‘খুলনা এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেভাবে হয়েছে ঠিক সেভাবেই হবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। তার মানে আমি বলতে চাচ্ছি, খুলনা এবং বরিশালে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা এখানেও (সিলেট) শতভাগ অক্ষুন্ন থাকবে।’- বলছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন।
আহমদ হোসেন বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি, জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছি। এখানে আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, এখানে নৌকা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। আর মাত্র একদিন পরেই নির্বাচন, ইনশাল্লাহ বিপুল ভোটে আমরা জয়ী হব। আনোয়ারুজ্জামান বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ইনশাল্লাহ। এটা আপনি লিখে রাখতে পারেন।’
আর মাত্র একদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্বাচনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অবস্থা- অবস্থান কি? এই নির্বাচন কেমন হবে? সেখানে কোনো ধরনের দলীয় দ্বিধা-বিভক্তি রয়েছে কি না? -এসব বিষয় নিয়েই কথা হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন-এর সঙ্গে। তিনি বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের হাল হকিকত। পাঠকদের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।
সিলেটে গাজীপুরের মতো কোনো ধরনের দলীয় কোন্দল আছে কি না?- উপরে উপরে নৌকার প্রচারণা চালাচ্ছে, আবার ভেতরে ভেতরে বিরোধী প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছে- এ ধরণের কোনো সমস্যা সিলেটে আছে কিনা? -জানতে চাইলে আহমদ হোসেন বলেন, গাজীপুরে কি হয়েছে- তা জানি না, তবে এখানে দল ঐক্যবদ্ধ। এখানে উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। সবাই নৌকার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে, ভোট চাইছে। এখানে আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে।
সিলেটের নির্বাচনী পরিবেশ এবং অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কেমন অবস্থা বা অবস্থান বলে আপনি মনে করছেন? - এমন প্রশ্নের উত্তরে আহমদ হোসেন বলেন, সিলেটের নির্বাচনী পরিবেশ খুবই সুন্দর এবং অনুকূল। এখানে প্রচার-প্রচারণা চলছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ, খুব ভালো নির্বাচনী পরিবেশ এখানে আছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যারা আছেন, তারাও নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এখানে কোনো বাধা নেই। সবাই নির্বাচনের কাজ করছে।
তিনি বলেন, এখন জয়ের পথে আমরা আছি ইনশাল্লাহ। আমাদের মূল্যায়ন বলে, মানুষের চোখ বলে- আমাদের পক্ষে, নৌকার পক্ষে। আমরা মানুষের সাথে কথা বলছি এবং ওয়ার্ড টু ওয়ার্ড কথা বলছি। তারাও বলছেন যে, নৌকায় তারা ভোট দেবেন। এর মধ্য দিয়ে আমরা প্রমাণ পাচ্ছি নৌকার জয়ের ধারা অব্যাহত আছে, জয়ের পথে আছে ইনশাল্লাহ। লিখে নিতে পারেন। জয় নৌকার।
আওয়ামী লীগ সিলেট সিটি নির্বাচন আহমদ হোসেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।