২৭ জুলাই আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩ তম জন্মদিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের যে কোনো ঘটনায় সামনে এসেছেন, দিক-নির্দেশনামূলক কথা বলেছেন- দেশকে নিয়ে তাঁর অনুভূতি প্রকাশের ভাষাও অনন্য। তিনি বাংলাদেশের সমান বয়সী। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এবং সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। এদেশের অফিস-আদালত থেকে শুরু করে টেন্ডার কিংবা ব্যাংকের লেনদেনের যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে সেই ডিজিটালাইজেশনের নেপথ্যে তাঁর অবদান রয়েছে।এজন্য কোভিড-১৯ এর প্রভাবে মহামারি ও লকডাউনে যখন বিশ্বজুড়ে অনলাইন যোগাযোগ একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছিল তখন এদেশের কৃতি সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়কে বেশি করে মনে পড়েছে।ব্যাধির সংক্রমণ রোধে গৃহবন্দি থেকে অনলাইনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং-এ বেতন ও সহায়তা পাওয়ার দৃষ্টান্ত আমরা তখন ভালভাবে আত্মস্থ করে নিয়েছিলাম। কৃষিভিত্তিক সমাজ ক্রমান্বয়ে প্রযুক্তি নির্ভর সমাজে পরিণত হয়েছে।কেবল সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক-নির্দেশনায় কাজ করে প্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে এদেশে। ফলে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে।এজন্যই তাঁকে আমরা অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশেরও অন্যতম কাণ্ডারী তিনি।
জয় ভারত থেকে কম্পিউটার
ইঞ্জিনিয়ারে বিএসসি ডিগ্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসনে
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালে তিনি
২৫০ জন তরুণ বিশ্ব
নেতার মধ্যে একজন হিসেবে সম্মানিত
হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী
লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা
হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তিনি অনেক আগে
থেকেই রাজনীতিসচেতন। ২০০৮ সালের জুন
মাসে শেখ হাসিনাকে সামরিক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারাগার থেকে মুক্ত করার
ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল
গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনা আর
তার সফল রূপকার হলেন
সজীব ওয়াজেদ জয়।
জয়ের
ভেতর রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো প্রচণ্ডতা। রয়েছে
পরিশ্রমী ও তারুণ্যের প্রাণময়তা।
এজন্য আমেরিকা থেকে তাঁর ফিরে
আসা, রাজনীতিতে যোগ দেয়া আমাদের
জন্য শুভ সূচনা ছিল।
দেশের মধ্যে যারা একসময় দুর্নীতি
ও নাশকতার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তাদের মসনদ কেঁপে উঠেছিল
তাঁর দেশকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে। তিনি মূলত
বঙ্গবন্ধুর মতোই মানুষকে আশাবাদী
করে জাগিয়ে তোলার জন্য কথা বলেন
ও কাজ করেন। একসময়
তাঁর মতো বয়সে বঙ্গবন্ধু
এদেশের মানুষকে জাগিয়েছিলেন; জয়ও তেমনি সরকারের
সঙ্গে থেকে দেশের সামগ্রিক
সমস্যার সমাধান করে আওয়ামী লীগকেও
গড়ে তুলতে চান। ভাষণ দেবার
সময় তাঁর ভেতর থেকে
বঙ্গবন্ধুর মতোই সম্মোহনী চেতনা
স্ফুরিত হয়। তিনি ২০০৯
সাল থেকে নিজের শিক্ষাগত
যোগ্যতা ও পেশাগত অভিজ্ঞতা
দিয়ে এদেশের আইসিটি সেক্টরকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছেন। তরুণদের
উজ্জীবিত করছেন মৌলিক গবেষণায়। বিএনপি-জামায়াতের গাত্রদাহের কারণ এজন্য যে
জয় উচ্চশিক্ষিত এবং যে ডিজিটাল
বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব
দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তার পুরোভাগে তিনি
আছেন। শেখ হাসিনা যেমন
নির্লোভ, মানুষকে ভালোবাসেন নিজের অন্তর থেকে, জয়ও তেমনিভাবে এগিয়ে
