নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, নৌকার প্রার্থীর জয়ের জন্য জোর করে সিল মারার দরকার নেই। শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মানুষের কাছে তুলে ধরে ভোট চেয়েই নৌকাকে জেতাতে হবে।
কিছু নেতার অতি উৎসাহী বক্তব্য এবং আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। পাঠকদের জন্য এসএম কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মীরা যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন তাহলে জনগণের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে ভোট নিতে হবে। দলের কিছু নেতাকর্মীর অতি উৎসাহী কথাবার্তায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ণ হচ্ছে। যেসব নেতারা বিভিন্ন জনসভায় বক্তব্য দেন তাদের সকর্ত হয়ে কথা বলতে হবে। সরকারের ধারাবাহিত উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতবে। এক্ষেত্রে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা থাকলে যেকোনো নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব। আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেতাতে কাউকে হুমকি-ধমকি কিংবা অতিরঞ্জিত বক্তব্যের দরকার নেই। এই সরকার সারাদেশে যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছে সেই উন্নয়ন তুলে ধরে মানুষের কাছে ভোট চাইলেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হবে। আর যদি কোথাও কোনো প্রার্থী হারেন তাহলে তার দায়ভার স্থানীয় নেতাকর্মী, এমপি ও বড় নেতাদের। যেখানে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বাড়ছে সেখানে যদি আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজীত হন তাহলে সেই ব্যর্থতা সেখানকার নেতাকর্মীদের। কোথাও যদি নৌকা হারে তাহলে বুঝতে হবে সেখানকার নেতাকর্মীদের ব্যবহারের কারণে হেরেছে। সেক্ষেত্রে সেখানকার নেতাকর্মীদের উচিৎ মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে বিনয়ের সঙ্গে ভোট চাওয়া।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাই কাদের মির্জা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মাহমুদা বেগম ও লক্ষীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অতি উৎসাহী কথাবার্তায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ণ হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব নেতাদের অতি উৎসাহী কথার দায় সরকার নেবে না। এসব নেতাদের উচিৎ হবে কথা বলার আগে চিন্তা ভাবনা করে কথা বলা। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ হচ্ছে ক্ষমতার উৎস। জনগণের ভোট নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা যথেষ্ট কিন্তু এ ধরনের অসংযত কথাবার্তায় দলীয় ভাবমূর্তিতে প্রভাব পড়বে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।