ইনসাইড বাংলাদেশ

রমজানে দেশে দেশে কমে নিত্যপণ্যের দাম, বাংলাদেশে বাড়ে!


Thumbnail রমজানে দেশে দেশে কমে নিত্যপণ্যের দাম, বাংলাদেশে বাড়ে!

সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এরই মধ্যে দেশের বাজারে বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। কিন্তু দেশে দেশে এর বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে। রমজানে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে, আবার অনেক দেশে ব্যবসায়ী সমিতি কিংবা ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে দাম কমানো হয় পণ্যের, দাম কমানো নিয়ে চলে তুমুল প্রতিযোগিতা। অন্যদিকে বাংলাদেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সরকার এবং ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তর, পরিদপ্তর, অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করেও এই মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এর পেছনে রয়েছে নৈতিকার স্খলন।    

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রায় ১৮০ কোটি মুসলমানের জন্য পবিত্র রমজান বয়ে আনে রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা। আত্মশুদ্ধি ও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এই একমাস ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। রমজান মুসলমানদের ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির মাস হলেও দেখা যায়, অনৈতিকভাবে প্রতিবছর রমজান মাসে বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যায়, বিষয়টি যেন একটি স্বাভাবিক রীতিতে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু এর বিপরীত চিত্রের দেখা মেলে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এসব দেশ রমজান উপলক্ষে বড় বড় চেইনশপ থেকে শুরু করে ছোট দোকানে দেয় বিশাল বিশাল ছাড়। ক্রেতাদের কে কত বেশি মূল্য ছাড় দিতে পারে সেটা নিয়ে চলে রীতিমতো প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় ছাড়ের মাত্রা কখনো কখনো ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়ায়। মূলত রোজাদারের অর্থকষ্ট লাঘবের পাশাপাশি অধিক সওয়াবের আশায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে এমন ছাড় দেন বিক্রেতারা। ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর ঘোষণা এবং সেগুলোর মূল্য তালিকা দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

৮ শতাধিক পণ্যের দাম কমানো দেশ কাতার

রোজার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- মুত্তাকির গুণাবলি অর্জন করা। আর মুত্তাকির সার কথা হচ্ছে, সর্বাবস্থায় আল্লাহর ভয় অন্তরে জাগ্রত রাখা। বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলা হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কাতারে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২ এপ্রিল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে রমজান শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগেই রমজান মাসে রোজাদারদের সেবায় ৮০০টিরও বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। গত ২৪ মার্চ থেকে এ মূল্যছাড় কার্যকর হয়েছে। ২৩ মার্চ এক বিবৃতিতে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এ খবর জানিয়েছে। রমজান মাস শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশের সবাই এই সুবিধা ভোগ করবেন। কাতারের সব বাজার ও সুপারশপে সরকারের আদেশ কার্যকর থাকবে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ১৬০০১ নম্বরে কল করেও অভিযোগ করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম কাতার ট্রিবিউন জানিয়েছে, রমজান উপলক্ষে মূল্য কমানো পণ্যসমূহের মধ্যে ময়দা, মধু, সিরিয়ল, কর্নফ্লেক্স, ইয়োগার্ট, দুধ ও ডেইরি সামগ্রী, গুঁড়োদুধ, কন্ডেন্সড মিল্ক, পনির, ফলের রস, চিনি, কফি ও কফিজাত দ্রব্য, খেজুর, মিনারেল ও বোতলজাত পানি, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, পেপার ন্যাপকিন, ওয়াশিং পাউডার, ট্র্যাশ ব্যাগ, পেস্ট্রি, পাস্তা, চাল, শিম, হিমায়িত শাক-সবজি, মুরগির মাংস ও পোলট্রিজাত দ্রব্য, মাংস, ডিম, টমেটো পেস্ট, চা, ঘি, ইস্ট, লবণ, ভোজ্য তেল, ব্যক্তিগত ও গৃহস্থালী পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

সৌদি আরবে মূল্যছাড়ের হিড়িক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সৌদি আরবে ব্যবসায়ীদের মধ্যে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের বিভিন্ন সুপার মার্কেট মূল্যছাড় দেওয়া শুরু করেছে সৌদির বড় বড় চেইন শপিংমল যেমন লুলু হাইপার মার্কেট, পান্ডা, ওথাইম, নেস্টু, আল মদিনা, সেন্টার পয়েন্ট, তামিমি, ক্যারিফোর শপিংমলগুলো শুধু ছাড় ঘোষণা করেই বসে নেই। তাদের এই মূল্যছাড়ের খবর ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও নানা রকমের মূল্যছাড়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের মাধ্যমে কোন পণ্যে কত ছাড় এ ব্যাপারে ক্রেতাদের জানানো হচ্ছে। ৫০% থেকে ৭০% ছাড় দিয়েছে অনেক শপিংমলে। রমজানকে সামনে রেখে মূল্যছাড়ের ঘোষণায় খুশি ক্রেতারাও।

রমজানে শুধু পণ্যের মূল্যছাড়ই নয়, সৌদি সরকার এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয় বিশেষ সুবিধা। রাতে কাজ এবং অন্যান্য সময়ের তুলনায় কর্মঘণ্টা কমানো হলেও বেতন-বোনাসে কোনো হেরফের হয় না। করোনাকাল শেষে এবারের রমজানকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবের রাস্তাঘাট আর শপিংমলগুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। মার্কেটগুলোতে শোভা পাচ্ছে ‘রামাদান কারিম’ লেখা সংবলিত রং-বেরঙের প্ল্যাকার্ড।

কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন সুপারশপে বিশেষ ছাড় দিয়ে প্যাকেজভিত্তিক আলাদা আলাদা কার্ড বাজারে ছাড়ে। এর মাধ্যমে রমজানে ক্রেতারা কেনাকাটায় বৈচিত্র্যময় সুবিধা পান। এসব প্যাকেজে মাংস, মাছ, খেজুর, বাদাম ও মিষ্টিসহ ইফতার এবং সাহরির জন্য আলাদা আলাদা খাবারসামগ্রী থাকে। রমজান বক্স, ইফতারসামগ্রী, সাহরির খাবার নামে এসব কার্ড পরস্পরে উপহার দেওয়ারও রীতি রয়েছে। অনেকে আবার দরিদ্রদের মধ্যে এসব কার্ড বিতরণ করেন, যেন তারা তাদের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে খাবার সংগ্রহ করতে পারেন।

আরব আমিরাত নিত্যপণ্যের মূল্যছাড়

গত ২৩ মার্চ থেকে বিভিন্ন কোম্পানি ঘোষণা করেছে, রমজান উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাত ৭০% ছাড়ে ভোগ্য এবং অ-ভোগ্য পণ্য বিক্রি করবে। দেশটিতে রমজান শুরুর অন্তত দশদিন আগে থেকে এভাবে পণ্যের মূল্যছাড়ের রীতি চলে আসছে। কিন্তু করোনার কারণে বিগত দুই বছর সেভাবে তা মানা হয়নি। এবার রোজার আগেই বিক্রেতারা হাজার হাজার ভোগ্য এবং অ-ভোগ্য পণ্যের ওপর ব্যাপক ছাড় দেওয়ায় খুশি দেশটির বাসিন্দারা। আরব আমিরাতের কিছু প্রধান খুচরা বিক্রেতা যারা রমজানে বিশেষ ছাড় ৭০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ইউনিয়ন কোপ, শারজাহ কুপ, আল মায়া সুপার মার্কেট, আমাজন, নুন, দানিউব হোমস ও প্যান এমিরেটস। ৭০ শতাংশ কমে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাংস, মুরগি, টিনজাত খাবার, ফল, সবজি, বিশেষ রমজানের পণ্য এবং অন্যান্য পণ্য।

ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি অ-ভোগ্য পণ্যের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। যা আগে সেভাবে দেওয়া হতো না। পুরো রমজান মাস এ সুযোগ মিলবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মুদি সামগ্রীর পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীতে ৪০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেছে। ছাড়ের আওতায় রয়েছে- স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, আসবাবপত্র থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন জিনিস। এগুলো অনলাইন-অফলাইন দুভাবেই কেনা যাবে।

মিসরের খাদ্যমেলা ও ভ্রাম্যমাণ দোকান

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মিসরের রাজধানী কায়রোতে ২৫ মার্চ দেশটির চেম্বার অব কমার্স ফেডারেশনের সহযোগিতায়, সরকারের তত্ত্বাবধানে সপ্তাহব্যাপী এক খাদ্যমেলার আয়োজন করা হয়। মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবৌলি। রমজান মাস সামনে রেখে ছাড়সহ খাদ্যসামগ্রী কেনার ব্যবস্থা করতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আরবি ভাষায় ‘রামাদান কারিম’ লেখা ব্যানার ও মিসরের ঐতিহ্যবাহী রমজান লণ্ঠন দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া খাদ্যমেলায় কয়েকশ’ প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যসামগ্রী নিয়ে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান প্রধানত রান্নার তেল, চাল, পাস্তা, মাংস, মুরগির মাংস, শাক-সবজি, ফল, বাদাম এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি করছে।

মেলায় মিসরের সুপরিচিত খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যে মূল্য ছাড়ের বৈচিত্র্যময় অফার দিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে। করোনার প্রভাব কাটিয়ে আসন্ন রমজান যেন সহনীয়ভাবে কাটাতে পারে দেশের মানুষ, এ লক্ষ্যে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলা প্রসঙ্গে চেম্বার অব কমার্স ফেডারেশনের নেতা মোহাম্মদ আবদেশ ফারাহ বলেন, ‘মেলায় উপস্থিতি খুবই ভালো, বিক্রিও আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে। মিসরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গমের দাম বেড়ে গেছে। সংগত কারণেই গমজাত খাবারের মূল্যবৃদ্ধির এই সময়ে সহমর্মিতার মাস রমজানকে সামনে রেখে মানুষকে কিছুটা আনন্দ ও স্বস্তি দিতে এই আয়োজন করেছি।’

‘ওয়েলকাম রমজান ফেয়ার’ নামে পরিচিত এই মেলা গত কয়েক বছর ধরে কায়রোতে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গত দুই বছর করোনার জন্য বন্ধ ছিল। মেলা উদ্বোধন করে মিসরের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেলায় বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে আমি দাম পর্যালোচনা করেছি। এখানে খুব বড় রকমের ছাড় রয়েছে।’ কায়রোর এই মেলা শেষ হলেও রমজান মাস এবং রমজানের পরে একই মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রির জন্য দেশব্যাপী প্রায় আট হাজার বিশেষ বুথ থাকবে। এ ছাড়া মিসরীয় সেনাবাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা কমাতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য ভ্রাম্যমাণ দোকান থাকবে।

ওমানে মূল্যছাড় ও গুণমানে সতর্কতা

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে রমজান উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পবিত্র রমজানে ওমানবাসী মাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান মজুদ করা শুরু করেন রমজানের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই। এই সময়ে ওমানের অভিজাত শপিং সেন্টারগুলো রমজানের বিশেষ অফার দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য গড়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো হয়েছে ওমানে। ঘোষিত পণ্যের মজদু নিশ্চিত ও তা কোনোভাবেই মূল্যছাড় বাদ দিয়ে বিক্রি করা যাবে না। এছাড়া জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মাস্কাট মিউনিসিপ্যালিটি খাদ্যসামগ্রীর গুণমান এবং স্টোরেজ সুবিধা নিশ্চিত করতে পরিদর্শন ও সার্বিক নজরদারি জোরদার করেছে।

