ইনসাইড থট

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসম আচরণের কারণ কি?

প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসম আচরণের কারণ কি?

(সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের জাতীয় সিকিউরিটি কাউন্সিলের সাবেক উপদেষ্টা এবং নয়া দিল্লির কৌশলগত অধ্যয়ন নীতি গবেষণা কেন্দ্রের অ্যামিরেটস অধ্যাপক ব্রাহমা চেল্লানি যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত এই ভিসা নীতি বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘অসম আচরণ’ বিষয়ক  একটি নিবন্ধ লিখেছেন। নিবন্ধটি জাপানের টোকিও থেকে প্রকাশিত নিক্কি এশিয়া নামক একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে। পাঠকদের জন্য নিবন্ধটির অনুবাদ তুলে ধরা হলো।)           

গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বাংলাদেশকে তার গণতন্ত্রের প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। অবাধ নির্বাচনে যারা বাধা প্রদান করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ঝুলিয়ে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু পাশের দেশ পাকিস্তানে গণগ্রেপ্তার, গুম ও নির্যাতন রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত হলেও সে দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্র ও সামরিক আইন পরিস্থিতির বিষয়ে নীরব মার্কিন প্রশাসন। এটিকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

 

এর সংক্ষিপ্ত উত্তর হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রচার-প্রচারণা, সময়ে সময়ে গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা হয়ে ওঠা শুধুমাত্র বাছাই করা কিছু কিছু দেশের জন্য। এই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভূ-রাজনৈতিক কৌশল ও তাদের নিজ দেশের স্বার্থকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে এবং গণতন্ত্রের প্রচারের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া মার্কিন নীতিনির্ধারকদের পছন্দের হাতিয়ারে পরিণত করেছে।

এছাড়াও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসন আরও দুটি বিষয়কে কাজে লাগাতে চাইছে। প্রথমত, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদদের অনেকেরই ঘনিষ্ঠ আত্মীয় রয়েছেন যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রিটেনে বসবাস করেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলের আমেরিকান গ্রিন কার্ড রয়েছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের রপ্তানির সিংহভাগই যায় পশ্চিমা দেশগুলোতে, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের সাথে অবশ্য খুব কম লোকই দ্বিমত পোষণ করতে পারবেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে। তবে সেই লক্ষ্যে নতুন মার্কিন ভিসা নীতি কতটা কার্যকর হবে- সেটি নিয়ে অবশ্যই অনেকেরই দ্বিমত রয়েছে। বরং এটি উল্টো কাজ করতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন করতে চায়। গত এপ্রিলে সংসদে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে এমন একটি সরকার আনতে চায়- যার কোন গণতান্ত্রিক অস্তিত্ব নেই। এটি হবে একটি অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ। 

২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনা একটি ধর্ম নিরপেক্ষ সরকারের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তিনি দেশকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দিয়েছেন। যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। 

রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে থাকা পাকিস্তানের সম্পূর্ণ বিপরীত প্রান্তে বাংলাদেশ, তারপরও ২০২১ সালে এবং চলতি বছরের শুরুতে আয়োজিত গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পাকিস্তানকে উভয়বারই আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা এতে যোগ দেয়নি।


২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর ছয়জন বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মাদক কারবারির সাথে জড়িত থাকার কারণে নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সমস্ত সম্পদ জব্দ করে। কিন্তু পাকিস্তানের প্রতি তাদের ভালোবাসা অবিরাম।

ডিসেম্বরে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, কর্তৃপক্ষকে পুলিশ এবং দেশের প্রধান বিরোধীদল, যারা কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী দলগুলোর সাথে নিজেদের জোট করেছে, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) এর সদস্যদের মধ্যে একটি মারাত্মক সংঘর্ষের তদন্ত করার দাবি জানান। অতি সম্প্রতি, ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনকে তার বাংলাদেশে মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং ভয় দেখানোর বিষয়ে উদ্বেগের কথাও উল্লেখ করেছেন। 

ব্লিঙ্কেনের নতুন ভিসা নীতি স্পষ্টতই হাসিনা সরকারের সদস্যদের লক্ষ্য করে দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে আইন প্রয়োগকারী এবং অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়েছে। যদিও এই নতুন ভিসা নীতিতে বিরোধীদলের সদস্যদেরও উল্লেখ করা হয়েছে।

কিন্তু এই বিদেশী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সাধারণত প্রতীকী উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু এটি কূটনীতিকে বাধাগ্রস্ত এবং কখনও এটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতিও বয়ে আনতে পারে। 

এই মাসের শুরুর দিকে, সিঙ্গাপুরে চীনা জেনারেল লি শাংফুর সাথে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের বৈঠক করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বেইজিং। এর কারণ হিসেবে বেইজিং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পাঁচ বছর আগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় লি’র উপস্থিতির উল্লেখ করেছে। 

এটিও বলা যেতে পারে যে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ মিন অং হ্লাইং সহ তিনজন সিনিয়র কমান্ডারের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাই দেশটিতে বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে মূল অবদান রেখেছিল। কারণ দেশটির জেনারেলরা হয়ত ভেবেছিল এতে ব্যক্তিগতভাবে তাদের কাছে হারানোর কিছু নেই। পরবর্তীতে দেয়া আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকেই নিয়ে গেছে এবং মিয়ানমারের সাথে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। 

মিয়ানমার, ইরান, বেলারুশ কিংবা কিউবা, কোন দেশেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে পারেনি। বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমতে থাকা এবং বৈশ্বিক ক্ষমতার নতুন মেরুকরণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলিকে অকার্যকর করে তুলছে। কিন্তু তারপরও যেহেতু এখনও বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে পশ্চিমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং বিশ্বে মুদ্রার প্রাথমিক রিজার্ভ হিসেবে ডলারই ব্যবহার করা হয়- তাই এমন নিষেধাজ্ঞা মার্কিনদের জন্য এখনও একটি আকর্ষণীয় অস্ত্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে এবং এশিয়ার নিরাপত্তার উন্নতিতে হাসিনা সরকার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চাপের মধ্যে রয়েছে। বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে আলোচনার জন্য গত মাসে যখন শেখ হাসিনা ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন তখন বাইডেনের প্রশাসনের কেউ তার সাথে দেখা করেনি। 

এই মাসে সিঙ্গাপুরে থাকাকালীন অস্টিন ঘোষণা করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের গুন্ডামি ও জবরদস্তিকে তোয়াক্কা করে না। কিন্তু গুন্ডামি ও জবরদস্তি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশে তাদের স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। 

প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা না করে বরং বিশ্বের সপ্তম-সবচেয়ে জনবহুল দেশকে অবজ্ঞা করা, ১৯৭১ সালে তারা যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাধা দান করেছিল, পাকিস্তান বাহিনীর ৩০ লাখ মানুষকে হত্যাকে সমর্থন করেছিল সেই পুরনো ঘা’কেই মনে করিয়ে দেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে কি চায়? তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে?


বাংলাদেশ   পাকিস্তান   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   আচরণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. কাইয়ুম তালুকদার যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ এর প্রবক্তা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়ন কৌশল জাতির পিতার ভাবনা থেকেই উৎসারিত। অল্প সময়ের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রান্তিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আপন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল সমর্থনে আবার সরকার গঠন করেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে আর কোন অপশক্তি যেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারে সেজন্য দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করেন। বর্তমানে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার ‘বাতিঘর’ এই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে জনগণ জমি দিচ্ছেন, সরকার ভবন করে দিচ্ছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমের পুরোটাই পরিচালিত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ মানেই স্মার্ট উদ্যোগ। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উদ্ভাবন মানেই জনবান্ধব কর্মসূচি। কমিউনিটি ক্লিনিক পাল্টে দিচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ফরিদা ইয়াসমিন, এমপি যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্মরণ করতে চাই সে দিনটি যেদিন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলেন। সমগ্র বাঙালীর আনন্দিত উদ্বেলিত অপেক্ষার দিন। সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানিয়েছে সেদিন। সেদিন তিনি দেশে আসার পর ৩২ নম্বরে ঢুকতে পারেননি। তিনি চেয়েছিলেন একটি মিলাদ করবেন, নিজের বাড়িতে ঢুকবেন কিন্তু সেটি তিনি পারেননি। তাকে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। তার ওপর এত জুলুম বাধা বিপত্তি সব কিছু পেরিয়ে আজকে তিনি বাংলাদেশের শুধু রাষ্ট্রনায়ক না, তিনি সারা বিশ্বের একজন নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না। বাংলাদেশের একজন প্রধানমন্ত্রীকে সেরকম গুরুত্ব না দিলেও পারত কিন্তু তারা শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করতে পারেন না। কারণ তিনি শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাঁর যে স্বপ্ন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সেটি সকলের কাছে একটি বিস্ময়। আজকে পাকিস্তানিরা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। 

