মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল পেছানোর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আমি এর কোনো সম্ভাবনা দেখি না। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর যে সন্দেহের প্রাচীর তৈরি হয়েছে তাতে সে সম্ভাবনা নেই। তবে এক দফা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল শেষ চেষ্টা হিসেবে তফসিল পেছানোর জন্য তৎপরতা চালাতে পারে। কিন্তু তফসিল পেছানোর নামে যদি আবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাকে কেউ প্রশ্ন বিদ্ধ করে ফেলে তাহলে আরেকটা অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কাজেই নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। নির্বাচনী রোডম্যাপ বিপন্ন হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। তবে তফসিল পেছানোর সম্ভাবনা দেখি না।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যদি জনমত উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের দিকে যায় তাহলে চলমান যে সংঘাতময় পরিবেশ চলছে সেটাকে আরও উস্কে দেওয়া হবে। সেটা সাধারণ জনগণের জন্যও ভালো হবে না, সরকারের জন্যও ভালো হবে না। দেশের সাধারণ মানুষ এখন একটা সংকটের মধ্যে আছে। দ্রব্যমূল বৃদ্ধি সহ দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা আগামীতে অর্থনৈতিক সংকটকে আরও তীব্রতর করতে পারে এমন আভাস অর্থনীতিবিদরা দিচ্ছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে জনমত উপক্ষো করে এবং নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকাণ্ড যেমন গ্রহণযোগ্য হবে তেমনি আমাদের দেশের সংকটকে আরও বাড়িয়ে দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, অনেক দিন ধরে আমাদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল। রাস্তা-ঘাট বন্ধ না করে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। সাধারণত নির্বাচনের আগ দিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো কি করবে না করবে, নির্বাচনী ইশতেহার কেমন হবে ইত্যাদি। কিন্তু রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দিয়ে হরতাল-অবরোধ করা কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর উচিত না।
বিএনপির ভেতর দুইটি গ্রুপ রয়েছে। একটি আম্মা গ্রুপ আরেকটি ভাইয়া গ্রুপ। ভাইয়া গ্রুপের প্রধান তারেক রহমানকে আমরা সবসময় সন্দেহ করেছি। সন্দেহ করেছি এই কারণে যে তিনি (তারেক রহামান) সব প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করে কিনা। আজকে রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য এবং কিছুদিন আগে বিএনপির আরেক দায়িত্বশীল নেতার একই ধরনের বক্তব্যে আমাদের এখন সন্দেহ যে খালেদা জিয়াকে দেশের খ্যাতনামা হাসপাতাল দেয়া হলেও তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন না কেন? খালেদা জিয়া সবাইকে সন্দেহ করেন। তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান তিনিইতো ঔষধ দিয়েছেন, তিনিই প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন। তিনিই প্রেসক্রিপশনগুলো দেখেছেন এবং বেগম খালেদা জিয়া জোবায়দা রহমানের ঔষধকে প্রত্যাখান করেছেন। কাজেই আমাদের মনে হচ্ছে ‘ডাল মে কুছ কালা হে।’ কারণ যে হাসপাতালে তিনি সার্বক্ষণিক চিকিৎসা করছেন সেই ডাক্তার সাহেবও বিএনপির দলীয় ডাক্তার। কাজেই এইখানে ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপিয়ে দিয়ে তারা কোন অশুভ উদ্দেশ্য চরিত্রার্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এটা পরিষ্কার।