চলেছেন। বিরুদ্ধ মানুষের মন জয় করতে
হয়েছে তাকে। এজন্য তার সাথে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতারা কাজ করেছেন। সাধারণ
মানুষকে শেখ হাসিনা সরকারের
কর্মসূচি, সাফল্য বর্ণনা করতে হয়েছে ডিজিটালকরণের
জন্য। অনেকে ভাবতে পারেন তিনি আমেরিকান সিটিজেন।
এটা মনে করার কোনো
কারণ নেই যে, শেখ
হাসিনাও যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন। যেহেতু
জয়ের মা নিজে এই
মাটি, মানুষের নিকটজন সেহেতু তিনিও তারই ধারাবাহিকতায় মানুষের
জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবেন।
সজীব
ওয়াজেদ জয় ভিশনারি লিডার।
তিনি ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে ২০০৯ সালে দেখতে
পেয়েছিলেন বলেই আজ দেশে
১০ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট
ব্যবহার করছেন। শিক্ষাখাতে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ
বেড়েছে। বিশেষত করোনা মহামারিতে সকল প্রতিষ্ঠান এখন
প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। পাঠসূচিতে
যেমন শিশুরা আইসিটি অধ্যয়ন করছে তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ে
তৈরি হয়েছে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার। এমনকি দেশের বিপিও খাতে বর্তমানে ১০০
মিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করা
হচ্ছে; ৫০ হাজারের বেশি
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সাড়ে ছয় লাখ
মানুষ এই মুহূর্তে আইসিটি
সেক্টরে চাকরি করছেন। ২০২৫ সালের মধ্যে
১০ লাখ মানুষের কাজ
করার সুযোগ হবে এই খাতে।
আর এসবই সম্ভব হয়েছে
সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী।
গত সাড়ে ১৪ বছরে
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে গেছে
তেমনি তার পুত্রের দূরদর্শী
সিদ্ধান্তে এদেশ প্রযুক্তি নির্ভর
আধুনিক অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠেছে।
অতীতে
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জয় বলেছেন, ভবিষ্যতের
নেতা এদেশের তরুণরাই। উল্লেখ্য, ঢাকার সাভারে শেখ হাসিনা যুব
কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে দেশের
বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়নে ভূমিকা রাখা তারুণ্যনির্ভর ৩০টি
সংগঠনের হাতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ
অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেওয়ার সময়
তাদের এই অভিধা দেন
তিনি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে নিজেদের উদ্যোগে
দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসা তরুণ-তরুণীদের
বাংলাদেশের আগামী দিনের নেতা অভিহিত করার
কারণ তার জনসম্পৃক্ততা।নিজে ডিজিটাল বাংলাদেশ
নির্মাণে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন
শেখ হাসিনার সঙ্গে। আর সেই কাজে
তরুণ প্রজন্ম তাঁর অনিবার্য লক্ষ্য।
এর আগে তিনি দেশের
ভেতর ও বিদেশের মাটিতে
দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা, তরুণ জনগোষ্ঠীর
ইতিবাচক অর্জনের গল্প শুনিয়েছেন বিশ্বের
মানুষকে। তাঁর মতে, ‘আমাদের
দেশের তরুণরা এখন দেশের জন্য
কাজ করতে যেভাবে এগিয়ে
এসেছে, আগে সেটা দেখা
যেত না। দেশের সমস্যা
আমরা সমাধান করতে পারব কি
না, দেশকে এগিয়ে নিতে পারব কি
না, সেই বিশ্বাস আমরা
হারিয়ে ফেলেছিলাম। কারণ স্বাধীনতার চেতনা
আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম।’ কিন্তু ‘এখন আমাদেরকে শাইনিং
স্টার বলা হচ্ছে। ‘নেক্সট
ইলেভেন’-অর্থনীতির দেশের একটি আমরা।’ সজীব
ওয়াজেদ জয় সেদিন যে
কথা বলেছেন, তা একজন তরুণ
নেতার আদর্শ ও বিশ্বাসের কথা।
তিনি নিজে নতুন প্রজন্মের
নেতা, তাই যুবসমাজের কাছে
