নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৮ অগাস্ট, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন যে, ‘একের পর এক দুর্যোগের মধ্যে আমরা সময় কাটাচ্ছি। করোনা সঙ্কটের পর আম্ফান, এরপর বন্যার মতো দুর্যোগে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি আমরা। আমাদের জন্যে আশার বানী হলো বাংলাদেশে এবছর ডেঙ্গুর প্রকোপ তেমন হয়নি। আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পেরেছি। এবার খুব কম মানুষের ডেঙ্গু হয়েছে এবং দুই সিটি করপোরেশনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পেরেছি। এজন্যে দুই মেয়র এবং তাঁর কর্মকর্তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।’
বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় ডা. এবিএম আবদুল্লাহ এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন যে, গত বছর আমাদের ডেঙ্গুর মহামারি ছিল এবং এবছর করোনা সংক্রমণ যখন আমাদের জন্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ তৈরি হচ্ছিল, তখন আমরা আতঙ্কিত ছিলাম। এর মধ্যে যদি ডেঙ্গু গত বছরের মতো হতো তাহলে তা আমাদের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য এক বিরাট হুমকি তৈরি করত। কিন্তু দুই মেয়রের বিচক্ষণতা এবং দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের কারণে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ তেমন হয়নি।’
ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন যে, দুই সিটি করপোরেশনেই এবার মশক নিধন কার্যক্রম খুব ভালোভাবে করা হয়েছে এবং এখানে কোন অনিয়মের কথা আমি শুনিনি। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।
তবে তিনি বলেন যে, মশক নিধনে যে সাফল্যের অভিজ্ঞতা, এই অভিজ্ঞতায় আত্মতুষ্টির কোন সুযোগ নেই। যেভাবে এই বছর মশক নিধন করা হয়েছে এবং ডেঙ্গু মোকাবেলায় যে ধরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, সেটাকে অব্যহত রাখতে হবে। ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন যে, সারা বছর ধরেই মশক নিধন কার্যক্রম চালু রাখা উচিত এবং এবার বিশেষ করে যা লক্ষ্য করেছি তা হলো সিটি করপোরেশনের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগগুলো যেভাবে সমন্বয় করে কাজ করেছে সেই সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গুর অভিজ্ঞতা আমাদের একটি বিষয়ে আশাবাদী করে তুলেছে, তা হলো আমরা যদি সম্বিলিতভাবে এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করি তাহলে শুধু ডেঙ্গু নয়, যেকোন জনস্বাস্থ্যের সঙ্কট আমাদের জন্য মোকাবেলা করা কঠিন নয়।
ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন যে, গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিখেছি। গত বছর ডেঙ্গু যেভাবে মহামারি আকার ধারণ করেছিল, ‘সেই পরিস্থিতি এবার আমরা হতে দেইনি। কাজেই আমরা মনে করি যে, করোনা বা অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রেও আমরা এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারি। যেভাবে আমরা ডেঙ্গু মোকাবেলা করেছি, আমাদের সচেতনতা, আমাদের বাড়িঘর পরিচ্ছন্ন রাখা, ডোবা-নালাকে আবর্জনামুক্ত রাখা, সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মসূচী- এই সম্বিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যেভাবে ডেঙ্গু মোকাবেলা করতে পেরেছি, ঠিক একইভাবে আমরা যদি করোনার ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, আমরা যদি মাস্ক ব্যবহার করি, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখি তাহলে আমাদের পক্ষে করোনা মোকাবেলা করাও সম্ভব হবে এবং আমরা সম্বিলিতভাবে যেকোন সঙ্কট মোকাবেলা করতে পারবো।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।