নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৫ অগাস্ট, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই করোনা টেস্টের সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। ফলে শনাক্তের সংখ্যাও কমেছে। এই টেস্ট কমার ফলে দেশের করোনা পরিস্থিতি আসলে কোথায় আছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। অনেকেই প্রশ্ন করছেন টেস্ট কেন কম করা হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, টেস্ট কমার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। আগে লক্ষণ না থাকলেও অনেকেই করোনা টেস্ট করতে আসতেন, একজনের সঙ্গে আরও কয়েকজন এসে লাইনে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা করিয়ে যেতেন। ফলে ভিড় অনেক বেশি হত। এখন তেমনটা হচ্ছে না। লক্ষণ ছাড়া তেমন কেউ এখন টেস্ট করাতে আসছেন না। মানুষ টেস্ট বিমুখ হয়ে পড়েছে। একটা বা দুটো কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বরং এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে টেস্টের ব্যাপারে একটা আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। এই আস্থার সংকটের কারণে করোনা টেস্ট কমছে। দ্বিতীয় কারণ হলো, মানুষ এখন করোনাকে আগের মতো আর ভয় পাচ্ছে না। মানুষের মাঝে করোনা নিয়ে একটা ভয়ডরহীন ভাব চলে এসেছে। এজন্যেও টেস্ট কমেছে।
কিছুদিন ধরে টেস্ট কমার পেছনে আরেকটি কারণ হিসেবে ডা. আব্দুল্লাহ মনে করেন যে, স্পষ্টভাবেই এখন বলা হচ্ছে যে, যাদের শুধু লক্ষণ থাকবে, তারাই কেবল টেস্ট করবে, অন্যদের টেস্ট করার দরকার নেই। এ কারণে টেস্টের সংখ্যা কমেছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক মনে করেন যে, করোনার টেস্ট কমার প্রধান একটি কারণ হলো, টেস্টে ফি ধার্য করা। ২০০ বা ৫০০ যেটাই হোক না কেন, অনেকেই এই টাকাটা টেস্টের পেছনে খরচ করতে চাইছে না। করোনার কারণে বহু মানুষ কর্মহীন হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশের বড় একটা অংশের কাছে টাকা দিয়ে টেস্ট করানোটা বাড়তি খরচ বলে মনে হচ্ছে।
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, আগে করোনা পজিটিভ হওয়ার পর কয়েক দফায় সবাই টেস্ট করতো, এখন সেই হারটা কমে গেছে। ১৪ দিন পার হয়ে গেলে কেউ যদি সুস্থ হয়ে যায়, তার যদি কোনো লক্ষণ বা অসুস্থতা না থাকে, তারা দেখা যাচ্ছে যে, আর দ্বিতীয়বার টেস্ট করাতে যাচ্ছেন না। ফলে টেস্টের সংখ্যা কমছে।
বন্যাও করোনার টেস্ট কমার একটা বড় কারণ বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের বড় একটা অংশ এখন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছে। দুবেলা, দুমুঠো খাবার জোটাতেই তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা টেস্ট করতে আসতে তারা খুব একটা আগ্রহী হচ্ছে না এটাই স্বাভাবিক।
টেস্ট কমার কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেন যে, ঘরে করোনা চিকিৎসার পদ্ধতি সম্পর্কে মানুষের এখন একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। গরম পানি খাওয়া, গার্গল করা, ভাপ নেওয়া এগুলো তো আছেই, সেই সঙ্গে কিছু ওষুধ পত্রের নামও মানুষ এখন জানে। করোনার লক্ষ্মণ দেখা দিলে তারা টেস্ট করাটাকে ঝামেলা মনে করছে। এর থেকে বাসায় বসে চিকিৎসা করাটাকেই মানুষ ঝামেলাহীন মনে করছে এবং সেই পথেই হাঁটছে। ফলে টেস্ট কমছে। তাছাড়া টেস্টের জন্য লম্বা লাইন ধরা, রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়া এবং নানা হয়রানি এবং সময়ক্ষেপন এড়াতেও মানুষ এখন করোনা টেস্ট করতে ততটা আগ্রহী হচ্ছে না বলে মনে করেন এই প্রবীণ চিকিৎসক।
তবে তিনি সবাইকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, লক্ষণ না থাকলে টেস্ট না করা অবশ্যই ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু যাদের লক্ষণ উপসর্গ আছে তাদের অবশ্যই টেস্ট করানো উচিৎ। সেই সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।