ইনসাইড টক

‘নির্বাচন কমিশনের আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ’

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে চিঠি দিয়েছে না মুসলিম লীগকে দিয়েছে সেটা আমরা বুঝতে পারি নাই। কিন্তু সিপিবি নামে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি আসেনি। তবে একটি চিঠি আমার (রুহিন হোসেন প্রিন্স) নামে এসেছে কিন্তু সেখানে মুসলিম লীগ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সিপিবি-কে নয়। নির্বাচন কমিশনের এমন আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ।

অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য আট রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে বাংলাদেশ বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টিও রয়েছে। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশ নেবে কিনা এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রুহিন হোসেন প্রিন্স এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য রুহিন হোসেন প্রিন্স এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্বাক্ষরিত চিঠিতে এমন ভুল নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের নামে চিঠিটি পাঠিয়েছে। কিন্তু পত্রের ভেতরে আলোচনা ও মত বিনিময়ের জন্য ডেকেছে বিএমএলের নেতাদের। এ ধরনের আমন্ত্রণ জানানো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ইসির এক ধরনের অবজ্ঞা। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে গুরুত্বহীন মনে করে। দলের প্রতি ইসির ন্যূনতম সদিচ্ছা থাকলে এভাবে চিঠি দেওয়া হত না।’

নির্বাচন কমিশন   রাজনৈতিক দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব তৈরি হয়েছে’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতির পর আমরা আমাদের দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছি। কিভাবে দলের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি। দলের ভেতর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দলকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দল সরকারে থাকলে ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। নিজেদের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে আস্থার জায়গাও আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে। 

সাম্প্রতিক সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে ঢাকা জুড়ে যে তাণ্ডব এবং নাশকতা হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগ কেন রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলো না- এনিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। পাঠকদের জন্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ। 

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রশিবির এবং তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা যেভাবে ঢাকায় নাশকতা করেছে তাতে আওয়ামী লীগ সেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি এটা সত্যি। কারণ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা গণতন্ত্র চর্চা করি। দলের ভেতর কোন সন্ত্রাসী পালন করি না। সেজন্য আমাদের নেতাকর্মীরাও ভদ্র। জামায়াত, শিবির এবং তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা যেভাবে গান পাউডার দিয়ে সশস্ত্র হামলা করেছে তাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি এটা সত্য। এটা আমাদের পক্ষে সম্ভবও ছিলো না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হলো জনগণকে সাথে নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করা। কোন সশস্ত্র প্রতিরোধ নয়। আর সেজন্যই আমাদের নেতাকর্মীদের অনেকে জীবন দিয়ে করেছে। অনেক নেতাকর্মী হতাহত হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রীয় আইন মেনে শান্তি শৃঙ্খলভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছি। এটাকে যদি কেউ দুর্বলতা ব্যাখ্যা করে বা ব্যর্থ বলে সেটা সঠিক নয়। তবে অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে এবং সেটা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে জামায়াত শিবিরের তাণ্ডব, দানবীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে।

আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী, এমনকি দলীয় এমপিও এই সংকটময় সময়ে ‘গা ঢাকা’দিয়েছেন, অনেকে দেশের বাইরে চলে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে দল কি ধরনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই হেভিওয়েট নেতা বলেন, এগুলো সব গুজব। এ সময় দেশে ও দেশের বাইরে অনেক গুজব ছড়িয়েছে এবং সেটা সীমাহীন ভাবে ছড়িয়েছে। আমরা সেটাতে কান দিচ্ছি না। তবে সাংগঠনিক ভাবে কারও কোন দুর্বলতা থাকলে বা অবহেলা থাকলে দল অবশ্যই সেটা খতিয়ে দেখবে এবং সেভাবে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে সবার অব্যবস্থাপনার জন্য’

প্রকাশ: ০৫:২২ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রায়হান শরীফ বলেছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সবার যে আচরণ (এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ, রাষ্ট্র সবাইকে বুঝাচ্ছি) সেখানে কোন একটা জায়গায় আমাদের ভুল হচ্ছে বলে আমার মনে হয়। শিক্ষার্থীরা একটি দাবি নিয়ে এসেছে, এর জন্য তাদের সাথে কথা বলা দরকার। তারা কি বলতে চায় সেটা শোনা দরকার। কিন্তু সেটা করা হয়নি। এর ফলে এখানে একটা গ্যাপ বা মিস কমিউনিকেশন (ভুল যোগাযোগ) তৈরি হয়ে গিয়েছে। শিক্ষার্থীরা আসলে কথাই বলতে চেয়েছে। কিন্তু কথা কে বলবে? অবশ্যই প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা উচিত ছিল। তারা কি বলতে চায় সেটা শোনা উচিত ছিল। 