ছিয়ানব্বইয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মত একটি উদ্যোগ এটি কেউ চিন্তাও করেননি। এটা একেবারে শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। কিন্তু সরকারের পালা বদল হবার সাথে সাথে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেছে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হওয়ার ফলে আবার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো একেবারে ভূতড়ে বাড়ির মত হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পরের বার ক্ষমতায় এসে সেই ক্লিনিকগুলো আবার চালু করেন। জাতিসংঘ এটিকে মডেল হিসেবে নিয়েছে এবং ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আজকের দিনে এসে বুঝা যায় যে এটি আসলে কতটা ইনোভেশন ছিল। শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ আজ অন্যান্য দেশ অনুসরণ করতে চায়। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা লেনিন যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল। কিন্তু বাংলার নব্য মির্জাফরেরা জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করেছিল। ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে জীবনে বেচে যান। কোন অন্যায় না করেও পিতার অসাধারণ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত স্বাধীন বাংলাদেশে আসতে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসক এবং শাসনের কারণে বরণ করতে হয়েছিল নির্বাসিত জীবন। দেশের আপামর জনগণ, আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা শেখ হাসিনার এই অকৃত্রিম ভালোবাসাকে হৃদয়ের বেরোমিটার দিয়ে মাপতে পারে তাকে বাংলায় রুখবে কে। তাইতো ঐক্যের প্রতীক হয়ে বাঙালির ভাগ্যাকাশে জ্বলজ্বলে স্বধীনতার সূর্য হাতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা নামের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার আলোর বিচ্ছরণ ঘটাচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিটি হৃদয়ে। বাঙালির ভাগ্য উন্নয়নের চাকা এখন সঠিক পথে সঠিক গন্তব্যের দিকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ধাবমান। 

১৯৮১ সালের ১৭ মে যেদিন তিনি বাংলার মাটিতে পা রাখেন সেদিন তার পথ ছিল অনেকটা কন্টকাকীর্ণ। নিজের বাড়ি, নিজের পিতার বাড়িতে একজন সাধারণ নাগরিকেরও প্রবেশের অধিকার থাকে। কিন্তু শেখ হাসিনার সেই অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে, দেশের মাটিতে পা রাখার পর শেখ হাসিনার হৃদয়ের টেবিলে দু’টি ফাইল ছিল। দু’টি ফাইলের একটি ছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পিতা-মাতাসহ স্বজন হারানো মমগাথা ও তাঁর বিচার প্রসঙ্গ। অন্যটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ তথা বাঙালী জাতির ভাগ্য উন্নয়ন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন, তবে বাঙালি জাতির ভাগ্য কখনো আলোর মুখ দেখতো না। তলিয়ে থাকতো অটল অন্ধকারে। তাইতো বাংলার মানুষ সবাই ধারণ করে একটি শ্লোগান, ‘১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা, জননেত্রী শেখ হাসিনা।’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বদলে যাওয়ার বাংলাদেশের কারিগরি শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ। 

তৎকালীন রেডিও, টেলিভিশন কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেওয়া হত না। দেশকে টেলে দেওয়া হয়েছিল উল্টোপথে। ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ১৯৭৫ এসে সেই বাংলাদেশ হারিয়ে গিয়েছিল। সারা দেশে শুধু তখন হতাশ আর নাভিশ্বাস অবস্থা। এর প্রায় ৬ বছর পর নির্বাসনে থাকার জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের পরোয়া না করে ভয় ভীতি উপেক্ষা করে অনেক ঝুকি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিদেশের মাটিতে রেখে সেই ১৯৮১ সালের ১৭ মে পদাপণ করেন বাংলার মাটিতে। তিনি যখন দেশে এসেছিলেন তখন অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণ হয়। 

আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ তাকে পেয়ে আনন্দিত উদ্বেলিত ছিলেন। তিনি এসেছিলেন এক আলোক বতিতা, আলোর ফেরিয়াওলা হয়ে। তিনি হয়ে উঠেন সকলের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতীক। বিশ্বস্ততার ঠিকানা। শাসক গোষ্ঠীর ভিত তখন কেপে উঠেছিল। দেশে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথ সহজ ছিল না। মসৃণ ছিলো না। কিন্তু তিনি সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তার মেধা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতা উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আর দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল আর আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জনগণ ফিরে পায় তার সব ধরনের অধিকার। আল্লাহ অশেষ রহমত শেখ হাসিনার মতা আমরা একজন নেত্রী পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বানিয়েছেন বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা বানিয়েছেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যত দিন থাকবে শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার স্বদেশে ফেরার ওইদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকাজুড়ে ছিল মানুষের ঢল। শেখ হাসিনা - সেদিন বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছেন কোটি বাঙালির আশার প্রদীপ হয়ে - বাঙালি জাতিকে আলোর ঠিকানায় পৌছে দিতে। সেদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সারা দেশ থেকে আসা লাখ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা। জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি ফিরে আসার পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরে পেয়েছি। দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ এর সূচনা হয়েছে। ছিয়ানব্বইয়ে সরকার গঠন করে তিনি ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ সংসদে পাশ করে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করান এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কারো মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি।

১৭ মে ২০২৩ দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন “কমিউনিটি ক্লিনিক'-কে জাতিসংঘ “দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের। জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। তার গতিশীল নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন