নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, কিছুদিনের মধ্যে টিকাদানের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে। এজন্যে সকলকে কিছুদিনের জন্য ধৈর্য ধরতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ড. আরেফিন সিদ্দিক। পাঠকদের জন্য আরেফিন সিদ্দিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে। সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে শিক্ষার্থী এবং দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয় তাদের পরিবারও করোনার ঝুঁকিতে থকাবেন কারণ তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা করলে তারাও ঝুঁকিতে পড়বেন।
আমাদের আশপাশের দেশগুলো নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে কাজেই করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসার আগে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয় তাহলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকবে তখন দেশ নতুন করে সংকটে পড়বে। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে ভারতে করোনার নতুন একটা ধরন সনাক্ত হয়েছে কাজেই পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেটা বলা কঠিন। সবকিছু মিলে এখন আমরা একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি তাই এই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে উঠতে একটু সময় লাগবে। মে মাসের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার যে সিদ্ধান্ত সেটা যুক্তিসংগত। কাজেই এই অনিশ্চয়তার মাঝে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনার সমন্বয় করে এগিয়ে যেতে হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে ঝামেলার জেরে ক্যাম্পস উত্তপ্ত হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসীর সংঘর্ষ বাধে। এপর শিক্ষার্থীরা হলের তালা বেঙে ভেতরে প্রবেশ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় ওঠে। আর সেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীরনগর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালসহ ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।