নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২১
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম মানে ইসলামের হেফাজতকারী না। এরা বিএনপি-জামায়াত, স্বাধীনতাবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির হেফাজতকারী। ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে উস্কে দিচ্ছে, ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। আওয়ামী লীগ হেফাজতকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করবে।
সরাদেশে হেফাজতের তাণ্ডব এবং চলমান রাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন এসএম কামাল হোসেন। পাঠকদের জন্য এসএম কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে যারা হত্যা করতে চেয়েছিলো তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি-জামায়াত জোটের কিছু মওলানারা মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং হেফাজতকে সামনে রেখে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতেই এই তাণ্ডব চালানো হয়। আর এটি একটি ষড়যন্ত্র এবং দেশ ও দেশের জনগণের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করে সুতরাং কোনোভাবেই এই ধরনের সহিংসতা করতে দেবে না।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধীতা করলো হেফাজত, এখন দেশব্যাপী তাণ্ডব চালালো তারা। কিন্তু আগে তেমন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি তাহলে এবারও কি তারা পার পাবে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সব সময় কঠোর ছিলো ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে। এবার যেহেতু স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্ত্রীতে দেশের বিদেশি অতিথিরা ছিলেন এজন্য কৌশলগত কারণে সরকার নমনীয় ছিলো এবং কোনো কথা বলেনি। কিন্তু এখন হেফাজতকে রাজনৈতিকভাবেই প্রতিহত করা হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেখানেই ধর্মীয় উগ্রবাদীরা ধ্বংসলীলা চালাবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আর এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় টিম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও গিয়ে সেখানকার নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে। আজ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় টিম ফরিদপুরের সালথায় যাচ্ছে তৃণমূলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়ানো, সেকানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, যারা মানুষের ওপর হামলা করবে, রাষ্ট্রিয় স্থাপনায় হামলা করবে, দেশকে অস্থিতিশীল করবে তারা আর যাই হোক ইসলামকে হেফাজত করতে পারে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম। মানুষকে আঘাত করা, বাড়িঘর ভাঙচুর করার কথা ইসলাম বলে না সুতরাং যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লীপ্ত তাদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান নেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন ধর্ম ব্যবসায়ীরা ষড়যন্ত্রের কাছে আওয়ামী লীগ মাথানত করবে না। আওয়ামী লীগ অবশ্যই এদেরকে প্রতিহত করবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।