নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সাম্প্রতিক সময়ে চিকিৎসকদের আবাসন নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও চিকিৎসকদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। সেই সঙ্গে করোনার ‘দ্বিতীয় ওয়েভ’ নিয়েও সর্বত্র আলাপ আলোচনা চলছে। স্বাস্থ্য খাতের সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ও করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক মির্জা মাহমুদ আহমেদ।
বাংলা ইনসাইডারঃ করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের আবাসন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা নিরসনে স্বাচিপ কি ভূমিকা নিয়েছে?
ইকবাল আর্সলানঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদফতর এককভাবে আবাসনের দায়িত্ব নিলে ব্যাপারটা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যেত। ইতোমধ্যে আমরা দেখতে পেয়েছি কোভিডের প্রথম থেকে সরকারের তরফ থেকে যে ব্যবস্থাপনাগুলো নেয়া হলো সেখানে বিভিন্ন ধরনের পার্টি ঢুকে গেল। এই পার্টি ঢুকে যাওয়ার কারণে আর্থিকখাতে অনেক নয়ছয় হয়েছে। চলতি মাসের ১৪ তারিখ স্বাস্থ্য সচিব মহোদয়ের সঙ্গে আমাদের একটা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমরা চিকিৎসকদের প্রণোদনা আর সুরক্ষা নিয়ে কথা বলেছি। সভায় আমরা দুটো বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছেছিলাম; প্রথমত হলো; চিকিৎসকদের কাছে অপশন চাওয়া হবে। অনেক চিকিৎসক ব্যাক্তিগতভাবে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে পারেন। কিন্তু অনেক চিকিৎসকের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইসোলেশন করা সম্ভব না। তাদেরকে প্রণোদনা দিলেও তারা আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে পারবেন না। এজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছিলো মন্ত্রণালয় অপশন চাইবে কারা সরকারি ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশনে থাকতে চান।
মন্ত্রণালয় চিকিৎসকদের একটি স্থানে রাখবেন এবং একইভাবে স্বাস্থ্য কর্মীদের অপর একটি স্থানে রাখবেন। মন্ত্রণালয়ই তাদের সমস্ত থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা থাকবেন তারা প্রণোদনা নেবেন না। সত্যিকার অর্থে চিকিৎসকরা কেউ প্রণোদনা নেয়ার পক্ষে না। চিকিৎসকরা কোনদিন প্রণোদনা চান নাই। প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম দফায় ভুল বোঝানো হয়েছে যে, চিকিৎসকরা প্রণোদনার জন্য কাজ করছেন না। ঠিক এই মূর্হুতেও তারা বোঝাতে চাইছেন; প্রণোদনা দিলে চিকিৎসকরা খুশি হয়ে যাবেন এবং তারা নেতিবাচক কথা বার্তা বলবেন না। আসলে বিষয়টা ঠিক না। যারা এভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়েছেন তারা আসলে ভুল বুঝিয়েছেন। চিকিৎসকরা চাচ্ছেন একটা মানসম্মত থাকার জায়গা, খাওয়া এবং পরিবহণের ব্যবস্থা যাতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করা হয়। এই ব্যবস্থা করা সরকারের পক্ষে কঠিন কিছু ছিলো না।
ইতোমধ্যে দুয়েকটি হাসপাতাল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল একটি ব্যবস্থা করেছে। সেখানে একটি হোটেল দৈনিক দুই হাজার টাকায় চিকিৎসকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে রাজি হয়েছে। আমি মনে করি, যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় উদ্যোগ করে তাহলে আরও হাসপাতালে চিকিৎসকদের জন্য এরকম আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব। চিকিৎসকদের আবাসন নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার সুরাহাটা এভাবেই হওয়া উচিত। স্বাস্থ্য সচিব মহোদয়ের সঙ্গে স্বাচিপের যে বৈঠক হয়েছিলো; সেই বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো সেই সিদ্ধান্তগুলো যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বাস্তবায়ন করে তাহলে আমি মনে করি চিকিৎসকদের আবাসন নিয়ে এই জটিলতা সম্পূর্ণভাবে নিরসন হবে।
বাংলা ইনসাইডারঃ কোভিডের শুরু থেকে আমরা দেখতে পেয়েছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের সাথে চিকিৎসকদের একটা অবিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আস্থায় না নিয়ে এমন একটা অতিমারী মোকাবেলা করা সম্ভব? আস্থার সংকট কিভাবে দুর করা যায়।
ইকবাল আর্সেলানঃ আস্থার সংকট যে আছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আস্থার সংকট এখনো বিরাজমান বলে আমি মনে করি। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এবং চিকিৎসক দুই পক্ষের মধ্যেই পারস্পারিক আস্থার সর্ম্পক তৈরি হওয়া দরকার। কোভিডের শুরু থেকে যখন কোন নেতিবাচক পরিহিস্তি তৈরি হয়েছে তখনই আমরা চিকিৎসকদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি; সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিক এবং ইতিবাচক। চিকিৎসকদের যৌক্তিক দাবীগুলোর বাস্তবায়ন করা হলে আস্থার জায়গাটা ফিরে আসবে।
বাংলা ইনসাইডারঃ করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ নিয়ে আপনারা কি ভাবছেন?
ইকবাল আর্সেলানঃ করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা সভা করেছি। আমাদের সাব কমিটিগুলোকে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।