নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, স্কুল খুলেছে, তার এক সপ্তাহও তো এখনও হয়নি। সব শ্রেণিও খোলেনি। একটি বা দুটি শ্রেণি খুলেছে। এটা ঠিক যে কিছু কিছু এলাকায় সংক্রমণ ঘটেছে। তবে সেটি যে স্কুলে আসার কারণেই হয়েছে, তা সঠিক বলা যায় না। তবে ঘটনা যেটি ঘটেছে, সেটি তো অস্বীকার করার আর কোনো উপায় নেই। যা করার উচিত, তা হলো এই ঘটনা নিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করার কোনো দরকার নেই।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, নির্ধারিত সময়ে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, সারা বিশ্বেই এমন ঘটনা ঘটেছে। যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদেরকে স্কুলে পাঠাবার দরকার নেই। আর এখানে অভিভাবকদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। আমাদের তো বয়স হয়েছে। আমরা বাইরে খুব কম যাই। যখনই বাইরে যাই, বাড়িতে ঢুকেই গোসল করে ফেলি, পোশাকগুলো সব ধুয়ে ফেলি। বাচ্চারা স্কুল থেকে বাড়িতে এলে অভিভাবকদের দায়িত্ব হবে তাদেরকে পরিষ্কার করিয়ে দেয়া, কাপড়গুলো নিয়ে ধুয়ে দেয়া। এগুলো হচ্ছে কিছু সতর্কতা, যা অভিভাবকদের পালন করতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষকেও এই ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ ভারত, দিল্লি এসব জায়গাতেও এমন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে স্কুল খুলে দেবার পর। পরে তাদেরকে স্কুলে আসতে মানা করে দিয়ে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একইসাথে অভিভাবকদেরও কিছু দায়িত্ব আছে।
এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন যে তা সময়মতোই অনুষ্ঠিত হবে। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেয়া উচিত হবে না। এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা যে শুধু স্কুল-কলেজেই নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যে কোনো প্রতিষ্ঠানেই তা নেয়া যেতে পারে। দরকার হলে তিন ঘণ্টার সময় কমিয়ে দুই ঘণ্টায় নিয়ে আসা যেতে পারে। আমাদের একটি রেওয়াজ আছে যে এইচএসসি পরীক্ষা কলেজেই অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, দুটো পরীক্ষা যেহেতু দুই সময়ে নেয়া হবে, তাই যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা গ্রহণ করার সুযোগটি আমরা গ্রহণ করতে পারি। ম্যানেজমেন্টেরও কিছু ব্যাপার আছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। স্কুল কলেজের এই পরীক্ষাগুলোও এমনভাবে নেয়া যেতে পারে। এমআইএসটি, বিইউপি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ভর্তি পরীক্ষা ও সিমেস্টার পরীক্ষাগুলো সময়মতো নিয়ে নিয়েছে। তারা সবাই কিন্তু সশরীরে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষাগুলো দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা আসলে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় আমাদেরকেই বের করতে হবে। আমাদের সময়ও আমরা এমনটি দেখেছি। সব সমস্যার সমাধান আমলাতান্ত্রিক উপায়ে সমাধান করা যায় না। এখানে শিক্ষাবিদদেরও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যারা এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেন। তাদের কাছ থেকেও সুপরামর্শ নেয়া যেতে পারে, কিন্তু এটি খুব একটা করা হয় না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।