ইনসাইড টক

‘আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি-বিএনপি সবার চরিত্রই একই’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, লুটপাটের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সরকারকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। এ সরকারকে কোনো অনুনয়-বিনয় করে লাভ হবে না। আর সেই বাধ্য করতে দরকার গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন। আমরা সেই আন্দোলন করছি এবং জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণ যদি আমাদের সেই আন্দোলন যোগ দেয় তাহলে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। আর এ লক্ষ্যে আমরা গণপদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা বিভাগে সমাবেশ করবো এবং ঢাকায় মহা সমাবেশ করবো। আমরা আশা করছি যে, আমরা আমাদের দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করতে পারবো। 

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে করার দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে ঢাকাসহ দেশব্যাপী ১৫ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রুহিন হোসেন প্রিন্স এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য রুহিন হোসেন প্রিন্স এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

দেশের বাম গণতান্ত্রিক দলগুলোর সাংগঠনিক দুর্বলতার ব্যাপারে জানতে চাইলে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশের বাম গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো কখনোই দুর্বল ছিল না। সমস্যা হলো আমাদের শক্তির জনগণের কাছে প্রকাশ করা হচ্ছে না। বরং জনগণের কাছে এক ধরনের দ্বিধা তৈরি করা হচ্ছে। দেশের গণমাধ্যমগুলোর আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। তারা খোঁজার চেষ্টা করে কে আওয়ামী লীগের সহযোগী আর কে বিএনপির সহযোগী। আমরা একটি কর্মসূচি করি কিন্তু সে কর্মসূচির খবর সব গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে না। এ সমস্ত কারণে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি সম্পর্কে জনগণ জানতে পারে না। গ্রামগঞ্জে আমাদের আন্দোলন হয় কিন্তু মিডিয়াতে সেগুলো আসে না। ফলে জনগণ মনে করে এদের বুঝি সাংগঠনিক শক্তি নেই। কিন্তু তাদের সেই ধারণা ভুল।

তিনি বলেন, দেশে যখন একটি  স্বৈরচারী সরকার থাকে। তখন ওই স্বৈরচারী সরকার তার স্বৈরচার আচরণ বাড়ানোর চেষ্টা করে। এখন সেটাই করা হচ্ছে। যার কারণে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ সহিংস হয়ে উঠছে। জনগণ তার অধিকারের জন্য আন্দোলন করবে আর স্বৈরচারী সরকার তাতে বাধা দেবে এটাই স্বাভাবিক। যেটা বর্তমান সরকার করছে। তবে জনগণ যখন রাস্তা নামবে তখন এই স্বৈরচার সরকারের শক্তি তুলার মতো উড়ে যাবে। আমরা মানুষকে নামিয়ে সেই ব্যবস্থার চেষ্টা করছি।

বিএনপির সঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সংলাপ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সেটা কখনোই সম্ভব হবে না। আমরা তিনটি কথা বলি, একটি হলো সরকারের দুশাসনের কথা, ব্যবস্থাপনার কথা বলেছি এবং আমরা বলছি যে, এই কাজ করতে পারবে একমাত্র বাম গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো। বিএনপি সরকারের দুশাসনের কথা বলছে কিন্তু ব্যবস্থাপনার কথা বলেছে না। যেমন দ্রব্যমূলের নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পুরোপুরিভাবে পাল্টে ফেলতে হবে। কিন্তু বিএনপি তো সেটা চায় না, জাতীয় পার্টিও সেটা চায় না। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি সবার চরিত্র একই। অন্যান্য কোনো দলও সেটা চায় না। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সবার মিল আছে। বাম গণতান্ত্রিক শক্তি ছাড়া দেশের চলমান সংকট কেউ দূর করতে পারবে না। সুতরাং এধরনের কোনো সম্ভবনা তো নেই। সেটা চিন্তা করাও অবান্তর।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘তফসিল পেছানোর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ’

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল পেছানোর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আমি এর কোনো সম্ভাবনা দেখি না। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর যে সন্দেহের প্রাচীর তৈরি হয়েছে তাতে সে সম্ভাবনা নেই। তবে এক দফা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল শেষ চেষ্টা হিসেবে তফসিল পেছানোর জন্য তৎপরতা চালাতে পারে। কিন্তু তফসিল পেছানোর নামে যদি আবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাকে কেউ প্রশ্ন বিদ্ধ করে ফেলে তাহলে আরেকটা অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কাজেই নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। নির্বাচনী রোডম্যাপ বিপন্ন হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। তবে তফসিল পেছানোর সম্ভাবনা দেখি না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কোনো কোনো মহল বিশেষ করে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে তফসিল পেছানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতি নির্বাচনের তফসিল পেছানোর কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা করেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ। 

বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে—এমন প্রশ্নে বিশিষ্ট এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও কোনো সমস্যা হবে না যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু হয় এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যদি কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করা না হয় তাহলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘বহিষ্কৃত হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ’

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব, বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় দল থেকে বহিষ্কৃত তিনি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কার সহ বিএনপির রাজনীতি নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপ চারিতা করেন তিনি। পাঠকদের জন্য এখানে চুম্বক অংশ ‍তুলে ধরা হল।

বাংলা ইনসাইডার: আপনাকে যে বিএনপি বহিষ্কার করল এ বহিষ্কারের ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়া কি?
খন্দকার আহসান হাবিব: বহিষ্কৃত হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। এতে আমি খুশি হয়েছি। 

বাংলা ইনসাইডার: আপনি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি করলেন এখন বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়াতে কেন আপনি খুশি 
হলেন?
খন্দকার আহসান হাবিব: মূল কথা এখানে (বিএনপি) কোন রাজনৈতিক চর্চা নাই।  

বাংলা ইনসাইডার: রাজনৈতিক  চর্চা নেই বলতে একটু ব্যাখ্যা করবেন?
খন্দকার আহসান হাবিব: এখানে নিয়মতান্ত্রিক কিছু হয় না। যখন যা ইচ্ছা তাই হয়ে যাচ্ছে। যার ইচ্ছা সে একটা চিঠি ইস্যু করছে। যদি ধরে নিই আমাকে বহিষ্কার করেছে তবে এটা কোন নিয়ম তান্ত্রিকভাবে হয়নি। আমাদের গঠনতন্ত্রে যেটা আছে সেই আইন অনুযায়ী আমাকে এই ভাবে বহিষ্কার করতে পারেনা । দলে যদি কোন নিয়ম থাকতো তাহলে তো আমাকে আইন অনুযায়ী বহিষ্কার করত। আমাকে শোকজ করত। আমি সে ব্যাখ্যা দিতাম। আর বহিষ্কার করতে হলে স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে অনুমোদন হতে হয়। এভাবে বহিষ্কার করা যায় না। 

বাংলা ইনসাইডার: তাহলে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন যে তারেক জিয়ার একক কর্তৃত্বে বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে?
খন্দকার আহসান হাবিব: হ্যাঁ, উনার (তারেক জিয়া) একক কর্তৃত্বেই তো হচ্ছে। 

বাংলা ইনসাইডার:  তার মানে বিএনপির গঠনতন্ত্র কি মূল্যহীন? 
খন্দকার আহসান হাবিব: হ্যাঁ এটার কোন দাম নেই। এখন আর ওইটা (বিএনপির গঠনতন্ত্র ) ঐ অনুযায়ী চলছে না।

বাংলা ইনসাইডার:  এখন আপনি কি করবেন, অনেকে বলে যে আপনারা নির্বাচন করবেন একটা গ্রুপ নির্বাচন করবে এবং নির্বাচনে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন এই জন্য তারা বহিষ্কার করেছে এই অভিযোগের জবাবে আপনি কি বলবেন?
খন্দকার আহসান হাবিব: আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন তো করতেই পারি। এটা আমার সাংবিধানিক অধিকার। এটা দোষারোপের কিছু নেই তো।

বাংলা ইনসাইডার:  বিএনপি যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করছে, তখন আপনার নির্বাচনের ইচ্ছাটা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান না ?
খন্দকার আহসান হাবিব: আমি দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতি করছি। আমি আর কতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এখন তো আমাকে নির্বাচনমুখী হতেই হবে। নির্বাচন ছাড়া তো বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন হওয়ার কোন সুযোগ নাই।

বাংলা ইনসাইডার: আপনি কি মনে করেন যে  আরও অনেক নেতাই এবার নির্বাচনে আসবে, আপনার মতো অনেকেই আসবে?
খন্দকার আহসান হাবিব: সম্ভাবনা অনেক বেশি।

বাংলা ইনসাইডার: নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, সংলাপের কথা বলা হচ্ছে। আপনার অভিমত কি, বাংলাদেশে কি নির্বাচন হওয়া উচিত নাকি নির্বাচন বন্ধ করে একটা অনির্বাচিত সরকার আসা উচিত?
খন্দকার আহসান হাবিব: বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়া উচিত এবং গণতান্ত্রিক উপায়েই রাষ্ট্রীয় পরিবর্তন হওয়া উচিত। কোন অন্যভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিবর্তন হওয়া উচিত না।

