প্রথমবারের মতো দেশে লাখ টাকা ছাড়িয়েছে সোনার ভরি। ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৭৭৭ টাকা। সোনা ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) সোনার দাম ভরিতে দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়েছে। তাতেই লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে সোনার ভরি। এতে এই ক্যাটাগরির স্বর্ণের নতুন মূল্য দাঁড়াবে এক লাখ ৭৭৭ টাকা (ভরি)। এ দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। শুক্রবার (২১ জুলাই) থেকে এটি কার্যকর করা হবে।
জানা গেছে, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এর আগে চলতি বছর ১৮ মার্চ দেশের ইতিহাসে এক লাফে সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়ানো হয়। প্রতি ভরির দাম হয় ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। ১৯ মার্চ থেকে এ মূল্য কার্যকর হয়। এরপর দেশে স্বর্ণের দাম কয়েক দফা বাড়ানো ও কমানো হয়। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) অতীতে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হয় স্বর্ণের দামে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৭৭৭ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ২৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯২৪ টাকা বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৪৬৪ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৮ হাজার ৭০১ টাকা করা হয়েছে।
এর আগে গত ৭ জুন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৯৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা করা হয়।
অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।