সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমার তো মনে হয় ২০১৮ সাল থেকে সরকার শিক্ষা নিয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছে। সরকারের অনেকেই শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। বিআরটিসি অর্ধেক ভাড়া কমানোর ঘোষণাও ইতোমধ্যে দিয়ে দিয়েছে। এটা তো অবশ্যই ইতিবাচক।
সড়ক আন্দোলন সহ বিভিন্ন বিষয়ে ড. বদিউল আলম মজুমদার বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাঠকদের জন্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যেটা ইতিবাচক নয়, সেটি হচ্ছে সড়ককে নিরাপদ করার যে উদ্দেশ্য নিয়ে সড়ক আন্দোলন হয়েছিল, আইন-কানুন, বিধি-বিধান মানার, সেখানে অগ্রগতি নেই। বরঞ্চ সড়কে বিশৃঙ্খলা আগের থেকে বেড়েছে। মালিক এবং শ্রমিক আমাদের জিম্মি করেছে। এমনকি সরকারকেও জিম্মি করেছে। এগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ। এগুলো দেশের জন্য কোনোভাবেই ইতিবাচক নয়।
পরিবহন মালিকদের দাবি করা ৮০ শতাংশ পরিবহন মালিক গরীব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কয়েক কোটি টাকার মালিক হলেও আপনি নিজেকে গরীব দাবি করতে পারেন। কেননা অনেকে তো হাজার কোটি টাকারও মালিক। সেই হাজার কোটি টাকার মালিক থেকে আপনি তো অবশ্যই গরীব। গরীব কথাটি আসলে আপেক্ষিক বিষয়। দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়। পরিবহন মালিকরা নিজেদের গরীব বলে কি বুঝাতে চাইছেন, তা আমি বুঝি না। গরীব বিষয়টি সম্পূর্ণই আপেক্ষিক। এটি একটি অস্পষ্ট কথা। এর থেকে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া দুরূহ।
পরিবহন সেক্টরের কালো টাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে আইন-কানুন, বিধি-বিধান, কিছুই চলে না, প্রয়োগ নেই, সেখানে এটা হবেই। এটা হতে বাধ্য। একে ঠেকাতে হলে পরিবহন মালিকদের কাঠামোর আওতায় আনতে হবে। তাদের কথায় সব হতে হবে কেন? সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এর মাত্রা অনেকটাই কমানো যায়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল পেছানোর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আমি এর কোনো সম্ভাবনা দেখি না। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর যে সন্দেহের প্রাচীর তৈরি হয়েছে তাতে সে সম্ভাবনা নেই। তবে এক দফা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল শেষ চেষ্টা হিসেবে তফসিল পেছানোর জন্য তৎপরতা চালাতে পারে। কিন্তু তফসিল পেছানোর নামে যদি আবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাকে কেউ প্রশ্ন বিদ্ধ করে ফেলে তাহলে আরেকটা অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কাজেই নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। নির্বাচনী রোডম্যাপ বিপন্ন হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। তবে তফসিল পেছানোর সম্ভাবনা দেখি না।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যদি জনমত উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের দিকে যায় তাহলে চলমান যে সংঘাতময় পরিবেশ চলছে সেটাকে আরও উস্কে দেওয়া হবে। সেটা সাধারণ জনগণের জন্যও ভালো হবে না, সরকারের জন্যও ভালো হবে না। দেশের সাধারণ মানুষ এখন একটা সংকটের মধ্যে আছে। দ্রব্যমূল বৃদ্ধি সহ দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা আগামীতে অর্থনৈতিক সংকটকে আরও তীব্রতর করতে পারে এমন আভাস অর্থনীতিবিদরা দিচ্ছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে জনমত উপক্ষো করে এবং নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকাণ্ড যেমন গ্রহণযোগ্য হবে তেমনি আমাদের দেশের সংকটকে আরও বাড়িয়ে দেবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, যেভাবে আমেরিকা চাচ্ছিল যে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে ভারতও যেন আমেরিকার সাথে একই সুরে কথা বলে কিন্তু সেটা যে হবে না তা পরিষ্কার হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত যে আমেরিকার কথা শুনবে না সেটি তারা স্পষ্ট করেছে। এখন আমেরিকা কি করবে সেটা তারা ভালো জানে। তবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমেরিকা সারা বিশ্বের মধ্যে প্রচন্ড সমালোচনার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল ইস্যুতে তারা প্রচন্ড প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। আমেরিকা তার নিজ দেশেই প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, অনেক দিন ধরে আমাদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল। রাস্তা-ঘাট বন্ধ না করে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। সাধারণত নির্বাচনের আগ দিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো কি করবে না করবে, নির্বাচনী ইশতেহার কেমন হবে ইত্যাদি। কিন্তু রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দিয়ে হরতাল-অবরোধ করা কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর উচিত না।