বাংলা ইনসাইডার: তার মানে আপনি কি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে অ্যাকসেপ্ট করেন না? 
খন্দকার আহসান হাবিব: যেহেতু আমি একজন অ্যাডভোকেট, আমি সুপ্রিমকোর্টে প্র্যাকটিস করি। যেহেতু এই আইনটা পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রায়ের কারণে। কোর্টের রায়ের কারণে যেহেতু হয়েছে সেহেতু একজন আইনজীবী হিসেবে তো ওটা আমি বলতে পারি না। কারণ আমি কোর্ট অফিসার আর এটা তো রিভিউ ফাইল করে নাই। যদি রিভিউ পেন্ডিং থাকত তাহলেও বলা যেত। কিন্তু এটা যেহেতু একটা কোর্টের রায় হয়েছে সেহেতু আমি এটার সাথে ডিফার করি না।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘টিকে থাকার জন্যই শ্রমিকরা আন্দোলন করছে, কারো উস্কানিতে নয়’

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ১২ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যদি জনমত উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের দিকে যায় তাহলে চলমান যে সংঘাতময় পরিবেশ চলছে সেটাকে আরও উস্কে দেওয়া হবে। সেটা সাধারণ জনগণের জন্যও ভালো হবে না, সরকারের জন্যও ভালো হবে না। দেশের সাধারণ মানুষ এখন একটা সংকটের মধ্যে আছে। দ্রব্যমূল বৃদ্ধি সহ দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা আগামীতে অর্থনৈতিক সংকটকে আরও তীব্রতর করতে পারে এমন আভাস অর্থনীতিবিদরা দিচ্ছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে জনমত উপক্ষো করে এবং নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকাণ্ড যেমন গ্রহণযোগ্য হবে তেমনি আমাদের দেশের সংকটকে আরও বাড়িয়ে দেবে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরিণতি নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রুহিন হোসেন প্রিন্স এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য রুহিন হোসেন প্রিন্স এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

শ্রমিকরা আন্দোলনের পেছনো বাম রাজনীতির উস্কানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, শ্রমিকরা যারা কাজ করেন তারা তাদের নিজের শক্তি খরচ করেই কাজ করে। সেজন্য তারা ন্যায্য মজুরি চায়। কারণ তাদের টিকে থাকতে হবে। এখানে উস্কানি দেওয়ার আমি কিছু দেখি না। বরঞ্চ বিভিন্ন সময় মালিকদের কথাবার্তা, সরকারের নেতৃবৃন্দের কথাবার্তাই প্রকৃতপক্ষে শ্রমিকদের উস্কানি দেয়। 

তিনি বলেন, পাঁচ বছর পর যখন নূন্যতম মজুরির সিদ্ধান্তের কথা বলা হল তখন আর কিছু না দেখে আমরা যদি ডলারের মূল্য দেখি পাঁচ বছর আগের যে অবস্থা আর আজকে বাজারে ডলারের মূল্য বিবেচনা করলেই যেটা ঘোষণা করা হয়েছে সেটা কম। শাসকরা শ্রমিক আন্দোলন দমন করার জন্যই এ ধরনের উস্কানি মূলক কথা বলতে পারে। শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি নির্ধারণের জন্য শ্রমিক নেতৃবৃন্ধের সঙ্গে আলোচনা করেই যদি এই সংকটের উত্তরণ করা যায় তাহলে উস্কানির যে কথা উঠেছে এটা থাকবে না, শ্রমিকরাও কাজে ফিরে যাবে। মালিক এবং সরকারের এ ধরনের ষড়যন্ত্র না খুঁজে শ্রমিকদর সঙ্গে কথা বলে তাদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করাটাই প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘ভারত যে আমেরিকার কথা শুনবে না সেটি তারা স্পষ্ট করেছে’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, যেভাবে আমেরিকা চাচ্ছিল যে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে ভারতও যেন আমেরিকার সাথে একই সুরে কথা বলে কিন্তু সেটা যে হবে না তা পরিষ্কার হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত যে আমেরিকার কথা শুনবে না সেটি তারা স্পষ্ট করেছে। এখন আমেরিকা কি করবে সেটা তারা ভালো জানে। তবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমেরিকা সারা বিশ্বের মধ্যে প্রচন্ড সমালোচনার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল ইস্যুতে তারা প্রচন্ড প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। আমেরিকা তার নিজ দেশেই প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কাত্রা। বাংলাদেশের নির্বাচন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে স্পষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে ভারত। ভারতের এ রকম অবস্থানের বিপরীতে আমেরিকার অবস্থান কি রকম হতে পারে তা নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা করেন অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, শুধু আমেরিকাতে নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও আমেরিকা প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। আজকে তো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন যে, ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করতে হবে। তার মানে সেখানেও ভাঙন শুরু হয়েছে। এ রকম অবস্থায় বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকা শেষ পর্যন্ত কতটুকু এগোতে পারবে সেটা একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইস্যুতে আমেরিকার ভূমিকাই এখন সারা বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সেটা বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র কোনো বিদেশি শক্তি দিয়ে হয়নি আর সেটা হবেও না। আমেরিকার উচিত সেটা অনুধাবন করা। বাংলাদেশের নির্বাচন এটা বাংলাদেশের জনগণের ওপরই ছেড়ে দিতে হবে। বাংলাদেশে অনেক বড় বড় আকারে আন্দোলন করেছে সেটা বাংলাদেশের জনগণই করেছে। তখন তো আর আমেরিকা করে দেয়নি। বরং তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বা আমাদের স্বাধীনতার বিপেক্ষর অবস্থান নিয়েছিল। সে জায়গায় আমেরিকার বুঝার দরকার এই গুলো করে তারা বরং বিভাজনটা বাড়ায়। যদিও আমেরিকা হয়তো তার সুবিধা আদায় করে কিন্তু এতে তার ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়। ভিসা নিষেধাজ্ঞা বা স্যাংশন এই গুলো করে আমেরিকা আরও পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে। এতে করে গণতন্ত্র আরও দুর্বল হয়ে যায়। সে জায়গায় তাদের অবস্থান পরিবর্তন হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। যদি তারা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র চায় তাহলে সেটা জনগণের ওপরই ছেড়ে দেওয়া দরকার এবং কিভাবে বড় বড় দলগুলো তাদের পরস্পরের প্রতি আস্থা অর্জন করতে পারে সেটির ওপর নজর দেওয়া যেতে পারে। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘হরতাল-অবরোধে ভোক্তা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন’

প্রকাশ: ০৪:৫০ পিএম, ০৪ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, অনেক দিন ধরে আমাদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল। রাস্তা-ঘাট বন্ধ না করে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। সাধারণত নির্বাচনের আগ দিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো কি করবে না করবে, নির্বাচনী ইশতেহার কেমন হবে ইত্যাদি। কিন্তু রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দিয়ে হরতাল-অবরোধ করা কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর উচিত না। 

হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দেশের অর্থনীতির ওপর কি রকম প্রভাব রাখে তা নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা করেন ড. আতিউর রহমান। পাঠকদের জন্য ড. আতিউর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

ড. আতিউর রহমান বলেন, যারা সাধারণ মানুষ, যারা দিন আনে দিন খায়, রাস্তার পাশে যারা ছোটখাটো ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কিংবা দোকান দেয়, যারা কষ্ট করে বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা করে তাদের সেই জীবন চলাটা বন্ধ হয়ে যায় এই সব হরতাল-অবরোধের কারণে। এমনিতেই মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে তারা কষ্টে আছে। সুতরাং এই নতুন এই প্রতিবন্ধকতা এগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নিশ্চিয় চাপে ফেলবে। এখন প্রতিদিন কতটুকু অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেটা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। তবে প্রতিটি অংশীজন যেমন- যিনি দিনমজুর তিনিও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যিনি কৃষক তিনিও ক্ষাতগ্রস্ত হবেন, যিনি পরিবহন শ্রমিক তিনিও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যিনি ছোট দোকারদার তিনিও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যিনি ভোক্তা তিনি তো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ তাকে বেশি দামে সব কিছু কিনতে হবে। সব মিলিয়ে অর্থনীতির ভেতরের যে প্রক্রিয়া যেমন সরবরাহ, চাহিদার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সবগুলো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়বে। 

হরতাল-অবরোধে স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায় না উল্লেখ্য করে ড. আতিউর রহমান বলেন, গার্মেন্টসের যারা উদ্যোক্তা আছেন তাদের আমদানি বা রপ্তানির বা পণ্য সংগ্রহ করতে খরচ অনেক বেড়ে যায় এবং এ সমস্ত পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে তারা শঙ্কিত থাকে। ইতোমধ্যে গতমাসের আমাদের রপ্তানির হার কমেছে। এই মাসে আরও কমেতে পারে। আমাদের দেশে যখন রিজার্ভের ওপর এতো চাপ সেখানে রপ্তানি কমে গেলে এর প্রভাব বিরাট আকার ধারণ করবে। আমরা ভেবেছি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি হয়তো দেশ থেকে উঠে গেছে কিন্তু এখন আবার নতুন করে রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে হরতাল-অবরোধ দিচ্ছি এর মানে আমরা যারা রাজনীতি করছি তারা সাধারণ মানুষের স্বার্থকে উপেক্ষা করছি।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন