নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
সিনিয়র সাংবাদিক ও টিভি টুডের এডিটর ইন চিফ মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, যারা দেশের বাইরে থেকে দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক কথা বলবে তাদের কিছু করা যাচ্ছে না। অথচ দেশের মধ্যে মুক্তমনাদের গ্রেফতার করবেন শাস্তি দেবেন সেটা হতে পারে না। মত প্রকাশের ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে আরও সতর্ক হওয়া দরকার।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার লেখক মুশতাকের কারাগারে মৃত্যু এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। পাঠকদের জন্য মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ডিজিটাল অপরাধের শাস্তি হওয়া দরকার কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিকতা, সৃজনশীল সাহিত্যের ক্ষেত্রে আইনটি প্রয়োগের বেলায় খুবই সতর্ক থাকা দরকার। সতর্ক থাকার জন্য আমরা প্রস্তবনা দিয়েছিলাম কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন হয় নি। আমরা আগে থেকেই বলেছিলাম যে ডিজিটালি যেসব অপরাধ হয় সেগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আইন দরকার। কিন্তু যে আইনটা করা হলো সে আইন নিয়ে আমরা বলেছিলাম যে আইনের একটা বড় ধরনের অপপ্রয়োগ হতে পারে লেখক, সাংবাদিকদের ব্যাপারে। আর সেটা এখন হচ্ছে এবং সেটা দুঃখজনক। এই আইনটাকে রিভিউ করা এবং এর অপপ্রয়োগ বন্ধের কথা বলেছিলাম। বিশেষ করে লেখক, সাংবাদিকদের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে বিবেচনা করার কথা বলেছিলাম কিন্তু সেটা করা হয়নি। আর এই মামলাটা দীর্ঘদিনেও নিস্পত্তি হয় না। যে কারণে মুসতাকের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো ভাবেই সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন না করে সেটা খেয়াল রাখা উচিৎ। এক্ষেত্রে আমাদের গণমাধ্যমের যে সকল প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোকে শক্তিশালী করা উচিৎ এবং প্রেস কাউন্সিলকে আরও শক্তিশালী করা দরকার। এছাড়া ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে যারা জঙ্গিবাদী কার্যক্রম করে তাদের বিষয়টা খুবই শক্তভাবে দেখা উচিৎ। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলোতে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করা যেতে পারে যাতে করে এ বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ তাদের মতামত নিতে পারেন আদালত। যাতে এই মামলাগুলো দ্রুত নিস্পত্তি করা যায়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।