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ সব কথা বলেন অধ্যাপক রায়হান শরীফ।

অধ্যাপক রায়হান শরীফ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলা কোনভাবেই কাম্য ছিল না। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাত ২/৩টায় যখন ফোন করে বলে স্যার আমাদের বাঁচান, আমরা তখন বিচলিত হয়ে পড়ি। এগুলো কোন সুস্থ সংস্কৃতির লক্ষণ না। আন্দোলন এক পর্যায়ে যে সহিংসতায় রূপ নিল। এটিকে কারা সহিংসতার রূপ দিয়েছে সেটা একটা ভাবনার বিষয়। আমি মনে করি আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে সবার অব্যবস্থাপনার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বলতে পারতো তোমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন কর কিন্তু সেটা না হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর প্রশাসন চড়াও হল। এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়িয়ে যেতে পারেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্য কোন দেশের নয়, তারা আমাদেরেই সন্তান। তাদের সাথে আমাদের আচরণটা ভালোবাসার হওয়ার উচিত, মমতার হওয়া উচিত।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে কেন এখন কোটা সংস্কার করা যাচ্ছেনা’

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, সব দেশেই কোটা আছে। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যেখানে কোটা নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতেও ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কোটা আছে। এটা একটি দেশের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে কম বেশি করা যায় এটা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। 

সম্প্রতি কোটা বিরোধী আন্দোলনে সহিংসতায় ঘটনা নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় এ বিষয়ে কথা বলেন  অধ্যাপক আবদুল মান্নান। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, আমরা ২০১৮ সালের কোটা বিরোধী আন্দোলনে কি দেখেছি। শুরুতে এটা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিল, পরে পরে সেই আন্দোলনে রাজনীতিককরণ ঘটেছে। এবারও এমন কিছুর আলামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের মধ্যে সমন্বিত নেতৃত্ব নাই। তারা বলছে তাদের এ আন্দোলনে সমন্বয় রয়েছে, কিন্তু সেটা হচ্ছে ২০১৮ সালে নূরের মতো নেতৃত্ব। যারা কোন কোন রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এখন সরাসরি ভাবে কোটা আন্দোলনে জড়িয়ে গেছে। তারা দেখছে যে, তারা তো এতো আন্দোলন করে কিছু করতে পারল না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি শক্তিশালী। সেজন্য তাদেরকে তারা কিভাবে ব্যবহার করতে পারে সেটার একটি দুরভিসন্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

শিক্ষার্থীরা হয়তো একটি ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল কিন্তু এখন সেটা তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হয়ে গেছে। একই ঘটনা ঘটেছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বেলায়ও। এখন এই কোটা আন্দোলনেও তাই হয়েছে। কারণ বিএনপি এবং এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন কিংবা তাদের মিত্রদের কথাবার্তা সেই বার্তাই বহন করছে। 

তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বোঝার চেষ্টা করতে হবে কেন এখন কোটা সংস্কার করা যাচ্ছে না। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে। এই মুহূর্তে আসলে কিছু করার নেই। পরিস্থিতি যেহেতু অবনতি হচ্ছে সেজন্য সরকার চাইলে হয়তো শুনানি একটু এগিয়ে আনা যায় কি না তার জন্য আদালতে আবেদন করতে পারে। এর বাইরে আসলে করার কোন কিছুই নেই। 

কোটা কিরোধী আন্দোলনে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে উল্লেখ্য করে আবদুল মান্নান বলেন, কেন সরকার এই মুহুর্তে কিছু করতে পারছে না বা কেন কোটা রাখা দরকার তার একটি বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত নিয়ে তাদের বোঝানো যেতে পারে। কোটা থাকার ফলে কি হয়েছে আর না থাকার কারণে কি হয়েছে তার একটি বাস্তব চিত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা দরকার। এক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন ক্রোড়পত্রের মধ্য দিয়ে এই বাস্তব চিত্রগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে পারে। এতে করে আমার মনে হয় শিক্ষার্থীরা বাস্তব চিত্র বুঝতে সক্ষম হবে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ অনেক সময় ভুল তথ্য পেয়ে অনেক বড় ভুল করে বসে কিংবা গুজব ছড়ায়। কিন্তু বাস্তব চিত্র তাদের সামনে থাকলে সেই ভুল করা বা গুজব ছড়ানোর সুযোগটা আর থাকে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কোটা ছিলই না। কোটা বন্ধ ছিল। আর মুক্তিযুদ্ধ করার কারণে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনীতে ‘ক্যু’ হয়েছে এই অজুহাতে ১৪৪ জন সেনা সদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিলেন। যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তাদের লাশটাও ফেরত দেয়া হয়নি। সরকারের উচিত এই তথ্যগুলো জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

