আগামী মাস থেকে টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে তেল, চিনি ও মশুর ডালের পাশাপাশি ৫ কেজি করে চাল দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমায় দেশে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ১০ টাকা হ্রাস করা হয়েছে- যার সুফল টিসিবির কার্ডধারীরাও পাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জুন মাসে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে আমরা প্রতি মাসে এক কোটি পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল, চিনি, মশুর ডাল এবং রমজান মাসে ছোলা ও খেজুর বিতরণ করে থাকি। আগামী মাস থেকে প্রতি কার্ডের বিপরীতে ৫ কেজি করে চাল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশের এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের মাঝে এখন অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি ভর্তুকি মূল্যে চাল দেয়া হবে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি কারণে দেশে দ্রব্যমূল্য কিছুটা ঊর্ধ্বগতি। তারপরেও আমরা মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে তেলের দাম কমানো হয়েছে। এছাড়া চিনি ও ডাল ছাড়াও অন্যান্য পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে যাদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বল্প মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে এসব পণ্য তাদের হাতে ঠিকমতো যাচ্ছে কিনা তার মনিটরিং করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। যদি কেউ অনিয়ম করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘টিসিবির কার্ড স্মার্ট করার কাজ চলমান রয়েছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে যেকোনো অনিয়ম রোধ করা সম্ভব হবে। শুধু ঢাকাতেই নয় সারাদেশের সকল কার্ডই স্মার্ট কার্ডে রুপান্তর করা হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সংকটময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততদিন টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে পণ্য বিতরণ অব্যাহত থাকবে এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এসময় টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব সফিউল্লাহ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি টিসিবি
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।