বাংলাদেশ রোড
ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)-তে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেটের
সরকারি ফি বাড়ানো প্রসঙ্গে বিআরটিএ- এর সাবেক চেয়াম্যান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, এগুলো তো
বাড়তেই পারে। কারণ বিভিন্ন সেক্টরে অনেক কিছুরই দাম বাড়ানো হয়েছে। এই ফি বাড়ানোটা কি
স্বভাবিক নয়?
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)-তে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেটের সরকারি ফি বাড়ানো- এসব বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিআরটিএ-এর সাবেক চেয়াম্যান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন।
এসব ফি আসলে
কেন বাড়ানো হচ্ছে?- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারের রেভিনিউ বাড়াতে হবে, সেটা
একটা কারণ আছে। কারণ এই যে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে কি সরকারের টাকা
লাগবে না? এইটাতো রেভিনিউ থেকেই আসে। শুধুমাত্র বিআরটিএ নয়, আরও অন্যান্য সেক্টর আছে, সেখানেও বাড়তেই পারে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন তো এই রেভিনিউ থেকেই আসে।
গত জুন পর্যন্ত আমি দায়িত্বে থাকাকালীন তো বাড়েনি।
তিনি বলেন,
তবে সরকারের আয়ের উৎসগুলো তো বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের উন্নয়নে সরকারের নিজস্ব সক্ষমতা
বাড়াতে হবে।
বিআরটিএ-তে
দালালদের দৌড়াত্ম প্রসঙ্গে মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময় আমরা অ্যাকশন নিয়েছি। আমার সময়ে
প্রত্যেক দিন একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকতেন, উত্তরাতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকতেন। তারা থাকতেন
এই দালালি তৎপরতাটাকে বন্ধ করার জন্য। এরপরও দালালি তৎপরতাটা আছে এটা অস্বীকার করা
যায় না। আমি যেটা করেছিলাম যে, এখানে একটা হেল্প ডেস্কও আছে। অনেক সেবাগ্রহীতা মানুষ
বিভিন্ন কাজের জন্য বিআরটিএ-তে যায়, কি কাজের জন্য কোন টেবিলে বা কোন অফিসারের কাছে তাদের যেতে হবে- এটা অনেকেই
জানে না। অন্ধকারে থাকার কারণে তৃতীয়পক্ষ একটা সুযোগ নিতে চায়। সেটা যেন মানুষ জানতে
পারে, সেজন্য সেখানে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। মানুষের অজ্ঞতার জন্য মানুষ মনে করে কি,
একটা কন্ট্রাক্টে দিয়ে দিব, দালাল এগুলো করে দিবে।
মো. নজরুল ইসলাম বলেন, তাদের (দালালদের) কাছে গেলে কাজ যে হয় না, তা কিন্তু নয়। কাজ নিশ্চয়ই হয়। তাদের (দালাল) সাথে কারো (সরকারি আমলা) নিশ্চয়ই যোগাযোগ আছে, যোগাযোগ না থাকলে এসব দায়িত্ব তারা কিভাবে নেয়? এইটা একটা বিষয়। কিন্তু মানুষ আসলে ট্রেডিশনালি অনেক দিন আগে থেকেই একটা দুষ্টচক্র ছিল, এটা মানুষ জানে। আমি যেটা উৎসাহ দিতাম যে, অফিসারের কাছে যান। অনেক সময় অনেক মানুষ এসে বলতে পারে- এতো নম্বর রুমে, ওই অফিসারের কাছে আমি গিয়েছিলাম, আমাকে দালালের কাছে পাঠিয়েছে। আসলে এমন অভিযোগ থাকলে সেগুলো অ্যাকশন নেওয়া হয়। এগুলো বিষয়ে কিন্তু প্রতিকার আছে। চেয়ারম্যান সাহেবও আন্তরিকতার সাথে কাজ করেন। সেখানে উপ-পরিচালক আছে, পরিচালক আছে। অফিসার লেভেলে কথা বলে যদি প্রতীকার না পাওয়া যায়, তখন অভিযোগ আকারে আনলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
দালালদের প্রসঙ্গে
মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক বছর আগে একদিন আমার গাড়িতে টোকা দিয়ে বলছে, লাগবে? আমি
বললাম কি লাগবে? তখন আমি বললাম, আমার এই গাড়ির ফিটনেস করে দিতে পারবেন? তারপর তাকে
আমি গাড়িতে উঠিয়ে কাফরুল থানায় খবর দিয়ে পুলিশের হাতে দিয়ে দিলাম। তারপর খোঁজে বের
করার চেষ্টা করলাম, কার সাথে এর যোগাযোগ আছে। তারপর তাদের বের করে ওদের সেখান থেকে
উৎখাত করলাম। সাহস এবং সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এটাই বড় বিষয়। মন্ত্রীও অনেক
সময় দালাল ধরতে যায়। আমিও নানা সময় না জানিয়ে দালালদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করেছি।
ভবনের এনট্রি এবং এক্সিট পয়েন্টে সার্চ করে করে লোক ঢুকিয়েছি। এভাবে অনেক দালাল ধরা
পরেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
তিন আরও বলেন,
আমার সময় আমি একটি আইন অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। দেখা গেল গাড়ি রেজিস্ট্রেশন যেখানে করা
হয়েছে ফিটনেসের জন্য সেখানেই আসতে হতো। এটা অনেকের জন্যই ভোগান্তির ব্যাপার ছিল। দেখা
গেল একটি গাড়ি ময়মনসিংহের। কিন্তু কোন কারণে সেটি ঢাকায় রেজিস্ট্রেশন করা। পরবর্তীতে
মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে তাকে মিরপুরে এসেই ফিটনেস নবায়ন করতে হতো। আমি একটা আইন করেছিলাম যে, যে কোনো জায়গা থেকে ফিটনেস নবায়ন করা যাবে। আপনি ঢাকা থেকে রেজিস্ট্রেশন করলেও নীলফামারী
থেকে ফিটনেস নিতে পারবেন।
বিএরটিএ- এর
সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, আবার প্রাইভেট কারে আগে প্রতি বছর ফিটনেস নেয়া লাগতো। কিন্তু
আমরা সেটি দুই বছর করে দিয়েছি। প্রাইভেট কারের মালিক কিন্তু দেখা গেছে নিজ দায়িত্বেই গাড়ি ভাল রাখে। কমার্শিয়াল গাড়িগুলো দেখা গেছে মালিক অন্য ড্রাইভার দিয়ে চালায় এবং
তারা যেন তেন ভাবে সেটি ব্যাবহার করে। কিন্তু প্রাইভেট কারে সেটি হয় না, তাই আমরা আইন
করে দিয়েছি যে দুই বছর পর পর ফিটনেস করতে হবে এবং সেটি যে কোন জায়গা থেকে করতে পারবে।
এতো এতো গাড়ি যখন মিরপুর আসে ফিটনেস করতে, তখন দেখা যেত চাপ বেশি হওয়ায় অনেকেরই দিন শেষে
ফিটনেস নবায়ন না করতে পেরেই চলে যেতে হত। তখনই তারা দালালের কাছে যেত।
মো. নজরুল ইসলাম সচিব বিআরটিএ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।