ট্রাম্পের ওপর হামলা যতটা রাজনৈতিক, তার চেয়ে বেশি সামাজিক অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বলেছেন, ট্রাম্পের ওপর হামলা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ক্ষোভের প্রকাশ। এটি নিন্দনীয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটির তীব্র নিন্দা জানাই। দেখুন, যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকটোরাল সিস্টেম বেশ জটিল। তাই চট করেই হামলাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা রাতারাতি বেড়ে যাবে এ কথা বলার সুযোগ আপাতত নেই। অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভরশীল দেশটির নির্বাচন। ফলে হামলার মাধ্যমে সস্তা জনপ্রিয়তা আসতে পারে একজন প্রার্থির পক্ষে তা বলা এখনই ঠিক নয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের বিষয় রয়েছে। 

শনিবার (১৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়েছে। কেনো বা কী কারণে এমন ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে এ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন। 

হামলাটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে সৃষ্ট কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বলেন, এটি একেবারেই অসম্ভব। কারণ বাইডেন এমনিতেই বিপর্যস্ত ও দুর্বল অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়াও এমন একটি হামলা ঘটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার তেমন দৃষ্টান্ত দেশটিতে আগেও দেখা যায়নি। অতএব ষড়যন্ত্র তত্ত্বের দিক থেকে এমন ভাবার কোন রকমের অবকাশ নেই। একইসঙ্গে এমন বাইডেন প্রশাসন কখনই এমন বিতর্কিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে না। 

তিনি বলেন, এমন সমীকরণ থেকে এটা বলাই যায় যে একান্তই ব্যক্তিগত বিকৃত মানসিকতা থেকেই হামলাকান্ডটি হয়েছে। ট্রাম্পের ব্যক্তি ইমেজ নিয়ে পূর্বে নানা সমালচনা রয়েছে আর সে হিসেবে নির্বাচনে বাড়তি জনপ্রিয়তা লাভের  আশায় তিনি নিজে এমন হামলার নেপথ্য পরিকল্পনাকারী কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক এনাম খান সেটিকে নাকচ করে দেন। এ প্রশ্নের জবাবে বাংলা ইনসাইডারকে তিনি বলেন, দেশটির ফেডারেল সরকার ব্যবস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী এবং বিচার ব্যবস্থা এতটাই জটিল যে এমন কাজ করে ট্রাম্প নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। 

তিনি বলেন, আপনারা জানেন যুক্তরাষ্ট্র কোন রকমের বেআইনি কিছু হলে দেশটির বিচার ও আইন সংস্থাগুলো অত্যন্ত কঠোরতার সাথে সকল বিষয় জবাবদিহিতার আওতায় এনে থাকে। এমনকি সে ব্যক্তি যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাকেও আইনের উর্ধ্বে রাখ হয় না। তাই ট্রাম্প যদি এটি ভুলেও করিয়েও থাকতেন তবে পরে তদন্তে তা প্রমাণিত হলে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবন যেমন আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তো অনুরূপ রিপাবলিক দলের গ্রহনযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে আসতো। 

তিনি বলেন, অতএব এত বড় অপরাধ ঘটানোর কোনো সম্ভাবনা ট্রাম্পের নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রতি বিভিন্ন বন্দুক হামলা বৃদ্ধির কারণ নিয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বলেন, দেশটির বন্দুক আইনের বিপক্ষে রিপাবলিকদের অবস্থান জোরালো। কিন্তু বাইডেন প্রশাসন সেটিকে জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেও রিপাবলিকের বাধার মুখে কার্যত বাস্তবায়নে পিছিয়ে। সেক্ষেত্রে বলা যায় দেশটিতে সঠিক অস্ত্র আইনের উপস্থিতির অভাবের আরেকটা প্রতিফলনও আজকের এ হামলা। আমি মনে করি সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই সঠিক সময় কার্যকরি একটি অস্ত্র আইনের দিকে যাওয়া। 

তিনি আরো বলেন, অস্থির সামাজিক প্রেক্ষাপট ও ব্যক্তি পর্যায়েও নানা অস্থিরতা দেশটিকে ক্রমেই সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আজকের হামলা থেকে এটা বলাই যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক অবক্ষয় ও অস্থিরতার আরেক চিত্র এ হামলা। 

অন্যদিকে বিশ্বের অন্য কোন পরাশক্তি এমন হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে কিনা এমন শঙ্কার কথা নাকচ করে দিয়ে এনাম খান বলেন, এটি কোনোভাবেই সমভব নয়। কারণ, রাশিয়া, চীনসহ অন্যান্য বেশ কিছু পরাশক্তিধর রাষ্ট্র সবসময় চায় ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে বিশ্ব রাজনীতির মেরুকরণে তাদের একটা সুবিধাজনক অবস্থান থাকবে। অতএব এ হামলার সঙ্গে অন্য কোনো শক্তিধর রাষ্ট্রের কোনো রকমের সম্ভাবনা নেই   যুক্ত থাকার। 

অধ্যাপক সাহাব এনাম খান অবশেষে বলেন, ট্রাম্পের ওপর এ হামলাকে সম্পূর্ণ ‘ক্রিমিনোলজি পারসপেকটিভ’ থেকেই আমাদের দেখতে হবে। না ব্যক্তি ট্রাম্প, না রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কিংবা অন্য কোনো গোষ্ঠীর এ হামলায় জড়িত। এটি একেবারেই বিকৃত মানসিকতাবোধ থেকে বিচ্ছিন্ন একক ব্যক্তি দ্বারা সংঘটিত একটি হামলার বিষয়।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য মানুষের সচেতনতা অনেক বেশি জরুরি’

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেল) মোঃ খায়রুল বাকের বলেছেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য মানুষের সচেতনতা অনেক বেশি জরুরি। কারণ আমরা যে ড্রেনেজ সিস্টেমগুলো করেছি সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক এবং পলিথিন পাই। কোন কোন ড্রেনেজ থেকে ১ থেকে ২ ট্রাক পর্যন্ত প্লাস্টিক এবং পলিথিন পাওয়া যায়। আজকে সকালে গোড়ানের একটি ড্রেনে জাজিন পাওয়া গেছে। এই বিষয়গুলোই ড্রেন দিয়ে পানি সরে যেতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

শনিবার (১৩ জুলাই) বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় মোঃ খায়রুল বাকের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগে ড্রেনেজের দায়িত্ব ছিলো ঢাকা ওয়াসার। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেটা ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে আমরা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে যে সমস্ত জায়গাগুলো জলাবদ্ধ প্রবণ সেগুলোকে প্রথমে চিহ্নিত করেছি। এ রকম আমরা ১৬১টি স্থান চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে ১০৯ টি স্থানে জলাবদ্ধতা ইতোমধ্যে দূর হয়েছে। যেমন আজিমপুর, নটর ডেম কলেজের সামনে। তবে ঘূর্ণিঝাড় রেমাল বা মোখার ফলে যে বৃষ্টিপাত হয় সেক্ষেত্রে একটু জটিলতা তৈরি হয়। কারণ আমাদের ড্রেনেজগুলো এই বৃষ্টিপাতের উপযোগী নয়। 

যারা ড্রেনেজ সিস্টেম নষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশন কেন আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না জানতে চাইলে মোঃ খায়রুল বাকের বলেন, আমাদের যথেষ্ট লোকবল নেই। এছাড়া এগুলো সারাক্ষণ পাহারা দিয়ে রাখার মতো আমাদের নিজস্ব কোন বাহিনী বা পুলিশ নেই। এখানে মানুষের সচেতনতাই মুখ্য। মানুষের সহযোগিতা ছাড়া শুধু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে এর রক্ষণা বেক্ষণ করা সম্ভব নয়। 

তিনি বলেন, আগে ঢাকায় বৃষ্টি হলে সেই বৃষ্টির পানি সরতে ৪ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন সেটা নেই। কোথাও কোথাও কিছুটা জলাবদ্ধতা তৈরি হলেও সেটা এখন ঘণ্টায় নেমে এসেছে। আমরা সেটাকে আরও কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। গতকাল আমরা সারাদিন কাজ করেছি। আজকেও আমরা সকাল থেকে সবাই কাজ করছি।

গতকালের জলাবদ্ধতা দ্রুত কেন শেষ হলো না জানতে চাইলে মোঃ খায়রুল বাকের বলেন, ঢাকা শহরের বৃষ্টির পানি যে নদীগুলো নামবে এখন সেই সবগুলো নদী পানিতে ভরে গেছে। সেজন্য কালকের এই জলাবদ্ধা তৈরি হয়েছিল।

জলাবদ্ধতা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন