নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২০ জুলাই, ২০২১
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান বলেছেন, মানুষের উপসর্গ শুরু হওয়ার পর ১২ সপ্তাহ যখন উপসর্গগুলো থাকে তখন এটাকে বলা হচ্ছে লং কোভিড। এই উপসর্গগুলো মৃদু থেকে মাঝারি হতে পারে। আর উপসর্গগুলো হলো যেমন- বেশি দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, হৃদপিন্ডের গতি বৃদ্ধি, বুকে চাপা ব্যথা, স্মৃতি শক্তি হারানো, গিরায় ব্যথা, স্বাদ ও গন্ধে পরিবর্তন ইত্যাদি। এর বাইরে কিছু উপসর্গ দেখা যেতে পারে যেমন- ঘুম কম হওয়া না হওয়া, দৃষ্টি শক্তি বা শ্রবণশক্তি পরিবর্তন। এই উপসর্গগুলো যখন ১২ সপ্তাহ উপরে কোন ব্যক্তির মধ্যে থাকে তখন এটাকে বলা হচ্ছে লং কোভিড। আর লং কোভিড বলতে বুঝাতে চাচ্ছে যে মানুষের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সে প্রতিরোধ ক্ষমতার অতিরিক্ত কার্যকরীতার কারণে। এই অতিরিক্ত কার্যকরীতার কারণে ভাইরাসকে ধ্বংস করার পাশাপাশি বিশেষ যে কোষগুলো আছে সেগুলোর উপর আক্রমণ করে কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করে বলে বলে এই উপসর্গগুলো দীর্ঘ সময় থাকছে।
লং কোভিড, চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. ইকবাল আর্সলান। পাঠকদের জন্য ডা. ইকবাল আর্সলান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
ডা. ইকবাল আর্সলান বলেছেন, আরেকটা বিষয় বলা হচ্ছে যে ভাইরাসের আরএনএ, স্পাইন এই সমস্ত অংশগুলো দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মধ্যে থাকতে পারে। কিছু ভাইরাস আছে যে ভাইরাসের জন্য জ্বর হয় সেই ধরনের ভাইরাসগুলো এই সময় ওই মানুষকে আক্রমণ করে বসতে পারে। এগুলোর ফলে মুলত উপসর্গগুলো দীর্ঘ সময় থাকছে। এটা নিয়ে নির্দিষ্ট মন্তব্য করা কঠিন। তবে তাদের অবজারভেশন হচ্ছে যে, যে সমস্ত কোভিডের রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তাদের এক থেকে দুই শতাংশ রোগীর মধ্যে লং কোভিড সংক্রমণ রয়েছে। এটা হচ্ছে মূল কথা।
ঈদ পরবর্তী পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ডা. ইকবাল আর্সলান বলেছেন, ঈদের পরে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ১৫ দিনের লকডাউনে আমরা হয়তো লাভবান হয়েছি এবং সেটা ধরেও নেওয়া যায়। যেমন- এই লকডাউন না হলে হয়তো ৩০০ বা ৪০০ লোক মারা যেত, সংক্রমণের হার ৩৫ বা ৪০ শতাংশ হত। কিন্তু এই কঠোর লকডাউনের পরেও আমরা দেখলাম যে ৩০ শতাংশ মৃত্যুর হার এবং মৃত্যু দুইশোর ওপরে এবং এটা কনস্ট্যান্ট। তাহলে ৮ দিনের শিথিল কোভিডের সাথে বসবাস এবং গরুর হাটের যে চিত্র, লঞ্চ-ফেরি চিত্র এবং বিপণিবিতানের যে চিত্র এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানার যে প্রবণতা, পাশাপাশি গরুর হাটে প্রায় ২০ শতাংশ করোনা রোগী শনাক্ত। এটি আসলে নির্দেশ করে যে, এই আটদিন একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করবে যেটা আমরা দেখতে পাব অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে।
তিনি আরও বলেন, সেখানে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা আসলে ভয়াবহ বলা হয়, কারণ আমরা এখনই দেখতে পাচ্ছি যে বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন সংক্রমণ হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এই সময়ে মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে। যে আমাদের ৩০ শতাংশের বেশি সংক্রমণে আমরা ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের যখন এটা ৩৫ শতাংশ হবে বা তার বেশি হবে তখন এই ৩০ শতাংশ ঊর্ধ্বে যেই পরিমান রোগী সেই পরিমান রোগীর থেকে যে অতি সংক্রমিত রোগীগুলো আছে তাদের কিন্তু কোথাও স্থান সংকুলান হবে না। তখন মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে আমাদের যে গ্রামগঞ্জে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে যে চিকিৎসার ব্যবস্থা মজবুত নয়। যখন তারা চিকিৎসা দিতে পারবে না তখন রোগীরা সব বড় শহরের দিকে ধাবিত হবে। বড় শহরে যখন এই রোগীর পরিমাণ এবং চাপ বাড়তে থাকবে। তখন স্বাস্থ্যব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়বে বলেই আমার মনে হচ্ছে যে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।