নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময়েই আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা, নেতাকর্মীরা, তৃণমূলের সমর্থকেরা সবাই একযোগে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংগঠনকে তৃণমূল থেকে সর্বস্তরে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা- এটাই ছিল মূল লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের অন্ত:কলহ, এমপি-মন্ত্রীর স্ত্রী, ছেলেকে মনোনয়ন সহ নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
আওয়ামী লীগের মধ্যকার অন্ত:কলহ কোনো কোনোসময় প্রকাশ্য হয়ে যায়, এর কারণ কী হতে পারে, সে প্রশ্নের উত্তরে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বড় দলে নেতাকর্মীদের সংখ্যা আসলে অনেক। যোগ্য নেতা, ত্যাগী নেতার সংখ্যাও অনেক। অতীতে যারা কাজ করেছে, তাদের অধিকারটা বেশি। তাদের অধিকারের জায়গাটা বা সম্মানের জায়গাটা যদি বেশি করে দেয়া যায়, তাহলে তা দলের জন্যই ভালো। কিন্তু কখনও কখনও তাদের সে সম্মানের জায়গাটা বা তাদের বলীদানের যে জায়গাটা, সেটির সম্মান সবসময় দল থেকে দেয়া যায় না। ফলে মর্যাদার জায়গাটা নষ্ট হয়ে যায়, ক্ষুণ্ণ হয়। এই কাজটা যাতে না হয়, এটি থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত, সতর্ক থাকা উচিত। এই ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। এটি হচ্ছে একটি দিক। আরেকটি দিক হলো, যুগোপযোগী সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সবশ্রেণী ও পেশার মানুষকেই আমাদের আওয়ামী লীগে জায়গা দেয়ার প্রয়োজন আছে। কারণ, বিশ্বটি হচ্ছে এখন জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং শিক্ষার যুগ। আমাদেরকেও এর সাথে তাল মিলয়ে চলতে হবে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য সকল শ্রেণির মানুষকেই আমাদের দলে জায়গা দিতে হবে। দুর্দিনের সময় মানুষকে যেমন জায়গা দিতে হবে, তাদের মর্যাদার জায়গাটিও আমাদের রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি যুগোপযোগী মানুষের যে ধ্যান-ধারণা, এটির সাথে তাল মিলিয়েই আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ হচ্ছে এই উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। দলটি তাদের ধ্যান-ধারণা, চিন্তাচেতনায় সবসময়েই সমসাময়িক কালে অসাম্রপদায়িক যে রাজনীতি, ধর্মনিরপেক্ষতার যে চেতনা, সকল জাতি ধর্ম গোষ্ঠী থেকে আরম্ভ করে সবাইকেই জাতির পিতা একজায়গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলে রাজনীতি করেছিলেন। তিনি সে জায়গা থেকে আমাদের বাঙালি জাতিকে, বাংলাদেশের চেতনাকে তিনি ধারণ করতেন। এটিই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
তিনি আরও বলেন, মানুষকে যেমন অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীল হওয়া প্রয়োজন, ঠিক তেমনি দেশকেও আত্মনির্ভরশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা আমাদের দায়িত্ব। এই জায়গা থেকেই মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখা, এই জিনিসগুলোকেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মানুষের মাঝে ফিরিয়ে এনেছেন। বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল, রোল মডেল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, বাংলাদেশকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করেছেন। আগামী বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্যেই দলটি দেশকে ঠিক সেভাবেই গঠন করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে, যাতে তারা নতুন প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এই কারণে আমরা সর্বদাই নৃত্বাত্ত্বিক চিন্তাচেতনায় সমৃদ্ধ এবং উন্নত বাংলাদেশ আমরা চাই। পুরোনো বস্তাপচা রাজনীতি, ধর্মীয় চেতনাকে ক্ষুণ্ণ করার রাজনীতি, ধর্মকে ব্যবসা করার রাজনীতি করতে চায়, দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়, এমন রাজনীতি কখনওই আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীই চায় উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, এটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সে চেতনাকে লালন করে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের জায়গায় ঠিক আছে। নেতাকর্মীদের সকল চাহিদা তো সবসময় পূরণ করা যায় না।
সাম্প্রতিক সময়ে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের গুণগত পরিবর্তন, কিছু কিছু জায়গায় তৃণমূলের প্রার্থী নিয়োগ দেয়ার প্রসঙ্গে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ জনসমর্থনের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের জনসমর্থনের ওপর ভিত্তি করেই আওয়ামী লীগ এখনো টিকে আছে। আগামী দিনেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যুগোপযোগী কর্মকাণ্ড, জনস্বার্থের কর্মকাণ্ড, জনসমর্থনের কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করেই আওয়ামী লীগ টিকে থাকবে সেটিই বঙ্গবন্ধু কন্যা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। আর যে কারণে সব সময়ই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তৃণমূলের যারা দীর্ঘদিন ত্যাগ তিতিক্ষা কষ্ট করেছে তাদের ভেতর থেকেই জনপ্রতিনিধি বেরিয়ে আসুক এটা উনি সবসময় চান। তো সে যায়গায় দাঁড়িয়ে শুধু এই ধরণের একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। অনেকেই মনে করে স্বামী মারা গেলে স্ত্রী এসে দাঁড়ায় তার স্বপ্ন পূরণের জন্য অথবা বাবা মারা গেলে তার ছেলে এসে বাবার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এদের রাজনীতির সাথে, দলের সাথে কোন সম্পৃক্ততা নাই। সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই আমাদের মাননীয় নেত্রী যারা দলের সাথে সম্পৃক্ত আছে পাশাপাশি জনপ্রিয়তারও একটা বিষয় থাকে, পাশাপাশি দলের পুরোনো লোক যাদের জনপ্রিয়তা আছে তাদের গুরুত্বটা উনি বেশি দিতে চান এবং সেটি খুব প্রয়োজন। আওয়ামী লীগকে যারা লালন করে, আওয়ামী লীগকে যারা ধারণ করে জাতির পিতার আদর্শ যাদের আছে তাদের গুরুত্ব সবসময় দিতে হয় এবং আমরা ঘুরেফিরে সেখানেই আসি। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেটাই চান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।