নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, জেলা, থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়নে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ সকল কমিটিকে টার্গেট করে আগামী ডিসেম্বরের মাঝে সম্মেলন সমাপ্ত করার জন্য। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছে, সময় নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। পাশাপাশি আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের শিডিউল ঘোষণা হবে, এটাতে হয়ত ইউনিয়ন পর্যায়ের কিছু কাজ বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে। তবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কাজে কোন ধরনের বাঁধার সৃষ্টি হবে না।
আওয়ামী লীগের সম্মেলন, জেলা-উপজেলার কমিটি, বিএনপির আন্দোলন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
আপনারা কি জেলা পর্যায়ের সম্মেলন আগে করবেন না থানা পর্যায়ে আগে করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আজম বলেন, জেলা পর্যায়ের সম্মেলনগুলো প্রস্তুত আছে যেমন রাজবাড়ীর সম্মেলন আগামী ১৬ অক্টোবর। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যে সমস্ত জেলায় কাজের অগ্রগতি কম সে সমস্ত জেলায় আমরা শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব পরিবর্ত করে ফেলবো আগে।
জেলা নেতৃত্বর ক্ষেত্রে কমিটিতে এমপি, মন্ত্রীদের না রাখা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, এমপি, মন্ত্রীদের জেলা কমিটিতে রাখা হবে না এই ধরণের কোন সিদ্ধান্ত আমাদের হয়নি। এমপিরা জেলা কমিটিতে থাকতে পারবে না এমনটি নয়, তারাও কমিটিতে থাকবেন। তারা তাদের কাজ করবে তবে তাদের মূল কাজ হবে দলকে সহযোগিতা করা। যারা জেলা থেকে সভাপতি কিংবা সম্পাদক হিসেবেই এমপি, মন্ত্রী হয়েছেন তিনি তো ওই পদে আছেনই। তবে যেসব ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্বের অভাবে কিংবা রাজনৈতিক কারণে অন্য পেশার মানুষ অথবা ব্যবসায়ীদের ধরে এনে নির্বাচন করানো হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সেই সুযোগটি নেই।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলগুলো কি সম্মেলনের মাধ্যমে বন্ধ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন্দল বন্ধ করার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেই আগাম সম্মেলন করা হচ্ছে। জেলাসমূহের কোন্দলগুলো নিরসনে নেতৃত্ব পরিবর্তন করা হবে।
যেকোনো আন্দোলন মোকাবেলার জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে যেকোনো আন্দোলন মোকাবেলার জন্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছে, কারণ আওয়ামী লীগ দুর্যোগ মোকাবেলা করেই অভ্যস্ত।
এখনো দুই বছর বাকি থাকতেই আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তো আসলে একটি নির্বাচন শেষ হতেই তার পরেরদিন থেকে আমরা পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে থাকি। এক্ষেত্রে গত নির্বাচনের পর ইতিমধ্যে তিন বছর পার হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে দুই বছর বাকি থাকতেই আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছি।
২০১৮ সালের মত বিএনপি সহ সকল দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা জানতে চাইলে মির্জা আজম বলেন, বিএনপি আসলে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না, তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ালে তারা পরাজিত হবে। অতএব নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য যা যা বলা দরকার, যা যা করা দরকার তা তারা করে। কখনো প্রার্থী প্রত্যাহার, কোন কোন নির্বাচনে তারা প্রার্থীই দেয়না, বিভিন্নভাবে বিতর্কিত মন্তব্য করে তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করে থাকে।
আগামী নির্বাচন অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা টানা তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন, তাই আমি বিশ্বাস করি অতীতের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য কিছুটা কঠিন হবে। সেজন্য আমরা আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।