান: শুট তো করেছি অনেকগুলোর। চলতি মাসে ঈদের জন্য আটটি প্রজেক্ট শেষ করেছি। গত মাসেও কয়েকটির কাজ করেছি। বান্নাহ ভাইয়ের একটি নাটকের কাজ শেষ করেছি দুই মাস আগে। সব মিলিয়ে ঈদকে টার্গেট করে ১৫টির মতো নাটকে কাজ করছি। তবে অনেক সময় ভালো স্পন্সর না পেলে বা টাইমিং না হলে নাটকগুলো পরে ছাড়া হয়। সব বাদ দিয়ে ঈদে ছয়-সাতটা নাটক তো আসবেই।
বাংলা ইনসাইডার: এত কাজের মাঝে উল্লেখযোগ্য কাজ কোনটি মনে হচ্ছে?
আরশ খান: আমার কাছে উল্লেখযোগ্য বলে কিছু নেই। প্রতিটি কাজই উল্লেখযোগ্য। দর্শক বলতে পারবেন তাদের কাছে কোনটা ভালো লাগে। যেটাতেই কাজ করি সর্বোচ্চটা দিয়ে করি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন আমার অভিনয় দক্ষতা বাড়বে, তখন বলতে পারব, এই কাজটা করেছিলাম খুবই ভালো হয়েছে। এখন আপাতত আমার কাছে প্রতিটি কাজই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা ইনসাইডার: বড়পর্দায় কাজ করার কোনো চিন্তা ভাবনা আছে কিনা?
আরশ খান: ক্যারিয়ারের শুরুতে ইচ্ছাই ছিল বড়পর্দায় কাজ করার। কিন্তু একটু সময় নেব। কারণ বড়পর্দা মানেই বড় একটা জায়গা। এখানে ওয়ান শর্টের খেলা। তাই সিনেমায় যাওয়ার আগে নিজেকে সেভাবে তৈরি করতে চাই।
বাংলা ইনসাইডার: অভিনয় নিয়ে পরিকল্পনা কী?
আরশ খান: যতদিন বয়স আছে কাজ করে যাবো। যখন সময় চলে আসবে অবসর নিব। কিন্তু তখনও কিছু কাজ করার ইচ্ছা আছে। নতুন যারা ইন্ডাস্ট্রিতে আসে তারা বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়। আমি এমন কিছু করতে চাই যা তাদেরকে হেল্প করবে। তাদের পাশে থেকে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। যে সাপোর্ট আমি পাইনি, তারা যেন সেটা পায়।
বাংলা ইনসাইডার: কোন ধরনের চরিত্রে কাজ করতে স্বাচ্ছদ্যবোধ করেন?
আরশ খান: আমার কাছে অভিনয় একটা আর্ট, এটা সবসময় বর্ডারলেস। আমার এখানে কোনো বর্ডার নেই। তাই সব ধরনের চরিত্রে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বাংলা ইনসাইডার: গল্প না কাজে বিশ্বাসী?
আরশ খান: আমাদের কাছে গল্পটাই কাজ। একটা গল্প যদি ভালো হয়, তখন কাজটাও ভালো হয়। তাই আমি সবসময় নিজের উপর বিশ্বাসী এবং আমার প্রত্যেকটি প্রজেক্টের উপরেও বিশ্বাসী।
বাংলা ইনসাইডার: ছোটপর্দার এক অভিনেত্রীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কতটা সত্যি?
আরশ খান: একসঙ্গে কাজ করতে গেলে এরকম অনেক কিছুই ছড়ায়, অনেক কথাই ওঠে। এখানে সেটাই হয়েছে। তাই এটা নিয়ে আমি বেশি একটা পেইন নিচ্ছি না। কারণ, আই নো দ্য এক্সাক্ট ফ্যাক্ট, আমি কী করেছি বা করছি। তাই মানুষ যা কিছু ছড়াচ্ছে সেগুলো ঠিক না। সবই গুজব।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।