মালয়েশিয়াতেও কমেছে দাম

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় ছোট-বড় শপিংমলে মূল্যছাড়ের নানা ঘোষণার ছড়াছড়ি দেখা যায়। দুই বছর বাদে এবারও তেমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এবারের রমজান উপলক্ষে দেশটির বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমিয়েছে কর্র্তৃপক্ষ। চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসের দাম কমেছে। ছাড় চলছে প্রসাধনী, পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যতেও। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখার নির্দেশ দিয়ে খাবারের মান যথাযথ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

রমজান উপলক্ষে পুরো মালয়েশিয়ায় পণ্যের মান ও দাম পর্যবেক্ষণ করে প্রশাসন। আর সিটি করপোরেশন বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে নজরদারি বাড়ায় এ মাসে। দেশটির সুপারশপ জায়ান্ট, লুলু, মাইডিন, এনএসকে, এয়ন বিগ-এর মতো চেইন শপগুলোতে নিয়মিত অনলাইন ও অফলাইনে চলছে ছাড়ের বিজ্ঞাপন। এমনকি জনপ্রিয় অনলাইন শপ লাজাডা ও শপির মতো সাইটগুলো রমজান উপলক্ষে দিয়েছে বিশেষ ছাড়। রমজান মাস ধর্মীয় রীতিনীতিতে পালন করতে অভ্যস্ত মালয়েশিয়ানরা। এ মাসে নামাজ আদায়, রোজা রাখার পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে পছন্দ করে তারা। রমজানের শুরু থেকেই নাইট ক্লাব, বার, মদের দোকানগুলোর ওপর আনা হয় বিধিনিষেধ। এমনকি দিনে কোনো মুসলমান রেস্তোরাঁয় বসে খাবারও খেতে পারে না।

অন্যান্য দেশের চিত্র

বিভিন্ন দেশ তাদের ধর্মীয় উপলক্ষ কিংবা উৎসবের সময় জিনিসপত্রের দাম কমোনার ঘোষণা দেয়। এসব উৎসব ঘিরে ইউরোপ-আমেরিকায় ছাড়ের হিড়িক পড়ে যায়। মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয় উৎসব। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সাধারণ মানুষ বছরভর এ সময়টার জন্য অপেক্ষা করেন। এ সময় তারা সারা বছরের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে রাখে। অবাক করার বিষয় হলো, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়; তবুও রমজান উপলক্ষে অনেক দেশে পণ্যসামগ্রীর দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনো ধর্মীয় উৎসবের সময় দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়ে না, রমজানও এর ব্যতিক্রম নয়। রমজানের শুরুতে পণ্যে ছাড় দেওয়া ইউরোপের দেশগুলোতে রীতিতে পরিণত হয়েছে। রমজানের শুরুতে মুসলমানরা এ সুবিধা পান। বিশেষ করে জার্মানিতে মুসলিম ব্যবসায়ীরা অভাবনীয় মূল্য ছাড় দিয়ে থাকেন। ফ্রান্সের মুসলিম ব্যবসায়ীরাও কম দামে জিনিসপত্র বিক্রি করেন। শুধু মুসলিম দেশ নয়, আমাদের কাছের দেশ থাইল্যান্ডেও রমজান মাস উপলক্ষে মুসলমানসহ সবার জন্য পণ্যে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা তাদের আগের মুনাফা থেকে ছাড় দিয়ে ব্যবসা করেন। পণ্যের দাম না বাড়িয়ে সেখানে কমিয়ে দেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী লাভবিহীন পণ্য বিক্রি করেন মাসজুড়ে। মূলত ধর্মীয় সম্প্রীতি আর সহনশীলতা বাড়াতে তারা এমন উদ্যোগ নেন।

বাংলাদেশের চিত্র

রোজার মাস এলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কখন কীভাবে পণ্যের দাম বাড়ানো যায়, সে ভাবনায় যেন ওঁৎ পেতে থাকেন। সরকার সচেষ্ট থাকে পণ্যের দাম যেন সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে। এ জন্য আগেভাগেই পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে, এবারও তা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যে সাধারণ ভোক্তাদের অনুকূলে থাকবে- সেটা নিশ্চিত করে বলার সুযোগ নেই। দেশে পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য প্রস্তুত থাকে ওইসব অসাধু ব্যবসায়ী। বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি করে কোনো দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই দাম বাড়ানো হয়। ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে এ সময়টাতেই চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। বড় ব্যবসায়ী থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবার প্রবণতা এই সময় বেশি লাভ তুলে নেওয়ার। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে পবিত্র মাসে এমন অমানবিক কাজটি কেন হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। দেশে ব্যবসায়ীদের ৯০ ভাগেরও বেশি মুসলমান, মুসলমান হয়েও পুণ্যের মাসে অপুণ্যের এমন কাজ তারা কীভাবে করেন? এর প্রতিকার দরকার, দরকার রোজায় প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ।


রমজান   বিদেশ   নিত্যপণ্য   দাম   বাংলাদেশ   মূল্যছাড়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বরিশালে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৪৯ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ শামিমের ৫ বছরের শিশু পুত্র ফেরদৌস (৫) বাড়ির পাশে খালের পানিতে ডুবে মারা গেছে । 

 

জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে ফেরদৌস বাড়ির উঠানে খেলাধুলার একপর্যায়ে পাশের খালে পরে যায়। বাড়ির লোকজন কিছুক্ষণ পরে খাল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে পানিতে ডুবে শিশু ফেরদৌসের মৃত্যুতে ওই এলাকায় এবং পরিবারে বইছে শোকের মাতম।


পানিতে ডুবে মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র গরমে বেঁকে গেল রেল লাইনের পাত

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail তীব্র গরমে রেল রাইনের পাত বেঁকে যাওয়ায় ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে

শুক্রবার পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ফলে পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি রেল লাইনের পাত বেঁকে যায়। ঘটনায় অল্পের জন্য বড় অঘটন থেকে রক্ষা পায় খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস। আর দুটি আন্তঃনগর ট্রেন ১ ঘণ্টার বেশি দেরিতে গন্তব্যে ছেড়ে যায়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের কাছে ঘটনা ঘটে। পরে রেলওয়ে অফিসের লোকজন দুই ঘণ্টা রেললাইনের ওপর পানি ঢেলে বেঁকে যাওয়া রেলপথ স্বাভাবিক করেন।

রেলওয়ের ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে কর্মরত শ্রমিক শুভ হোসেন জানান, কপোতাক্ষ ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশন ছাড়ার পর ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের কাছে যে লাইনে ট্রেনটি যাচ্ছিল সেই রেল লাইন দূর থেকে দেখে বাঁকা মনে হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে স্টেশন মাস্টার তাওলাদ হোসেন বিষয়টি দেখে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।

খবর পেয়ে বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহণ কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেনকে পেছনে এনে অন্য রেললাইন দিয়ে কপোতাক্ষ ট্রেন থ্রো পাস করার ব্যবস্থা নেন।  

ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাওলাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রচণ্ড রোদে দুর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে গেছে। সময় ওই লাইনে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা আন্ত:নগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী যাচ্ছিল।

তিনি আরো বলেন, পরে রেলওয়ে অফিসের লোকজন রেললাইনের ওপর পানি ঢেলে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পর রেলপথ স্বাভাবিক হয়।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী বাকিয়া তুল্লাহ্ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্য লাইন দিয়ে রাজশাহীতে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

তিনি বলেন, রেললাইন বেঁকে যাওয়ার কারণে খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি ঘণ্টারও বেশি সময় পর গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।


তীব্র গরম   ট্রেন   রেল লাইন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।


শেরে বাংলা   মৃত্যুবার্ষিকী   প্রধানমন্ত্রী   শ্রদ্ধা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মায়ের কোলে ফিরুক ছোট্ট মুয়াজ

