‘সামাজিক এবং বাস্তবিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদ একটি ব্যতিক্রমধর্মী রাজনৈতিক দল, যারা একটি দল তৈরি হওয়ার আগে বিভিন্ন সংগঠন, যেমন:- ছাত্র সংগঠন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব সংগঠন, যুব অধিকার পরিষদ, শ্রমিক সংগঠন, প্রবাসী সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন- পাঁচটি অঙ্গ সংগঠন তৈরি করে, তারপর ২৬ অক্টোবর দলের ঘোষণা করে। সেই জায়গায় দলের এই যে অঙ্গ সংগঠনগুলো- এখানে কিন্তু রেজা কিবরিয়ার কোনো ভূমিকা নেই। আমরা একজন মুরব্বী হিসেবে, আমাদের অভিবাবক একজন খুঁজে রেজা কিবরিয়াকে আমরা আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করেছিলাম।’ - বলছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের ভাঙ্গণ দেখা গেছে। গণমাধ্যমে খবর হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ থেকে সংগঠননটির সদস্য সচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর আহবায়ক রেজা কিবরিয়াকে বহিষ্কার করেছেন। আবার তার প্রত্যুত্তরে রেজা কিবরিয়া নুরুল হক নুরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছেন। গণঅধিকার পরিষদ আসলে কার? কার নেতৃত্বে চলছে গণঅধিকার পরিষদ এবং ভবিষ্যতে কার নেতৃত্বে চলবে?- এসব বিষয়ে কথা হয় গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর- এর সঙ্গে। তিনি বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের বর্তমান অবস্থা- অবস্থানের কথা। পাঠকদের জন্য গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, রেজা কিবরিয়া-তো এই দলের ১শ’ ২১ জনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের মধ্যে ২১ জনকেও চেনে না। তাদের সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতাও নাই। তিনি- তো গণঅধিকার পরিষদের সাথে বলতে গেলে, আসলে এতোদিন আমরা আর্টিফিসিয়ালিভাবে তার সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছিলাম। তিনি-তো আসলে গণঅধিকার পরিষদকে সেভাবে ধারনই করতেন না। তিনি ২৬ বছরে ড. কামাল হোসেনের গণফোরামকেও ভেঙেছেন, এখন গণঅধিকার পরিষদকেও ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এখন তার পাশে-তো কেউ নাই। আমরা গণাধিকার পরিষদ থেকে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- আহ্বায়কের বিষয়ে- এ বিষয়ে আমাদের যে ছাত্র- যুব অঙ্গ সংগঠন সবাই বিবৃতি দিয়ে এটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। সুতরাং তার পাশে-তো কেউ নাই। সে গণঅধিকার পরিষদ দাবি করলেই-তো সেটা হবে না আসলে। সে গণঅধিকার পরিষদের এক অংশ, সে বলে গণঅধিকার পরিষদ তার সাথে!
গণধিকার পরিষদের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আপনাকে সোচ্চার ভূমিকায় দেখা গেছে, রেজা কিবরিয়াকে সেভাবে খুব একটা বেশি দেখা যায়নি- বর্তমান প্রেক্ষাপটে এবং ভবিষ্যতে রেজা কিবরিয়া বা তার দলকে গণঅধিকার পরিষদে ফের দেখা যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না?- এমন প্রশ্নে নুরুল হক নুর বলেন, এখন আমাদের রেজা কিবরিয়ার সাথে মতানৈক্যের প্রেক্ষিতে- সাম্প্রতিক মতানৈক্যটা হচ্ছে যে- বিশেষ করে বিএনপি ভাঙার যে প্রক্রিয়া শওকত মাহমুদদের এবং জনৈক মাসুদ করিম, এনায়েত করিম দেশের বাইরে থেকে কাঠমুন্ডু- নেপাল বসে মিটিং করে, আওয়ামী লীগ, বিএনপির বাইরে আরেকটি সরকার গঠন করে- এই অপতৎপরতায় রেজা কিবরিয়ার সংশ্লিষ্টতার কারণে আমরা তার প্রতি নারাজ। আমরা তার কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। তিনি যদি ভুল স্বীকার করে সে প্রক্রিয়া থেকে সরে আসেন, তাহলে হয়তো দল এবং দেশের স্বার্থে আমরা তাকে ওয়েলকাম করতে পারি।
শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। তার বাবা শাহ এম এস কিবরিয়া ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের একজন মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী। সেই সূত্রে রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগের কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে বলে কি আপনার মনে হয়?- এমন প্রশ্নে সাবেক ভিপি নুর বলেন, বিষয়টি সে রকম আমি বলতে চাই না যে, তিনি কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। হোটেল লা মেরিডিয়ানের একটি প্রোগ্রামে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তিনি আসলে কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন- সেটা আসলে আমার পক্ষে বোঝা মুশকিল। তবে তিনি যা করছেন, তা দল এবং দেশের স্বার্থ পরিপন্থি।
‘দেশের স্বার্থ পরিপন্থি’- তিনি আসলে কাদের হয়ে কাজ করছেন বলে আপনার মনে হয়? -এমন প্রশ্নে নূর বলেন, তিনি আসলে আওয়ামী লীগ, বিএনপিকে বাদ দিয়ে একটি বিকল্প সরকার গঠন করবেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন- এ ধরনের স্বপ্নে বিভোর। এতে তিনি কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন এবং তার পেছনে কারা কারা আছে, সেটা মনে হয় সরকার জানে- বিশেষ করে নেপাল, কাঠমুন্ডুর মিটিংয়ে কারা অংশ নিচ্ছে, এই মিটিংগুলোতে, আমরা জানি যে ২০১৯ সাল থেকে তৎপরতা- এইগুলো তদন্ত করলে হয়তো সত্যটা বের হয়ে আসতে পারে।’
নুরুল হক নূর গণঅধিকার পরিষদ রেজা কিবরিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।