আলোকবর্তিকা হিসেবেই আবির্ভূত হয়েছেন।
রাজধানীতে
অনুষ্ঠিত অপর এক সেমিনারে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয়
বলেছিলেন, ‘সৎ সাহস ও
নিজের আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কোনো কঠিন
কাজ করা যায়। আমরা
কারও চেয়ে কম নই।
বিদেশের সঙ্গে আমরা সমানে সমান।
সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে বিদেশী সাটিফিকেট প্রয়োজন নেই।’ অর্থাৎ এই তরুণ নেতৃত্বের
কাছে নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু তৈরির ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছে
সততা এবং আদর্শের কোনো
বিকল্প নেই। সৎ না
থাকলে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। আর
মানুষের ভালোবাসা ছাড়া ক্ষমতায় আসা
যায় না। তিনি বিশ্বাস
করেন, নিজের দেশকে টেনে উঠাতে দেশপ্রেম
দেখাতে হবে। বিশ্বের সামনে
বাংলাদেশকে টেনে তোলার মধ্যেই
দেশপ্রেম নিহিত রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে
বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা
বহমান তা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে
কেন্দ্র করেই আবর্তিত। জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং
তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয়
এই তৃতীয় প্রজন্মের নতুন নেতৃত্বের প্রতি
আমাদের সকল আকর্ষণ এখন
কেন্দ্রীভূত। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশে নেতৃত্বের
বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল। উপমহাদেশের রাজনীতিতে পারিবারিক ঐতিহ্য একটি ব্যাপক বিস্তারি
প্রসঙ্গ। ভারতের দিকে তাকালে বর্তমান
রাজনীতির পারিবারিক ধারা সবচেয়ে বেশি
লক্ষ করা যায়। জওহরলাল
নেহেরু গান্ধীর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী তাঁর পিতার যোগ্য
উত্তরসূরি ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর সময় মোরালি দেশাইয়ের
মতো অনেক যোগ্য নেতা
থাকলেও ইন্দিরা গান্ধীই হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জুলফিকার আলী ভুট্টো, তাঁর
কন্যা বেনজীর ভুট্টো, বেনজীরের স্বামী ও ছেলের রাজনীতিতে
সম্পৃক্ততা যেমন সত্য তেমনি
শ্রীলঙ্কার বন্দরনায়েক পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় লক্ষণীয়। ঠিক একইভাবে আওয়ামী
লীগের ত্যাগী নেতারা ১৯৮১ সালে শেখ
হাসিনাকেই রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে এসেছিলেন। পঁচাত্তর
পরবর্তী তোফায়েল আহমেদ, প্রয়াত আবদুল জলিল, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ বড় বড় নেতারা
দেশ পরিচালনায় শেখ হাসিনাকেই জনগণের
সামনে দাঁড় করান।
খালেদা
জিয়া যেভাবে তারেক জিয়াকে রাজনীতিতে এনে দলের পদে
সমাসীন করেছিলেন জয়ের জীবনে তেমনটি
ঘটেনি। বরং জয় রাজনীতিতে
নামতে পারেন ধরে নিয়ে ২০০৪
সালে ‘হাওয়া ভবনে’র মালিক
তারেক জিয়াকে বিএনপি লুফে নিয়েছিল।
জয় বাংলাদেশের মৃত্তিকার সন্তান। তাঁর রাজনীতিতে আসাটা
আকস্মিক হলেও দলকে সংগঠিত
করা, দলের কোন্দল মেটানো,
দলকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ রাখা প্রধান কাজ
হিসেবে গণ্য হয়েছে প্রতিটি
নির্বাচনের আগে। মহাজোট সরকারের
সময় পাঁচ সিটি করপোরেশনের
নির্বাচনে পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগের
সামনে নতুন নেতৃত্বের দরকার
ছিল। তাই তাঁর মতো
কোনো যোগ্য ব্যক্তিকে সামনে আনা আমাদের জন্য
মঙ্গলজনক বলে গণ্য হয়েছিল।
২০১০ সালে তিনি আওয়ামী
লীগের নিয়মিত সদস্য পদ গ্রহণ করেন।
ডিজিটাল
বাংলাদেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সজীব
ওয়াজেদ জয় সবসময়ই বলেছেন,
উন্নয়নের অসমাপ্ত বিপ্লব শেষ করতে হলে
আওয়ামী লীগকে সুযোগ দিতে হবে। তাঁর
মতে, নতুন ও আধুনিক
একটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের ধারাবাহিকতা
ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের জন্য
এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।
মহামারি মোকাবেলায় প্রযুক্তি আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল করে রেখেছে।
এজন্য বিরোধী দলের অপপ্রচার মোকাবেলা
ও সরকারের সফলতা জনগণের সামনে তুলে ধরতে ভিন্ন
রকম কৌশল নিতে হবে।
কারণ জয়ের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার
চালানো হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে
সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের উন্নয়নে
আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তাঁর প্রাণবন্ত উপস্থিতি
আমাদের তরুণদের সামনে এগিয়ে যাবার প্রত্যাশায় উজ্জীবিত করেছে। একাধিক বেসরকারি টেলিভিশন-এ প্রচারিত অনুষ্ঠানে
দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি নানা প্রসঙ্গে
গঠনমূলক রাজনৈতিক কথা বলেছেন। কয়েকটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘লেটস টক’ শিরোনামে
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সজীব
ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ক্ষমতাসীন
সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অনেকটা এগিয়েছে।
তিনি কেবল প্রযুক্তি নিয়ে
ভাবেন না, তিনি মানুষকে
মূল্য দেন। মানুষের দুঃখে
সমব্যথী হন। আসলে জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
এবং পিতা-মাতা বিজ্ঞানী
ড. ওয়াজেদ ও শেখ হাসিনার
মতো আন্তরিক হৃদ্যতায় সাধারণ মানুষকে কাছে টানার অসাধারণ
ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। তিনি দেশের মানুষের
দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অনেক ভাবেই- যুবলীগ,
ছাত্রলীগ কিংবা বিশেষ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রাণবন্ত বক্তৃতা দিয়ে। দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস
ও জঙ্গিবাদ দূর করার ক্ষেত্রে
শেখ হাসিনা যেমন সক্রিয় উদ্যোগ
নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তেমনি জয়ের পরামর্শে প্রযুক্তি
পণ্য উৎপাদনে ৯৪টি যন্ত্রাংশের ওপর
থেকে উচ্চ আমদানি শুল্ক
উঠিয়ে ১ শতাংশে নামিয়ে
আনা হয়েছে। জয় জানেন, বাংলাদেশের
অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০৪১ সালের
মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে
সকল দুর্যোগ মোকাবেলা করে।
জয়ের
মতো নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব
আমাদের রাজনীতিতে যেমন ইতিবাচক পরিবর্তনের
সূচনা ঘটিয়েছে তেমনি উন্নয়নে সার্বিক অগ্রগতি সম্পন্ন করেছে। রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের পদচারণা
আমাদের এগিয়ে চলার পথে বাড়তি
প্রাপ্তি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে প্রতিবছর
ভোটার তালিকায় তরুণ ভোটার আসে
প্রায় ২৩ লাখ। ৯
কোটি ২১ লাখ ভোটারের
মধ্যে ৪ কোটি ভোটারের
বয়স ৪০ বছরের নিচে।
মোট ভোটারের প্রায় ৪০ শতাংশ নতুন
প্রজন্মের। তাদের জন্য নতুন প্রজন্মের
নেতা অনিবার্য। সজীব ওয়াজেদ জয়
এসব নতুন ভোটারদের প্রত্যাশার
ভাষাকে ঠিকই বুঝতে পারেন।
ভবিষ্যতে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী
লীগকে জয়ী করার কৌশলও
তিনি জানেন। কারণ আওয়ামী লীগ
এদেশের যে উন্নয়ন করেছে
বিগত জামায়াত-বিএনপি চারদলীয় জোট সরকার তা
করেনি। অথচ বিএনপির মিথ্যা
প্রচার প্রচারণা এখনও মোকাবেলা করতে
হচ্ছে।
রাজনৈতিক
পরিবারের সন্তান হিসেবে জয় রাজনীতিতে সক্রিয়
অন্তরালে থেকেই। নিজের প্রচারে বিশ্বাসী নন তিনি। তিনি
রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ দিয়েছেন কিন্তু
প্রকাশ্যে বিচরণ তার কম। বঙ্গবন্ধুর
নাতি এবং শেখ হাসিনা
ও ড. ওয়াজেদ মিয়ার
পুত্র হিসেবে পারিবারিক সূত্র গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তিনি যে মানুষের
জন্য আত্মত্যাগ করতে এসেছেন তা
বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে এদেশের মানুষের।
প্রকৃত দেশপ্রেমিকের পক্ষে দেশ ও জাতির
কল্যাণ করাই স্বাভাবিক।
আওয়ামী
লীগের যে গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে তা অন্য কোনো
দলের নেই। সজীব ওয়াজেদ
জয় সেই গৌরবকে কাজে
লাগিয়ে ২০০৯ সালে থেকে
সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। মধ্যবিত্তের সন্তান বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম
করেছেন। পাকিস্তানি শাসকদের ফাঁসির ভয়কে উপেক্ষা করেছেন।
জেল খেটেছেন মাসের পর মাস। সেই
ত্যাগী নেতার নাতি হিসেবে জয়কে
মনে রেখেছেন- এই সব মূঢ়,
মূক মানুষের মুখে দিতে হবে
ভাষা। তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে
বঙ্গবন্ধুর পরিচয় নিয়েই। জাতির পিতা নিজের সন্তানকে
(শেখ মনি, শেখ কামাল)
রাজনীতিতে এনেছিলেন। আর তা ছিল
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। পারিবারিক পর্যায়ে তিনি যা করেছিলেন
তা ছিল দেশের স্বার্থে,
মানুষের মঙ্গল চিন্তা করে। অনেকেই তাঁর
বাকশাল প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধাচারণ করেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর
দেশের জন্য মমত্ববোধকে ঠিক
বুঝে উঠতে পারেন না।
আধুনিক
বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়
দেশের কাজে এগিয়ে এসেছেন
মানুষের আকর্ষণে। মাতার সান্নিধ্য তাঁকে রাজনীতির শিক্ষায় শিক্ষিত করেছে। তাঁর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত
হলে আওয়ামী সমর্থক সকলেই খুশী হবেন। কারণ
তিনি মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে পারেন। আওয়ামী লীগকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে নেতৃত্ব ও
উন্নয়নকে একইসঙ্গে আলিঙ্গন করতে হবে। জয়
হঠাৎ আবির্ভূত নেতা নন। তিনি
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাঁর আছে দৃঢ়
চেতা অভিভাবক। যিনি সকল বিষয়ে
সুপরামর্শ দিতে পারঙ্গম। কখনও
পথ চলতে ছিটকে পড়লে
শেখ হাসিনা পরামর্শ দিয়ে ঠিক পথে
আনতে পারবেন তাঁকে। কারণ জয় একান্তই
মাতৃ অনুগত। সকলেই জানেন, জয় আওয়ামী লীগের
একজন সাধারণ সদস্য। এর বাইরে তিনি
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক
উপদেষ্টা। এই অর্থে তিনি
দলের নীতি-নির্ধারক না
হলেও বিভিন্নভাবে দল ও দলের
নেতৃত্বকে অনেকরকম সহযোগিতা দিচ্ছেন। এখন এগিয়ে যাচ্ছেন
বিচক্ষণতার সঙ্গে। স্বাধীনতার চেতনায় মথিত সজীব ওয়াজেদ
জয়ের জীবন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস
করেন, লড়াই করে স্বাধীনতা
অর্জনের পরও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা
ব্যাহত হওয়ার জন্য জাতির পিতাকে
হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার
বিপরীত দিকে হাঁটা দায়ী।
তাঁর বক্তব্য হলো- ‘আমরা লড়াই করে
স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ৪ বছরেই নিজেদের
পায়ে দাঁড়াচ্ছিলাম। সেই সময়ে আসে
৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট। এরপর
স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তি ক্ষমতায় আসে।’ সজীব ওয়াজেদ জয়
তরুণদের মূল্যবান কথা বলেছেন, ‘স্বাধীনতার
চেতনা কোনোদিন ভুলবেন না। ভুলতে দেবেন
না। আর কাউকে শহীদদের
সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে
দেবেন না। এমন মিথ্যা
প্রচারের সুযোগ দেবেন না, যাতে জাতি
শহীদদের ভুলে যায়।’ তাঁর
মতে, ‘যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস
করে না, তারা বাংলাদেশের
উপর কী বিশ্বাস রাখবে?’
শেখ
হাসিনা সরকার পরিচালনায় সজীব ওয়াজেদ জয়
যেমন তৎপর তেমনি ‘স্মার্ট
বাংলাদেশ’ গড়ার ক্ষেত্রে নিজের
নতুন নতুন ভাবনা-চিন্তা
নিয়ে জনসমক্ষে হাজির হবেন আগামীতে- এটাই
স্বাভাবিক। আওয়ামী লীগের নতুন কাণ্ডারী সজীব
ওয়াজেদ জয়কে জন্মদিনে অভিবাদন।
মূলত বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে- একথা সজীব
ওয়াজেদ জয় বারবার বলে
এসেছেন। এজন্য দরকার যুবসমাজের পরিশ্রম। তরুণ নেতৃত্বের ওপর
আস্থা রাখতে হবে আমাদের। শেখ
হাসিনা সরকার এক নাগাড়ে ক্ষমতায়
থাকায় উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ উন্নীত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার
পর দেশের অর্থনীতি অভূতপূর্বভাবে এগিয়েছে। বিশ্বে আমাদের অর্থনীতি এখন ভাল অবস্থানে।
কারণ তরুণরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে
একের পর এক ষড়যন্ত্র
মোকাবেলা করছে আওয়ামী লীগ
সরকার। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সর্ব প্রকার ষড়যন্ত্র
ও অপপ্রচার দূর করার জন্য
সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্ব সবচেয়ে
বেশি প্রয়োজন। কারণ দেশপ্রেমিক জয়ের
রয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা।তিনি
তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার অনন্ত
উৎস।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
দেশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ২০০০
সালের ২৬ এপ্রিল কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করা হয়। আজ এ কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
এ নিয়ে লিখেছেন দেশবরেণ্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের
সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী
বাংলাদেশের জন্য আজকের দিনটি অনন্য, অসাধারণ। আজকের দিনটিকে আমি
মনে করি, প্রান্তিক মানুষের বিজয়ের দিন। জনগণের ক্ষমতায়নের দিন। আজ কমিউনিটি ক্লিনিকের
২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
এপ্রিল মাস বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৭ এপ্রিল
জাতির পিতার নির্দেশে এবং তার নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ মুজিবনগর
সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন
সার্বভৌম বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু যে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, সে দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন
করে মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান জাতীয় চার নেতা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ক্ষুধামুক্ত সাম্যের বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর সেজন্য তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার জায়গা হলো অসাম্প্রদায়িক, সাম্য এবং বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ। আর এ এপ্রিল মাসেই প্রথম বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়েছিল। এপ্রিল মাস বাংলাদেশের জন্য আরেকটি চেতনার পতাকা বহন করে চলেছে। তা হলো, এই এপ্রিলেই দেশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন। ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল গিমাডাঙ্গায় কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এবং সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার অনন্য মডেল হিসেবে পরিচিত এবং স্বীকৃত কমিউনিটি ক্লিনিক তার অভিযাত্রা শুরু করেছিল। আমি এ কারণেই মনে করি যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অভিযাত্রা বা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভিযাত্রা যেমন এপ্রিল মাসে, তেমনি প্রান্তিক মানুষের অধিকার এবং জনগণের ক্ষমতায়নের পূর্ণতার বৃত্ত পূরণ এ এপ্রিল মাসেই হয়েছিল। এ কারণেই আমি আজকের দিনটিকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ মনে করি। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মূল দর্শন হলো জনগণের ক্ষমতায়ন। আর এ দর্শনটি তিনি আত্মস্থ করেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন চেয়েছিলেন
জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে। জনগণের সাম্যতা
এবং ন্যায্যতার জন্য তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। আর সে কারণে স্বাধীন সার্বভৌম
বাংলাদেশকে তিনি একটি শান্তি, প্রগতিশীল এবং উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণের
জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু রূপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। জাতির পিতা চেয়েছিলেন স্বাস্থ্যসেবা
জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে। আর এ কারণেই তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের
মৌলিক নীতিমালা-সংক্রান্ত অংশে স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু জাতির পিতার এ স্বপ্নযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। ওইদিন শুধু
জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়নি, হত্যা করা হয়েছিল বাঙালির স্বপ্ন, বাঙালির
অগ্রযাত্রা এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। বাংলাদেশের
অন্ধকার যাত্রা শুরু হয়েছিল ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই। আর এ অন্ধকার যাত্রাকে থামাতে
জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং বাংলাদেশে একটি সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন জীবনের
ঝুঁকি নিয়ে। দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
২০২৩ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের জন্য আরেকটি অর্জন আসে। জাতিসংঘে সর্বসম্মতভাবে
গৃহীত হয় ‘কমিউনিটি ক্লিনিক: দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’। এটি বাংলাদেশের জন্য গৌরবের।
কমিউনিটি ক্লিনিক যেমন শেখ হাসিনার একটি উদ্যোগ বা ইনিশিয়েটিভ হিসেবে
স্বীকৃতি পেয়েছে, তেমনি আজকের যে বাংলাদেশ ক্ষুধা, দরিদ্রমুক্ত, স্বনির্ভর, উন্নয়নের
রোলমডেল বাংলাদেশ, সেটিও দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ। আজকে বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনা
সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ কল্পনাও করা যায়
না। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের এ অভিযাত্রা কেউ স্বপ্নেও ভাবেননি। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক
শেখ হাসিনা শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নগুলোকে হৃদয়ে ধারণ
করেননি, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তিনি একজন দক্ষ নির্মাতা বটে। আর এ কারণে তিনি
বাংলাদেশকে এমন এক উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন, যেখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তার অধিকারগুলো
পাচ্ছে, জনগণের ক্ষমতায়ন ঘটছে। জনগণের ক্ষমতায়ন এবং প্রান্তিক মানুষের অধিকার প্রাপ্তির
এক অসাধারণ মডেল হলো বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো। এই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে
অনেক নীরব বিপ্লব বাংলাদেশে ঘটেছে, আমি সেদিকে সামান্য একটু আলোকপাত করতে চাই।
প্রথমত কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে এই প্রজাতন্ত্রের মালিক যে জনগণ
তা স্বীকৃত হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল এমন একটি মডেল, যেখানে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত
করা হয়েছে। জনগণ জমি দিচ্ছে আর সরকার ভবন নির্মাণ করছে। জনগণ দেখছে যে, তারা সেবা পাচ্ছে
কি না। জনগণের কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। কমিউনিটি গ্রুপগুলো
জনগণের ক্ষমতায়নের ছোট ছোট বাতিঘর। দ্বিতীয়ত এ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক
মানুষের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। তৃতীয়ত এ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন দর্শন তৈরি করা হয়েছে। রোগ প্রতিরোধই যে একটি সুস্থ
জাতি গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত, সেটি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। আর
এ কারণেই গত বছর ১৭ মে জাতিসংঘে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’
হিসেবে সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃত হয়েছে। শুধু কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলটি ‘দ্য শেখ হাসিনা
ইনিশিয়েটিভ’ নয়, বাংলাদেশের বদলে যাওয়া, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, বাংলাদেশের অভাবনীয়
এ উন্নতির মূল উদ্যোক্তা দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের যে
বাংলাদেশ তা হলো ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’। আমরা যদি বাংলাদেশর উন্নয়ন কাঠামো লক্ষ্য
করি, তাহলে সবচেয়ে যেটি বিস্ময়কর ব্যাপার তা হলো, বাংলাদেশে সমন্বিত উন্নয়ন বাস্তবতা
চলছে। একদিকে যেমন অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের
কথা বলছি, দেখছি; তেমনি বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিধি বেড়েছে। বাংলাদেশ
একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। কল্যাণকামী রাষ্ট্রের অন্যতম শর্ত হলো,
মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিকে যেমন কমিউনিটি
ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য অধিকার এবং তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা
নিশ্চিত করছেন, অন্যদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের আবাস্থলের নিশ্চয়তাও দেওয়া
হচ্ছে।
সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশে একটি সুবিন্যস্ত উন্নয়ন পরিকল্পনা করছেন।
