কাঁচা মরিচের বাজারে অস্থিরতা এখনো কাটেনি। এক মাস আগে যে দাম ছিল, তার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম এখনো ৩০০ টাকার বেশি। বাজারে আলুর দামও বাড়তি। তবে কমেছে মুরগির দাম। সয়াবিন তেলের দাম কমলেও সবখানে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে না। চাল, ডাল, ডিমসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর মিরপুর ও মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। এক মাস আগে বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আলুর দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ভালো মানের আলু কোথাও কোথাও ৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুরে বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহিন আহমেদ বলেন, আমদানির পরে কাঁচা মরিচের দাম যেভাবে নামার কথা, সেভাবে নামেনি। বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় অন্যান্য সবজির দামও বাড়তি।
তবে বাজারে মুরগির দাম কমার দিকে। এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম পড়ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সাদা রঙের ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
সয়াবিন তেলের দাম কমলেও সব কোম্পানি এখনো বাজারে নতুন দরের তেল বিক্রি শুরু করেনি। তাতে বিক্রেতারা পুরোনো দামেই ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি করছেন। আবার অনেক বিক্রেতার কাছে পুরোনো তেল থেকে যাওয়ায় কোম্পানি থেকে নতুন দরের তেল নিচ্ছেন না।
কোরবানির ঈদের পরে বাজারে মাংসের চাহিদা কমে আসায় বেড়েছে মাছের চাহিদা। তাতে বাজারে মাছের দাম কিছুটা বাড়তি। দেড় কেজির ওপরের রুই মাছের কেজির দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। ছোট আকারের রুই মাছের দামও এখন প্রতি কেজি ৩০০ টাকার আশপাশে। পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছ মানভেদে কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। ইলিশ ও নদীর অন্যান্য মাছের দাম নাগালের বাইরে।
মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের এক ক্রেতা রহমত আলী। তিনি বলেন, ‘ঈদের পরে বাচ্চারা ইলিশ খেতে চাইল। কিন্তু বাজারে গিয়ে যে দেখলাম, তাতে ইলিশ না কিনে ফিরে এসেছি।’
কাঁচা মরিচ চাল ডাল ডিম বাজারদর
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।