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আড়াই বছর বয়সের ছোট্ট মুয়াজ। ছোট্ট শিশুর বাবা-মা পরিবার ও স্বজনদের সাথে খেলাধুলা এবং হই হুল্লোড় করার কথা। তবে ভাগ্যর কি নির্মম পরিহাস, এই ছোট্ট প্রাণটাকে এখন দিন যাপন করতে হচ্ছে হাসপাতালের চার দেয়ালের মধ্যে। তবে বিধাতার পরিকল্পনা মুয়াজের বেলায় একটু ভিন্ন। তাইতো মুয়াজ এখন একটু শান্তির ঘুমের জন্য তীব্র ব্যথানাশক ওষুধ মরফিন নিচ্ছে। তবু ব্যথাতো তার কমে না।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির খেলাধুলাভিত্তিক সংগঠন স্পোর্টস সাস্টের সাবেক সংগঠক জুলকারনাইন রাদের ছেলে মুয়াজ। সে দুরারোগ্য ব্যধিতে (Sacrococcygeal Teratoma Type II and suspected ERMS(Rhabdomyosarcoma) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে। প্রতি চার ঘণ্টা পর পর তীব্র ব্যথানাশক ওষুধ মরফিন দেয়া হচ্ছে শিশুটিকে।

স্বজনরা জানান, মুয়াজের পায়ুপথের পাশে সম্প্রতি একটি টিউমার শনাক্ত হয়। বর্তমানে এটি বেশ বড় এবং শক্ত থাকায় বায়োপসি করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় গত এক মাস ধরে শিশুটি ঢাকার আল মানার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে দুটি কেমোথেরাপি দেয়া হয়েছে। তবে এর সুফল মেলেনি। টিউমারটি বর্তমানে বড় হয়ে পায়ুপথ বন্ধ করে ফেলেছে। এ অবস্থায় রমজানের ঈদের পরদিন কলোস্টোমি সার্জারি করা হয় মুয়াজের।

এরইমধ্যে ২০ এপ্রিল কেমোথেরাপির নতুন প্রটোকলে শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ দিন অন্তর অন্তর মোট আট সাইকেলে (এক একটি সাইকেল পাঁচ দিনব্যাপী) সর্বমোট ৪০ দিনের কেমোথেরাপি দেয়া হবে। পাশাপাশি টিউমার সার্জারি করে ফেলে দিতেও বলেছেন চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে ৮ লাখেরও বেশি টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ করা হয়েছে।

তবে দেশের চিকিৎসকরা শিগগিরই মুয়াজকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। মুয়াজকে ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত টাটা মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরিকল্পনা চলছে। তবে এর জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখেরও বেশি টাকার প্রয়োজন।

সবার সহযোগিতা পেলে ছোট্ট মুয়াজ আবারও হয়তো ঘরময় হেঁটে বেড়াতে পারবে, আধোবোলে সবাইকে করে তুলতে পারবে বেতিব্যস্ত। মুয়াজকে সহায়তা পাঠাতে পারেন তার বাবার ব্যাংক হিসাবে।
 
Dutch Bangla Bank Limited
Account Name: K. M. ZULKERNINE
Account No. 2551580020269
Routing No. 090270424
Swift Code: DBBL BDDH
Branch: Panthapath
 
Islami Bank Bangladesh Limited
Account Name: K M ZULKERNINE
A/C Number: 2050 337 02 00895307
Routing Number: 125272447
Branch: Gandaria
 
অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিকাশ: 01551618574,  01533054254, 01799268610, 01683997324 রকেট:  019171950641 অথবা নগদে: 01917195064 পাঠাতে পারেন ছোট্ট মুয়াজের জন্য স্নেহ ও ভালোবাসার ছোঁয়া।


মায়ের   কোলে   ফিরুক   মুয়াজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু

প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী তাহেরা আলমও। শুক্রবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকার গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা দেশে ফিরবেন।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হওয়ার কয়েক দিন পর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ঢাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন তিনি। কারাগারে থাকার সময় থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার ওজনও কমেছে ৮ কেজি । জামিনে মুক্ত হওয়ার পর আমির খসরু একাধিকবার ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়েছেন।

 


আমীর খসরু   বিএনপি   চিকিৎসার   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন