নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের নির্বাচনী পরিবেশ এখন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আগে অনেকে ভোট দিতে পারেননি কিন্তু এখন সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং দেশে নির্বাচনী পরিবেশ ও ভোটার উপস্থিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সহিংসতা কিংবা খারাপ খবর শোনা যায়নি। অন্যদিকে করোনাকালেও ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে যা নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য ইতিবাক দিক। করোনার মধ্যেও ৬৫/৬৬ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি দেখাচ্ছে। ফলে আগের থেকে ভোটার উপস্থিতি অনেক বেড়েছে। আগের তুলনায় এখনকার নির্বাচন ভালোর দিকেই যাচ্ছে।
ভোটার উপস্থিতি বাড়ার কারণ জানতে চাইলে এই সাবেক নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখন যারা প্রার্থী হচ্ছেন তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে একটা ভূমিকা রাখছেন অন্যদিকে নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি এবং নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ ভালো ফলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসছেন। আগে অনেকেই ভোট দিতে পারেননি কিন্তু এখন সেই জায়গায় উন্নতি হচ্ছে। সবমিলিয়ে এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় দিন দিন ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে। তা না হলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই হারে ভোটাররা উপস্থিত হতেন না। এ ছাড়া নির্বাচনের পরিস্থিতিও বদলাচ্ছে। ভোটার উপস্থিতি না থাকলে দেশের ওপরে বিরুপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে এসব কারণে ভোটারদের নির্বাচনমুখি করার চেষ্টা থেকেও ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।
তিনি বলেন, অতীতে অনেকেই ভোট দিতে পারতো না বা আগের সেই পরিস্থিতি এখন নেই। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এবং মোটামুটি একটা চেষ্টা চলছে এই জায়গা থেকে উত্তরণের। তবে যতটুকু নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা নির্বাচন কমিশনের ততটুকু হয়তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বা করছে না। নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সেটা হয়তো পুরো নির্বাচন এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনতো।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।