যে উন্নয়ন পরিকল্পনাই কেউই বাদ যাবেন না। আর বাদ না যাওয়ার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন
পরিকল্পনার মূল উদ্যোক্তা হলেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি এমন একটি উন্নয়ন
মডেল বাংলাদেশে তৈরি করেছেন, যে উন্নয়ন মডেলের মাধ্যমে সব মানুষ উন্নয়নের সুবিধা পাবে
এবং বৈষম্য দূর হবে। আমি মনে করি, কমিউনিটি ক্লিনিক শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশ তৈরি
করতে চান তার একটি প্রতিরূপ। সারা বাংলাদেশে সাম্য, ন্যায্যতা এবং সবার অধিকার নিশ্চিত
করার লক্ষ্যে নীরব বিপ্লব চলছে। আর সেই নীরব বিপ্লবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, ‘দ্য শেখ
হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে। আমরা জানি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ
হাসিনা ঘোষণা করেছেন যে, তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবেন। স্মার্ট বাংলাদেশ
মানে কী? স্মার্ট বাংলাদেশ মানে হলো এমন একটি আধুনিক, প্রগতিশীল এবং উন্নত বাংলাদেশ,
যে বাংলাদেশের সব নাগরিক সমান অধিকার পাবে। সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত
হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। যেটি বাংলাদেশের সব মানুষকে সুখী
এবং সমৃদ্ধ করবে। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে যদি প্রতিটি গ্রামকে যদি স্মার্ট
গ্রাম করতে পারি, আধুনিক করতে পারি, সুখী করতে পারি এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে
যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি, তাহলে সারা বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে
বিনির্মিত হবে।
কাজেই কমিউনিটি ক্লিনিক যেমন বাংলাদেশকে স্মার্ট করতে পারে তেমনি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চাবি। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশকে আরও উন্নত করা এবং স্বপ্নের সোনার বাংলার চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করবে বলেই আমার বিশ্বাস। আর সে কারণেই কমিউনিটি ক্লিনিক দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমি মনে করি, ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ আমরা যদি হৃদয়ে ধারণ করি, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা কী চান, তিনি কী ভাবেন, মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি কী কী কাজ করতে চান, সেটি যদি আমরা উপলব্ধি করতে পারি এবং তার নীতি এবং চিন্তার প্রতি আমরা যদি সৎ থাকি, আদর্শবাদ থাকি, তাহলে বাংলাদেশের বদলে যাওয়া রূপ আরও বিস্তৃত হবে, বাংলাদেশ সারা বিশ্বে একটি রোলমডেল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হবে। আর এ কারণেই কমিউনিটি ক্লিনিক দিবসকে আমরা ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শুরু হচ্ছে আগামী ৮ মে। নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ সভাপতি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকটতম আত্মীয় স্বজনেরা প্রার্থী হতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। কোন প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করতে পারবেন না। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা দলের সাধারণ সম্পাদক বারবার নেতাকর্মীদের এবং মন্ত্রী-এমপিদের বলেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য আওয়ামী লীগ সভাপতি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক বারবার বলার পরেও কেউ তা কর্ণপাত করলেন না। অথচ যারা এই নির্দেশনা মানলেন না তাদের অবস্থা এমন যে, যেন তারা শেখ হাসিনার জন্য জীবনও দিতে প্রস্তুত।
এপ্রিল মাস বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৭ এপ্রিল জাতির পিতার নির্দেশে এবং তার নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু যে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, সে দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন করে মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান জাতীয় চার নেতা।
১৯৯৮ সাল। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরী করি। স্থানীয় চাইনিজ রেস্তোরাতে একটি সেমিনার হবে। ঢাকা থেকে ওষুধ কোম্পানির এক কর্মকর্তা এসেছেন। তিনি একই মেডিকেলে আমার এক বছরের সিনিয়র। বেশ খাতিরের বড় ভাই। তিনি তাঁর ব্যাগ থেকে একটি যন্ত্র বের করলেন। যন্ত্রটি অন করার পর দেখি সেটি একটি কম্পিউটার। কোন তার ছাড়া কম্পিউটার। জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কি জিনিস এটা, নাম কি ? বললেন, ল্যাপটপ। জীবনে এই প্রথম আমার ল্যাপটপ দেখা। তবে নাম শুনেছি এর তিন বছর আগে, ১৯৯৫ সালে। যখন নাম শুনেছি, তখন বুঝিনি জিনিসটা কি ?
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।