ইনসাইড ট্রেড

সারাদেশে জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তা দাবিতে বাজুসের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ: ১১:৪৯ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail সারাদেশে জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তা দাবিতে বাজুসের সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশে জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তার দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীতে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বাজুস এর নিজস্ব কার্যালয়ে এই  সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট জনাব সায়েম সোবহান আনভীর সহ তাদের  কেন্দ্রীয় কমিটির সকল নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুয়েলারী দোকানে চুরি ও প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ০১ আগস্ট গভীর রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া বাজারের মন্দির মার্কেটের কাঁকন জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল দোকান থেকে প্রায় ১৫০ ভরি স্বর্ণের ও দুই কেজি রূপার গহনা চুরি করে নিয়ে যায়।

গত ২৯ জুলাই, ২০২২ রাজধানী ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে রজনিগন্ধা মার্কেটে দিন দুপুরে নিউ বিসমিল্লাহ জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল দোকান থেকে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণ ও ৫০ ভরি রূপা চুরি করে নিয়ে যায়।

গত ২০ জুলাই, ২০২২ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলাধীন প্রদীপ জুয়েলার্সে প্রকাশ্যে ককটেল ফাটিয়ে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়। ডাকাতদল" দোকান থেকে প্রায় ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতের গুলিতে দোকান মালিক অধীর কর্মকার গুরুতর আহত হন। এ ব্যাপারে ২১ জুলাই, ২০২২, তারিখ ভালুকা মডেল থানায় মামলা নং ৪০ দায়ের করা হয়েছে।

গত ০৬ জুন, ২০২২ তারিখ ময়মনসিংহের ট্রাংক পট্টিতে বর্ষা জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৩১, তারিখ- ৮ জুন, ২০২২।

গত ২৪ এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০.৩০ মিঃ থেকে ২৫ এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯টার মধ্যে যে কোন সময় রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ কালী মন্দীর মার্কেটে মা গোল্ড হাউজ-এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সবুজবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। 

গত ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০টা থেকে ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮.৪০ মিঃ মধ্যে যে কোন সময় রাজধানী ঢাকার কচুক্ষেত রজনীগন্ধা টাওয়ারস্থ রাঙ্গাপরি এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভাষানটেক থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-০৭ (০২) ২২, তারিখ- ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২।

এছাড়া গত ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ নারায়ণগঞ্জ, কালীবাজারস্থ কার্ত্তিক জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় চুরির মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-২৭ (১২) ২০২১, তারিখ- ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ।

গত ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ রাত আনুমানিক ০৯.০০ ঘটিকা থেকে ১৮ ডিসেম্বর-২০২১ সকাল ০৮.১০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় রাজধানীর রমনা মডেল থানাধীন কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি শপিং কমপ্লেক্স এর মোহনা জুয়েলার্স ও বেস্ট এন্ড বেস্ট গোল্ড ক্রিয়েশন জুয়েল এভিনিউ প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে রমনা মডেল মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-২১, তারিখ- ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১।

সর্বশেষ গত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বাজুস সদস্য ধীমান ধরকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও শোক প্রকাশ করছি।

আমরা ঘটনা গুলো দ্রুততার সাথে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা এবং চুরিকৃত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সাথে সারা দেশের জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

বাজুস মনে করে সারাদেশে শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ও ব্যবসায়ীক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

পরিশেষে- সাংবাদিক বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বিষয়ের আলোকে প্রশ্নত্তোর পর্বে স্বাগত জানাচ্ছি। পাশাপাশি জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে গণমাধ্যম বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা করছি।

সারাদেশে   জুয়েলারি শিল্প   নিরাপত্তা   দাবি   বাজুস   সংবাদ সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

শাস্তির আওতায় আসছে ১০ ব্যাংক

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনা-বেচা করায় ১০ ব্যাংককে শাস্তির আওতায় আনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকগুলোকে এই বিষয়ক চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এ বিষয়ে বলেন, বেশকিছু ব্যাংকের বিরুদ্ধে বেশি দামে ডলার কেনা-বেচার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। ফলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই তালিকায় দেশি-বিদেশি ও রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ব্যাংক রয়েছে। এর আগে গত জুলাই মাসে ১৩টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ডলার দর নিয়ে কারসাজির অভিযোগ পেয়ে অধিকতর তদন্ত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই ১৩টি ব্যাংকের মধ্যে ১০টির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত জুলাই মাসে অধিকতর তদন্ত শুরু করার সময়ে মেজবাউল হক বলেছিলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা ভেঙেছে কিনা। তদন্তে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তখন বিস্তারিত বলা যাবে।

ডলারের দর বেশি রাখা হচ্ছে এমন অভিযোগের পরপরই তা রোধ করতে শক্ত অবস্থানে গিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নরের কড়া নির্দেশ পেয়েই কর্মকর্তারা তদন্তে নামছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা।

একই অভিযোগে গত বছরের আগস্টে অতিরিক্ত দরে ডলার কেনা-বেচায় দেশি বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসরাণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তালিকায় ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নাম ছিল।


ডলার কেনা-বেচা   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

ভারত থেকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চার প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আপাতত চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চার প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমদানি করা ডিম খুচরাপর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।

মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং, অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেডকে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর খুচরাপর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তারপরও বাজারে কমেনি দাম। শেষপর্যন্ত ডিম আমদানির অনুমতি দিলো সরকার।

এদিকে ডিম আমদানির জন্য পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। সরকারের অন্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।


ডিম আমদানি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম আলু পেঁয়াজ

প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত বৃহস্পতিবার প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজের কেজি ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হলে এবার ভোক্তা অধিদপ্তর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তবে সরকারের এই দাম নির্ধারণের এক দিন পর গতকাল বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোনো দোকানেই নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ থেকে ১৩ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮৫ থেকে ৯০, আলুর কেজি ৫০ টাকা। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে চলছে বাগবিতণ্ডা। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলে নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করা কঠিন।

আলুর দাম প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী শরীফ মাহমুদ বলেন, আলু ৪২ থেকে ৪৫ টাকা পাইকারি দরেই কিনে আনতে হয়েছে। তাহলে সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকা করে বিক্রি কীভাবে করব।

আবদুল্লাহ নামে এক বিক্রেতা বলেন, ‘আলুর যে সিন্ডিকেট, ভোক্তা পর্যায়ে আসার আগেই দামের পাঁচটি স্তর রয়েছে। ৩০ টাকার আলু যদি এই পাঁচটি স্তরে ২ টাকা করেও লাভ করা হয়, তারপরও ১০ টাকা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হবে।’

শনির আখড়ার ডিম বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, খুচরা বাজারে তদারকি করার আগে পাইকারি বাজার এবং আড়তগুলোতে কী দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটি মনিটরিং করা প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম : চলতি সপ্তাহে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি আলু। যদিও কৃষকের প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে মাত্র ১০ টাকা। প্রতি কেজি ৮ টাকা লাভে কৃষক আলু সর্বোচ্চ ১৮ টাকায় বিক্রি করেছে। কয়েক হাত ঘুরে সে আলু খুচরা বাজারে আসতে আসতে হয়ে যাচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এখন আলু কেনা যেন এক ধরনের বিলাসিতা।

বহদ্দারহাট-বাদুরতলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি, যার কারণে খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। ২ টাকা, ৫ টাকা করে আলুর দাম বেড়ে এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কেনা দামের চেয়ে দুই থেকে তিন টাকা লাভে আমরা বিক্রি করছি। পাইকারি পর্যায়ে দাম কমলে খুচরা বাজারেও দাম কমে যাবে। প্রথমে পাইকারি বাজারে নজর দিতে হবে। তাহলে খুচরা বাজারে অটোমেটিক দাম কমে যাবে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, এখন প্রয়োজন কীভাবে সরকার নির্ধারিত দামে ভোক্তার হাতে আলু পৌঁছানো যায় সে ব্যবস্থা করা। এজন্য প্রশাসনের তৎপরতা ও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

বেঁধে দেওয়া দাম, চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ডিম-পেঁয়াজ-আলু

প্রকাশ: ১১:০৮ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail বেঁধে দেওয়া দাম, চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ডিম-পেঁয়াজ-আলু।

সপ্তাহের ব্যবধানে ফের আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। নতুন করে দাম না বাড়লেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ডিম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার ৮০-৮৫ টাকা খরচ হচ্ছে।

এছাড়া বড় দানার মসুর ডাল সাত দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি আকাশছোঁয়া দামে মসলাজাতীয় সব ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা ছিল। প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে একই দামে বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ১০ টাকা বেড়েছে। বড় দানার মসুর ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ১০০ টাকা ছিল।

এছাড়া বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি দেশি ও আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি দেশি আদা ৪৫০ এবং আমদানি করা আদা ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশি হলুদ ৪০০ ও আমদানি করা হলুদ ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি শুকনা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা। আর আমদানি করা শুকনা মরিচ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. ইকরামুল হোসেন বলেন, বাজারে নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিম অন্যতম। এছাড়া সব ধরনের মসলাজাতীয় পণ্যের দাম অনেক বেশি। আর অন্যান্য পণ্য কিনতেও বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। বাজারে এমন পরিস্থিতিতে আমাদের মতো ক্রেতার হিমশিম খেতে হচ্ছে। জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান যুগান্তরকে বলেন, পণ্যের বাজারে অস্থিরতা চলছে। কিছু পণ্য অযথা দাম বাড়িয়ে ক্রেতাসাধারণকে নাজেহাল করে তুলছে অসাধু সিন্ডিকেট। সরকারের কাছে সব তথ্য আছে; কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাই ক্রেতাদের স্বস্তি নেই। ক্রেতার স্বার্থরক্ষায় অসাধুদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিম, আলু, পেঁয়াজের দাম সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) বাজার মনিটরিং করবেন। জেলা-উপজেলাসহ বড় বড় শহরে এই মনিটরিং চলবে। আজকের এই মূল্য ঘোষণার পর সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করা হবে।


বেঁধে দেওয়া   দাম   চড়া মূল্য   বিক্রি   ডিম   পেঁয়াজ   আলু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

বিশ্ববাজারে প্রতিটি ডিমের দাম ৫.৬১ টাকা, দেশে সাড়ে ১২ টাকা!

প্রকাশ: ১০:৪৯ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail ভারতে প্রতিটি লাল ডিম ৬.৫০ টাকা এবং সাদা ডিম ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের বর্তমান দামের সঙ্গে দেশের বাজারে একই পণ্যের দামে বড় রকমের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের তুলনায় বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্য অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা নথিতে দেখা গেছে। সামগ্রিকভাবে দামের পার্থক্য অনেক বেশি। বিশেষ করে দেশের বাজারে ডিমের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। যদিও বাংলাদেশে ডিম আমদানি হয় না।

গত বুধবার কৃষিপণ্যের মূল্য পর্যালোচনাসংক্রান্ত সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে উপস্থাপনা দেওয়া হয়েছে, সেখানে এই চিত্র উঠে এসেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গত এক মাসে পেঁয়াজ, আদা, কাঁচা মরিচ ও ডিমের দাম কমেছে। এই সময়ে পেঁয়াজের দাম প্রতি মেট্রিক টনে কমেছে ১২ শতাংশ, আদার দাম কমেছে ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ, কাঁচা মরিচের দাম ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ডিমের দাম প্রতিটিতে ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ কমেছে। নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মধ্যে শুধু রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। 

অন্যদিকে গত এক মাসে দেশের বাজারে প্রতি কেজিতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। তবে কাঁচা মরিচ ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপনায় দেখানো হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ২৬ দশমিক ৭০ টাকা (প্রতি ডলার ১০৯.৫০ টাকা হিসাবে)। ওই দিন রসুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৯৩ দশমিক ৫৯ টাকা, আদার দাম ছিল ১২৩ দশমিক ৫২ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১২০ দশমিক ১৮ টাকা। ডিমের দাম প্রতি পিস ছিল ৫ দশমিক ৬১ টাকা। উপস্থাপনায় অন্য পণ্যের দাম ডলারে উল্লেখ করা হলেও ডিমের দাম টাকায় দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপনায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, দেশে চলতি বছর ডিমের চাহিদাতিরিক্ত সরবরাহের পরিমাণ ১৩৪ দশমিক ৫৮ কোটি পিস। উপস্থাপনার পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সরবরাহ বিবেচনায় দেশে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ নেই। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রতিটি লাল ডিম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ দশমিক ৫০ টাকা এবং প্রতিটি সাদা ডিম পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও বলছে, দেশের পাইকারি বাজারে গত ২২ আগস্ট প্রতি কেজি আলুর বিক্রয়মূল্য ছিল ৩৩ দশমিক ৮৪ টাকা এবং ১১ সেপ্টেম্বর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ টাকায়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ দিনে পাইকারি বাজারে আলুর দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ, যার সঙ্গে অতিরিক্ত ব্যয়ের সম্পৃক্ততা নেই।

কৃষিপণ্যের মূল্য পর্যালোচনাসংক্রান্ত সভায় জানানো হয়েছে, দেশে এ বছর আলুর উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ১২ কোটি মেট্রিক টন, যা গত বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। তবে আলু মজুতের পরিমাণ কমেছে বলে তথ্য দেওয়া হয়েছে।


বিশ্ববাজার   ডিমের দাম   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন