নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ০৭ জানুয়ারী, ২০২১
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো. আওলাদ হোসেন বলেছেন, ‘ভাস্কর্য একটি মীমাংসিত ইস্যু কিন্তু সেই বিষয়ে ধর্মীয় অপব্যাখা দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করায় সমাজে বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে। তবে পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে, ভাস্কর্য বিরোধীদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁরা সরকারের সাথে আলোচনা করে সমঝোতায় এসেছেন। এ জন্য ধন্যবাদ তাদের। কিন্তু তাঁদের ভাস্কর্য বিরোধী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে, সমাজে যে মূল্যবোধগত ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে সেটা এখনও চলামান। তাই ভাস্কর্য বিরোধীরা যেভাবে প্রচারণা করেছিলেন, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঠিক একইভাবে প্রচারণা চালিয়ে ভাস্কর্য ইস্যুতে সৃষ্ট তৃণমূলের ক্ষত সারিয়ে তুলতে হবে।’
ভাস্কর্য ইস্যু এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. মো. আওলাদ হোসেন বলেন, করোনাকালে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মন্দা কবলিত হয়নি। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা(WFO)করোনাকালে বিশ্বে খাদ্য সংকটে কয়েক কোটি মানুষের মৃত্যু হবে বলে সম্ভাবনা ঘোষণা করলেও আল্লাহর অশেষ রহমত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শি নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশে খাদ্য সংকট হয়নি। করোনা মহামারী কালে তাঁর গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের রেমিটেন্স বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ। এক্ষেত্রে সরকারের একটি সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সরকারের সিদ্ধান্ত ছিলো বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠালে ২ শতাংশ টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে। আর এই সিদ্ধান্তের কারণেই প্রবাসীরা বৈধ পথে বাংলাদেশে টাকা পাঠিয়েছেন এবং দেশের রেমিটেন্স রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পজিটিভ সিদ্ধান্তের কারণে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেই অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে ধর্মের অপব্যাখ্যা করে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করার একটা সুক্ষ্ণ ষড়যন্ত্র চালিয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে মীমাংসিত বিষয় নিয়ে সারাদেশে বিতর্ক সৃষ্টি করে জনমানুষের মধ্যে এক ধরনের বিভাজন সৃষ্টি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন মসজিদে বা ধর্মীয় মাহফিলে বা অনুষ্ঠানে ভাস্কর্যবিরোধীদের কতিপয় অনুসারিরা বুঝে বা না বুঝে বা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হীন রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা বিরোধীরা ধর্মীয় অপব্যাখা দিয়ে যেমনিভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো ঠিক তেমনিভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এবং দেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে সামাজিকভাবে বিপর্যয় ঘটানোর পায়তারা করছে। এই পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল শক্তি ও জনগণের একান্ত কর্তব্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভাস্কর্য বিরোধীতার আড়ালে সুদূরপ্রসারী ‘স্বাধীনতা বিরোধী সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র’এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোরভাবে প্রতিহত করা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।