নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৬ অগাস্ট, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক একটি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কোনো হাসপাতালে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অভিযান চালাতে পারবে না, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভালো সিদ্ধান্ত। এর ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একটি অরাজক অবস্থার হাত থেকে মুক্তি পেল।’ বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং জরুরি সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ হাসপাতালগুলোতে যা হচ্ছিল, এর ফলে একটা কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমাদের বেসরকারি চিকিৎসাব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার একটা ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।’
প্রবীণ এই চিকিৎসক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বেসরকারি খাতের অবদানই বেশি। ৬০ ভাগ মানুষ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেয়। কাজেই কথায় কথায় এই হাসপাতালগুলোতে অভিযান পরিচালনা করলে একটা আতঙ্ক তৈরি হতো। এর ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পক্ষে যেমন জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়তো, তেমনি জনগণের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দিত। আমরা মনে করি যে, হাসপাতালগুলোতে সমস্যা থাকতেই পারে। সেই সমস্যা দেখার দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।’
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি লক্ষ্য করেছি অনেক হাসপাতালই দীর্ঘদিন আগে অনুমোদনের জন্য বা তাদের রেজিস্ট্রেশন নবায়ণের জন্য আবেদন করেছে, কিন্তু দিনের পর দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি। এটা কখনও কাম্য হতে পারে না।’
তিনি বলেন যে, ‘প্রথিতযশা হাসপাতালও আবেদন করেছে। এই আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালের যেই নীতিমালা আছে, সেই নীতিমালাকে যুগোপযোগী করা দরকার।’
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সবাই তো সাহেদ না, সব হাসপাতালও রিজেন্ট হাসপাতাল নয়, কাজেই ঢালাওভাবে সবগুলো হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করায় একটা ভুল বার্তা যাচ্ছিল। এই বার্তাটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য নেতিবাচক হতো। আমি মনে করি যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও সজাগ এবং সচেতন হতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অনুমতি বা এগুলোর মান যাচাই বাছাই করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের তদারকি জোরদার করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও আমার বিনীত অনুরোধ, যে হাসপাতালগুলোতে এখনও দোষ-ত্রুটি অনিয়ম আছে, সেগুলো যেন তারা যথাশীঘ্র সম্ভব শুধরে নেয়। জনগণ যেন এই হাসপাতালগুলোতে অযথা হয়রানির স্বীকার না হয়, সেজন্য হাসপাতালগুলো আরও সজাগ হবে, সচেতন হবে, এটাই আমি প্রত্যাশা করি।’
প্রধানমন্ত্রীর এই মুখ্য চিকিৎসক বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে তদারকি এবং মনিটরিংয়ের দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এ ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে মনে রাখতে হবে যে, বেসরকারি হাসপাতালগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। কেউ কারও প্রতিপক্ষ না হয়ে পারস্পারিক সমন্বয় সাধনের ভিত্তিতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এটা করাটাই অত্যন্ত প্রত্যাশিত এবং কাম্য।
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘কথায় কথায় যদি বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালায়, তাহলে স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক পরিবেশ ব্যহত হতে পারে। আমি এ নিয়ে আগেও বলেছিলাম এবং আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ রকম একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।